বিএনপির ভোট বর্জনের সংস্কৃতি গণতন্ত্র হত্যার চক্রান্ত ॥ নাসিম

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম এমপি বলেছেন, ভোট বর্জনের সংস্কৃতি চালু করে বিএনপি গণতন্ত্র হত্যার চক্রান্ত করছে। জনগণকে তারা ভয় পায়। ভোট বর্জনের মাধ্যমে জনগণের কাছ থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এই সংস্কৃতি থেকে বিএনপিকে বেরিয়ে আসতে হবে। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে কৃষক শ্রমিক পার্টি আয়োজিত ‘শেরে বাংলা থেকে বঙ্গবন্ধু ও বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার দিন শেষ। ক্ষমতায় যেতে হলে জনগণের মন জয় করতে হবে। দেশের মানুষ এখন অনেক সচেতন। তাদের কোন ষড়যন্ত্র সফল হবে না। সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, গণতন্ত্রে ভোট হতেই হবে। সত্তর সালের নির্বাচনও আওয়ামী লীগ বর্জন করেনি। বর্জন করলে হয়ত দেশ স্বাধীন হতো না। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অতি উৎসাহী হয়ে কেউ নির্বাচনকে বিতর্কিত করবেন না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চান উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হোক। নির্বাচন কমিশনকে কঠোর হাতে নির্বাচন পরিচালনা করতে হবে। আওয়ামী লীগের এক এমপিকে নির্বাচনী এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন, এমনটাই হওয়া উচিত। সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। ১৪ দলের মুখপাত্র বলেন, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হয়েছে। একটি দল নির্বাচনে না এলেও ভোট হচ্ছে, হবে। গণতন্ত্রে ভোটের কোন বিকল্প নেই। আমরা সুশাসন চাই। একই সঙ্গে কঠোর শাসনও চাই। অনতিবিলম্বে পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যাল গুদাম সরিয়ে নেয়ার আহ্বান জানান তিনি। ‘গণতন্ত্র এখন মৃত’ বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি বলেন, বিএনপি-জামায়াত যখন ক্ষমতায় ছিল তখন গণতন্ত্র ১৪ হাত মাটির নিচে চলে গিয়েছিল। তারা নির্বাচন থেকে পালিয়ে যাবেন, ভোট বর্জন করবেন আবার বলবেন ‘গণতন্ত্র মৃত’, এটি হয় না। আসলে তারা আবারও গণতন্ত্র হত্যা করে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করছে। ঐক্যফ্রন্টের গণশুনানিকে ‘গণঘুম’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, আপনারা বইয়া যান, আমরা নির্বিঘ্নে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাই। সংগঠনের উপদেষ্টা মুহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, নগর আওয়ামী লীগ নেতা ডাঃ দিলীপ রায়, ফোরকান আলী হাওলাদার, মোঃ ইসমাইল, অধ্যাপক ডাঃ একেএম নিজাম উদ্দিন প্রমুখ।