ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

শীঘ্রই চালু হবে ৫জি নেটওয়ার্ক ॥ জানালেন তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী

বাংলাদেশ রূপকল্প ’২১ বাস্তবায়নে দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে

প্রকাশিত: ১১:১৪, ১ মার্চ ২০১৯

বাংলাদেশ রূপকল্প ’২১ বাস্তবায়নে দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রূপকল্প-২১ বাস্তবায়নে দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে বাংলাদেশ। তথ্যপ্রযুক্তি সেক্টরে চলছে ব্যাপক কাজ। ’২১ সালের আগেই বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তিতে উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারবে। দেশে ইতোমধ্যে ‘ইন্টারনেট অব থিংস’ (আইওটি), ‘অগমেন্টেড রিয়েলিটি’ (এআর), ‘ভার্চুয়াল রিয়েলিটি’ (ভিআর) ইত্যাদি প্রযুক্তি চালু হয়েছে। এর মধ্যে ফাইভজি নেটওয়ার্ক চালু করা হবে। স্পেনের বার্সিলোনায় মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে যোগ দিয়ে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের কন্টেন্ট ফিল্টারিং অথবা যে ধরনের বিষয়গুলো যাচাই-বাছাই করা দরকার সেগুলো করতে সক্ষম হচ্ছি। রাষ্ট্র ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কিছু ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তুলনা করলে সাইবার সিকিউরিটির দিক থেকে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে রয়েছে। আমাদের ইন্টারনেট ব্যবহারের ইতিহাসটা বেশি দিনের নয়। চেষ্টা করেছি মানুষকে ইন্টারনেট জগতে প্রবেশ করাতে এবং এই জগতকে নিরাপদ রাখতে। ইউরোপের ৩ থেকে ৪শ’ বছর পেছনে থাকা দেশ হিসেবে বলা হয়। কিন্তু আমাদের সরকারের দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশ তথ্যপ্রযুক্তির দিক থেকে অনেক দূর এগিয়েছে। বিশ্বের অনেক দেশ এখন আমাদের কাছে শিখছে। আমরা তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে এত দ্রুত এগিয়ে যেতে পারব তা কল্পনা করা যায়নি। আমরা মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট পাঠিয়েছি। দেশে বিপুল ব্যান্ডউইথ রয়েছে। দুটি সাবমেরিন কেবলের মালিক হয়েছি। বেসরকারীভাবে আরও কয়েকটি কেবল রয়েছে আমাদের। সারাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারের সংখ্যা বেড়েছে। বর্তমানে দেশে সাড়ে ৯ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। এ হার দিন দিন বাড়ছে। এখন আমাদের ইন্টারনেটকে নিরাপদ করতে হবে। এজন্য সরকার কয়েকটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। মন্ত্রী বার্সিলোনায় মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে বক্তব্য দেয়ার পর সেখানে বিভিন্ন দেশের প্রযুক্তি বিষয়ক কোম্পানির স্টল ঘুরে দেখেন। তিনি চীনের হুয়াওয়ের স্টল পরিদর্শন করেন। এ সময় তার সঙ্গে হুয়াওয়ের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রেসিডেন্ট জেমস উ ও বাংলাদেশের সিইও ঝাং জেংজুন উপস্থিত ছিলেন। দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে হুয়াওয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। তাদের অনেক উন্নতপ্রযুক্তি রয়েছে এবং এমডব্লিউসিতে তারা ইতোমধ্যে অনেক অত্যাধুনিক সল্যুশন নিয়ে এসেছে। এটি আশার বিষয় যে হুয়াওয়ে বাংলাদেশের নেটওয়ার্কিং অবকাঠামো নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। হুয়াওয়ের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রেসিডেন্ট জেমস উ বলেন, হুয়াওয়ে সবসময় নতুনত্বের ওপর আস্থা রেখে গ্রাহকের চাহিদাগুলোকে প্রাধান্য দেয়। গ্রাহক-সন্তষ্টি নিশ্চিত করতে এবং তাদের জীবনকে আরও ডিজিটাল করতে আমরা সর্বদা শক্তিশালী প্রযুক্তি, উদ্ভাবনী কম্পিউটিং অভিজ্ঞতা, টেলিকম নেটওয়ার্ক, আইটি সমাধান, স্মার্ট ডিভাইস এবং ক্লাউড পরিষেবা সরবরাহের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। হুয়াওয়ে যত দ্রুত সম্ভব সম্পূর্ণরূপে সংযুক্ত ও বুদ্ধিমান বিশ্ব গঠনের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। সরকারের সহায়তায় হুয়াওয়ে সেখানে সাফল্যের সঙ্গে ২০ বছর পূর্ণ করেছে এবং ‘ভিশন ২১’ প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করছে। নিরবচ্ছিন্ন নেটওয়ার্ক, শক্তিশালী ডিভাইস ও সহজতম ক্লাউড কম্পিউটিং অভিজ্ঞতা নিয়ে আমরা বাংলাদেশের ভবিষ্যত নির্মাণ করতে চাই। স্পেনের বার্সিলনায় মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস-’১৯ গত ২৫ ফেব্রুয়ারিতে শুরু হয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়েছে। এখানে হুয়াওয়ে ‘রুরালস্টার লাইট’ নামে একটি নতুন নেটওয়ার্কিং সল্যুশনসহ কিছু নতুন প্রযুক্তি এনেছে। এই সল্যুশনটি গ্রামগুলোতে সাশ্রয়ী মূল্যে ভয়েস এবং মোবাইল ব্রডব্যান্ড (এমবিবি) সেবা দেবে। একই সঙ্গে হুয়াওয়ে ‘ফিউশনস্টোরেজ ৮ দশমিক শূন্য’ নামক পরবর্তী প্রজন্মের ডেটা-সেন্টার লেভেলের কনভারজড ডিস্ট্রিবিউটেড স্টোরেজ প্রযুক্তিও প্রকাশ করেছে।
×