ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বাঁশখালীতে থামছে না নদীখেকোদের দৌরাত্ম্য

প্রকাশিত: ০৯:১৪, ১ মার্চ ২০১৯

বাঁশখালীতে থামছে না নদীখেকোদের দৌরাত্ম্য

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁশখালী, ২৮ ফেব্রুয়ারি ॥ দিনের পর দিন অবৈধ দখলের দরুন মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে বঙ্গোপসাগরের মোহনা জলকদর খাল। দিন দিন অবৈধ দখলের মাত্রা বেড়েই চলেছে। থামছে না নদী খেকোদের দৌরাত্ম্য। জলকদর খাল শুরু হয়ে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পানি উন্নয়ন ও পরিবেশ অধিদফতর রহস্যজনক কারণে নীরব ভূমিকা পালন করছে। এদিকে বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেষে বয়ে যাওয়া জলকদর খাল চট্টগ্রামের বাঁশখালীর ৯টি উপকূলীয় ইউনিয়নের ওপর দিয়ে প্রবাহিত। সেই জলকদর খালের ওপর দীর্ঘদিন থেকে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করে যাচ্ছে প্রভাবশালী মহল ও ভূমিদস্যুরা। একের পর এক নদী দখল করে নির্মাণ করা হচ্ছে নতুন নতুন স্থাপনা। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ অবৈধ দখলদার উচ্ছেদে প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্যে আটকা রয়েছেন। এলাকাবাসীর মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে জলকদর খাল দখল করে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দায়িত্ব কার? এদিকে অবৈধ দখলদারদের কারণে ভারী বর্ষণের পানি নদীতে প্রবাহিত হতে না পারায় লোকালয় নিমজ্জিত হচ্ছে পানির তলে। এই নিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে দখলদারদের চলছে উত্তেজনা। তাছাড়া প্রতিবাদকারীদের ফাঁসাতে চাঁদাবাজি মামলাও দায়ের করছে প্রভাবশালী মহল। এই যখন উপকূলীয় এলাকায় বসবাসকারী মানুষদের অবস্থা তখন পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক রহস্যজনক কারণে নীরব ভূমিকা পালন করছে। বৃহস্পতিবার বাঁশখালীর পুঁইছড়ি ইউনিয়নের সরলিয়া বাজার সংলগ্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায় নদী দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের হিড়িক পড়েছে। এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দখল নিয়ন্ত্রণে রয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী শিহাব উল আজিম চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি। এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে তাকে মামলায় ফাঁসানোরও হুমকি দেন বলে জানান এলাকাবাসী। তাছাড়া নদী দখলে রয়েছে প্রভাবশালী মহলের একাধিক সিন্ডিকেট। এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খ.ম. জুলফিকার আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নদী দখল করে স্থাপনা নির্মাণের বিষয়টি অনেক আগে থেকেই অবহিত হয়েছি আমরা। তবে এ বিষয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে বলেও তিনি জানান।
×