ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

কচুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের ২৯ পদের ২৩টি শূন্য

প্রকাশিত: ০৯:১৩, ১ মার্চ ২০১৯

কচুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের ২৯ পদের ২৩টি শূন্য

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের ২৯টি পদের মধ্যে ২৩টি পদই শূন্য। ১৩ বছর আগে আনুষ্ঠানিকভাবে এ হাসপাতাল ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও আজও পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়নি। আগের লোকবল দিয়ে চলছে ৫০ শয্যার এ হাসপাতাল। চিকিৎসক সঙ্কটের কারণে অধিকাংশ ক্ষেত্রে এ হাসপাতাল থেকে রোগীদের রেফার্ড করা হয়। ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হয় সেবা গ্রহীতাদের। এতে অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যুর হারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। হাসপাতালের প্রতিবেদন অনুযায়ী দৈনিক গড়ে প্রায় ১০ রোগী ভর্তি হয়ে হাসপাতালে পাঁচদিন অবস্থান নিয়ে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন। জরুরী বিভাগ হতে প্রতিদিন গড়ে ২৫১ রোগী চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। ভুক্তভোগীরা জানান, সরকারী একমাত্র এ্যাম্বুলেন্সটি দীর্ঘদিন ধরে বিকল রয়েছে। এ্যাম্বুলেন্সের মতো রুগ্ন অবস্থা প্যাথলজি। পাম্প মেশিনটি অকার্যকর থাকায় প্রয়োজনীয় পানি সরবরাহ হচ্ছে না। কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আলহাজ মোঃ মনজুরুল আলম জানান, চিকিৎসকসহ লোকবল সঙ্কট থাকার পরেও স্থানীয় ব্যবস্থাপনায় সিজার, সাধারণ গর্ভপাতসহ অপারেশন চলছে। সরকারীভাবে বরাদ্দকৃত ১৬৩ পদের মধ্যে ১০২টি পদে লোকবল আছে। ৬১ পদই রয়েছে শূন্য। প্রথম শ্রেণীর ২৯টির মধ্যে ২৩টি, দ্বিতীয় শ্রেণীর ২৬টির মধ্যে আটটি, তৃতীয় শ্রেণীর ৮৪টির মধ্যে ২৫টি এবং চতুর্থ শ্রেণীর ২৪টির মধ্যে ছয়টি পদ শূন্য রয়েছে। তবে শূন্যপদগুলো দ্রুত পূরণের প্রক্রিয়া চলছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এছাড়া জেনারেটর, ইসিজি মেশিন বিকল হয়ে পড়ে আছে দীর্ঘদিন। ফলে কচুয়ার প্রায় এক লাখ মানুষ যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা ও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রথম শ্রেণীর গুরুত্বপূর্ণ শূন্য পদগুলো হচ্ছে- আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার, জুনিয়র কনসালটেন্ট শিশু, গাইনী, চক্ষু, মেডিসিন, শৈল্য, এ্যানেসথেসিয়া, অর্থো, কার্ডিওলজি, ইএনটি, চর্ম ও যৌন। মঘিয়া ও গোয়ালমাঠ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জন্য দুইজন মেডিক্যাল অফিসার, প্যাথলজিস্ট, এ্যানেসথেটিস্ট, মেডিক্যাল অফিসার (আয়ুর্বেদিক) এবং গজালিয়া, ধোপাখালী, কচুয়া সদর, গোপালপুর, বাধাল ইউনিয়নের প্রতিটিতে একজনসহ মোট সাতজন সহকারী সার্জন।
×