ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ডি মারিয়ার নৈপুণ্যে সেমিতে পিএসজি

প্রকাশিত: ১১:৩৮, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

ডি মারিয়ার নৈপুণ্যে সেমিতে পিএসজি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আর্জেন্টাইন তারকা এ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার ঝকঝকে নৈপুণ্যে ভর করে ফরাসী কাপের সেমিফাইনালে উঠেছে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন (পিএসজি)। মঙ্গলবার রাতে কোয়ার্টার ফাইনালে অতিথি ডিজনকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে টমাস টাচেলের দল। প্যারিসের পার্ক দ্য প্রিন্সেস স্টেডিয়ামে পিএসজির জয়ে জোড়া গোল করেন ডি মারিয়া। অপর গোলটি করেন বেলজিক ডিফেন্ডার টমা মুনিয়ে। দলের প্রধান দুই তারকা নেইমার ও এডিনসন কাভানিকে ছাড়া জয় পেতে সমস্যা হয়নি পিএসজির। পুরো ম্যাচেই প্রাধান্য বিস্তার করে খেলে সহজ জয় তুলে নিয়েছে স্বাগতিকরা। এই ম্যাচে আক্রমণভাগের আরেক তারকা কিলিয়ান এমবাপেকেও বেঞ্চে রেখে একাদশ সাজান কোচ টাচেল। তিন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ের অনুপস্থিতিতে দুর্দান্ত এক গোলে ম্যাচের শুরুর দিকে পিএসজিকে এগিয়ে নেন ডি মারিয়া। ম্যাচের অষ্টম মিনিটে ইউলিয়ান ড্রাক্সলারের থ্রু পাস পেয়ে ডি বক্সের বাইরে থেকে চিপ শটে গোলরক্ষকের ওপর দিয়ে বল ঠিকানায় পাঠান আর্জেন্টিনার এ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। আধিপত্য ধরে রেখেছে ম্যাচের ২৮ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে স্বাগতিকরা। এবারের গোলেও অবদান রাখেন জার্মান মিডফিল্ডার ড্রাক্সলার। তার দেয়া পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডি বক্সে ঢুকে আগুয়ান গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে ডানদিকে সতীর্থ ফরোয়ার্ড এরিক মাক্সিম চুপো-মোটিংয়ের উদ্দেশে বল বাড়ান ডি মারিয়া। এরপর তার পাস ফিরিয়ে দেন অতিথি এক ডিফেন্ডার। কিন্তু বল চলে যায় ফের মারিয়ার কাছে। অনেকটা দুরূহ কোণা থেকে দারুণ শটে গোল করেন রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক তারকা ডি মারিয়া। দারুণ ফর্মে থাকা আর্জেন্টাইন তারকার মৌসুমে এটি নবম গোল। বিরতির পর ৭৬ মিনিটে আরেক গোল করে সহজ জয় নিশ্চিত করে পিএসজি। ডি বক্সে একজনকে কাটিয়ে কাটব্যাক করেন মোটিং। এরপর বেলজিয়ামের ডিফেন্ডার মুনিয়ে প্লেসিং শটে গোল করেন। ম্যাচ শেষে জোড়া গোলদাতা ডি মারিয়া বলেন, এটা দারুণ একটি ম্যাচ ছিল। আমি গোল করেছি বলে না, সবাই ভাল খেলেছে। তবে আমাদের কাজ শেষ হয়ে যায়নি। আরও দু’টি জয় প্রয়োজন যেন শিরোপা শোকেসে উঠাতে পারি। পিএসজি কোচ টমাস টাচেল তিন প্রধান তারকাকে ছাড়াই এই জয়কে ‘বিশেষ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, সবাই জানেন নেইমার ও কাভানি আপাতত বাইরে। অবিরাম খেলার কারণে এমবাপেকেও বিশ্রাম দেয়া হয়েছে। তাদের ছাড়াই ছেলেরা যেভাবে খেলেছে সেটা এককথায় অনবদ্য। এদিকে আগামী ৬ মার্চ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগের লড়াইয়ের পর নেইমারের অনুশীলনে ফেরার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন টাচেল। গত ২৩ জানুয়ারি থেকে পায়ের ইনজুরির কারণে বিশ্বের সবচেয়ে দামী খেলোয়াড় মাঠের বাইরে আছেন। স্ট্র্যাসবার্গের বিপক্ষে ফ্রেঞ্চ কাপের ফাইনালে তিনি ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে ১০ সপ্তাহের জন্য বিশ্রামে যেতে বাধ্য হয়েছেন। পিএসজি আশা করছে এপ্রিলে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের সম্ভাব্য কোয়ার্টার ফাইনালের আগেই দলের এই মূল তারকা ফিরে আসবেন। গত ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে চিকিৎসার কারণে নেইমার নিজ দেশ ব্রাজিলে অবস্থান করছেন। পিএসজি প্রথম লেগে ২-০ গোলের জয়ের ম্যাচটিতেও নেইমার খেলতে পারেননি। এ প্রসঙ্গে টাচেল বলেন, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচের আগে নেইমারের ফিরে আসাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তবে আশা করছি ম্যাচটির পরপরই সে অনুশীলনে ফিরতে পারবে। সময়ের ব্যবধানের কারণে তার সঙ্গে কথা বলাটা কঠিন হয়ে পড়েছে। কিন্তু আমরা নিয়মিত মেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখছি। আমি জানি ব্রাজিলে সে যখন থাকে ভালই থাকে। নেইমারের অনুপস্থিতিতে ফরাসী চ্যাম্পিয়নরা সাতটি ম্যাচ জিতেছে ও একটিতেই হেরেছে।
×