ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রাজনীতি করি মানুষের জন্য

প্রকাশিত: ১০:৫০, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

রাজনীতি করি মানুষের জন্য

সংসদ রিপোর্টার ॥ প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, রাজনীতি করি দেশের মানুষের জন্য, নিজের জন্য নয়। মানুষের সমস্যা জানার ও তা সমাধানের চেষ্টা করি। রাজনীতিবিদ হিসেবে এটাই আমার কর্তব্য বলে মনে করি। ক্ষমতা ভোগ করার বিষয় নয়, জনসেবার বিষয়। সেজন্যই কিভাবে দেশের মানুষের কল্যাণ করতে পারি, সে লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি। সামাজিক সচেতনতার সৃষ্টির মাধ্যমে মাদকমুক্ত দেশ ও সমাজ গড়ে তোলার ওপর সবাইকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এমপি নিজ নিজ এলাকায় কেউ যাতে মাদকাসক্ত না হয়, সে বিষয়ে সচেষ্ট থাকতে হবে। অন্য জনপ্রতিনিধিদেরও সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে সচেষ্ট থাকতে হবে। মাদক ব্যবহার, বিক্রি বা বহন এগুলো যে অপরাধ, জনগণ এ বিষয়ে এখন যথেষ্ট সচেতন। তিনি বলেন, সরকার যাদের আত্মসমর্পণ করাচ্ছে (মাদক কারবারি), তাদের চিকিৎসা ও কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে মাদক থেকে দূরে রাখার পদক্ষেপ নিয়েছি। মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে যারা আত্মসমর্পণ করছে তাদের সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক সাহায্য দেয়া হচ্ছে, যাতে তারা অন্য কোন ব্যবসায় নিয়োজিত হয়ে ভালভাবে চলতে পারে। এভাবে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কারণ বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার দেশে আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলার উন্নয়ন, সন্ত্রাস দমন, চাঁদাবাজি রোধ ও জঙ্গীবাদ দমনে এবং মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে আমরা সর্বদা তৎপর। ইতোমধ্যে জঙ্গীবাদ দমনের সাফল্য বিশ্বে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বুধবার সংসদ অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে একাধিক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। কাজী ফিরোজ রশীদের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেখানে যেখানে মাদক চোলাচালান হয়, বিশেষ করে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে মাদক নিয়ন্ত্রণ ও চোরাচালান বন্ধে সরকার পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নিয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৮ অনুযায়ী মাদক পরিবহন ও চোরাচালানের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তির (মৃত্যুদ-) বিধান রাখা হয়েছে। প্রতিটি জেলায় মাদক নিরাময় কেন্দ্র স্থাপনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ঢাকায় গণপরিবহন ব্যবস্থা চালু ॥ জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নুর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা বলেন, রাজধানীর যানজট নিরসনে গণপরিবহন ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা হবে। আমরা যখনই সরকারে আসি তখনই গণপরিবহন ব্যবস্থার ওপর জোর দিই। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় এসে বিআরটিসিসহ গণপরিবহন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছিল। কারণ বিআরটিসি লাভজনক নয়। আমরা ক্ষমতায় এসে আবার বিআরটিসিকে শক্তিশালী করার পদক্ষেপ নেই। তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় এসে অনেক বিআরটিসি বাস কিনি। কিন্তু আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াত ৩ থেকে ৪শ’ বিআরটিসির বাস পুড়িয়ে দিয়েছে। তাই আমরা গণপরিবহন যত বেশি চালু করতে পারি সে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। ঢাকা শহরে মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার সবই গণপরিবহনের আওতায় আনা হচ্ছে। যানজট নিরসনে বিআরটিসিকে শক্তিশালী করার উদ্যোগও সরকার নিয়েছে। জাপার কাজী ফিরোজ রশীদের প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা বলেন, বিশ্বের সব দেশেই ট্রাফিক সমস্যা আছে। লন্ডন, যুক্তরাষ্ট্রসহ বড় বড় দেশেও এ সমস্যা রয়েছে। কারণ জনসংখ্যা বাড়ছে, মানুষের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় গাড়ি ব্যবহারের সংখ্যাও বাড়ছে। তিনি বলেন, ঢাকার যানজট নিরসনে আধুনিক ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা ও ডিজিটাল পদ্ধতি চালুর পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এটা চালু হলে যানজট নিরসন আরও কার্যকর হবে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী সবাইকে ট্রাফিক আইন মেনে চলার উদাত্ত আহ্বান জানান। দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম মহানগরে যানজট নিরসনে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। প্রতিটি গ্রামে শহরের সুবিধা ॥ জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নুর প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে দেশের সকল গ্রামকে শহরের সুযোগ-সুবিধা দিতে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য এসেছে। কৃষিজ ও অকৃষিজ উভয়ক্ষেত্রে কর্মকা- বহুগুণ সম্প্রসারিত হয়েছে। ফলে গ্রামীণ পরিবারের আয় ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে অকৃষি খাতের অবদান বেড়ে চলেছে। আমাদের মূল লক্ষ্যই হলোÑ সব গ্রামে শিক্ষা, চিকিৎসাসহ সকল ধরনের নাগরিক সুবিধা পৌঁছে দেয়া। তিনি বলেন, প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণ বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অন্যতম নির্বাচনী অঙ্গীকার। এ অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার গ্রামকেন্দ্রিক নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি জানান, স্বাধীন দেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নগর ও গ্রামের বৈষম্য ক্রমাগতভাবে দূর করার উদ্দেশ্যে কৃষিবিপ্লব, গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুতায়ন, কুটির শিল্প ও অন্যান্য শিল্পের বিকাশ এবং শিক্ষা, যোগাযোগ-ব্যবস্থা ও জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নের মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলের আমূল রূপান্তর সাধনের জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে অঙ্গীকার করেছিলেন। সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমরা প্রতিটি গ্রামকে শহরে উন্নীত করার কর্মসূচী গ্রহণ করেছি। শেখ হাসিনা বলেন, গত দুই মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের বহুমাত্রিক তৎপরতা, যেমন- শিক্ষা সম্প্রসারণ, কৃষি ও অকৃষি খাতে দক্ষ জনবল বাড়াতে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা-প্রশিক্ষণের সুযোগ বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যসেবার সম্প্রসারণ, গ্রামাঞ্চলে আর্থিক সেবা খাতের পরিধি বিস্তার, কৃষি প্রযুক্তির সম্প্রসারণ, বিদ্যুতায়ন, গ্রামীণ অবকাঠামো ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ইত্যাদি গ্রামোন্নয়ন প্রয়াসকে ত্বরান্বিত করেছে। প্রবাসীদের প্রেরিত অর্থের প্রবাহ বৃদ্ধি গ্রামীণ অর্থনীতির এই বিকাশ প্রক্রিয়ায় সহায়ক হচ্ছে। ঢাকার চতুর্দিকে বৃত্তাকার রেলপথ ॥ সরকারী দলের সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকা মহানগরীর যানজট সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে গত ১০ বছরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মাধ্যমে বেশকিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে এবং অনেক প্রকল্প এখন বাস্তবায়নাধীন। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলে খুব শীঘ্রই ঢাকার যানজট মুক্ত করা হবে আশা করা যায়। আগামী দিনের পরিকল্পনার মধ্যে ঢাকা শহরের চতুর্দিকে বৃত্তাকার রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পও রয়েছে। যানজট নিরসনে আগামীদিনের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে তিনি জানান, ’৩০ সালের মধ্যে ঢাকা মহানগরী ও তৎসংলগ্ন পার্শ্ববর্তী মহানগরীর সঙ্গে দ্রুতগতির আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা হিসেবে কমলাপুর হতে নারায়ণগঞ্জ রুটে প্রায় ১৬ কিমি দীর্ঘ এমআরটি লাইন-৪ নির্মাণ, গাবতলী থেকে চট্টগ্রাম রোড পর্যন্ত ২৪ কিমি দীর্ঘ এমআরটি লাইন-২ নির্মাণ করা হবে। তিনি জানান, পরিকল্পনার মধ্যে ঢাকা শহরের চারদিকে দুটি রিং রোড (ইনার ও মিডল) নির্মাণ, পিপিপি ভিত্তিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ, যান্ত্রিক কার পার্কিং সিস্টেম চালুকরণ, পথচারীবান্ধব সড়ক ও ফুটপাথ উন্নয়ন, আমিনবাজার হতে গাবতলী-রাসেল স্কয়ার-নিউমার্কেট হয়ে পলাশী/আজিমপুর পর্যন্ত মিরপুর রোডে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) মাধ্যমে এলিভেটেড র‌্যাপিড ট্রানজিট বাস নির্মাণ প্রকল্প রয়েছে। মাদক নিয়ন্ত্রণে জিরো টলারেন্স ॥ সরকারী দলের মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী মাদক নিয়ন্ত্রণে তার সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কথা তুলে ধরে বলেন, মাদকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে যুব সমাজকে মুক্ত রাখার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার বদ্ধপরিকর। সমাজকে মাদকমুক্ত করার জন্য একটি বাস্তবমুখী পরিকল্পনার আওতায় নানামুখী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ’১৮ প্রণয়ন করা হয়েছে। যেখানে মাদকের পরিমাণ ভেদে সাজার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। মাদক সংশ্লিষ্ট মামলাসমূহ দ্রুত ও যথাযথভাবে নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি ও পুলিশের চলমান অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। জঙ্গীবাদ নির্মূলেও জিরো টলারেন্স ॥ সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকার দেশে আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। জঙ্গীবাদ নির্মূলসংক্রান্ত বর্তমান সরকার কর্তৃক গৃহীত জিরো টলারেন্স নীতির আলোকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কার্যক্রম পরিচালনা করছে। জঙ্গীবাদ দমনে পুলিশের অপারেশনাল ও লজিস্টিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, স্পেশালাইজড নতুন ইউনিট কাউন্টার টেররিজম এ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ও এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ) গঠন, বাহিনীর সদস্যদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ এবং আধুনিক তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহার বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি জানান, জঙ্গীবাদ দমনে বাংলাদেশ পুলিশ এ যাবত বেশ কিছু বড় ধরনের সফল অভিযান পরিচালনা করে জঙ্গী তৎপরতা প্রতিরোধ করেছে। জঙ্গী সংশ্লিষ্ট কাজের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্তকরণের সুবিধার্থে হ্যালো সিটি, রিপোর্ট টু র‌্যাব প্রভৃতি অনলাইন এ্যাপস চালু করা হয়েছে। জঙ্গীদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি জামিনে মুক্তিপ্রাপ্ত, সাজাপ্রাপ্ত ও আটক জঙ্গীদের নিবিড় নজরদারির ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশে জঙ্গীবাদ দমনে সফলতা বিশ্বে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। উন্নয়নশীল দেশের কাতারে বাংলাদেশ ॥ সরকারদলীয় সংসদ সদস্য ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুনের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হয়েছে। ’৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভিলক্ষ্য অর্জন, ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত, সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরের জন্য বাংলাদেশের গড় প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশে উন্নীত করার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। কাক্সিক্ষত প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগের পাশাপাশি বৈদেশিক বিনিয়োগ আকৃষ্টের জন্য আমরা বহুবিধ কার্যক্রম গ্রহণ করেছি। তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছে। ব্যক্তি খাতেও অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার অনুমতি দেয়া হয়েছে। এ সকল অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন সম্পন্ন হলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় এক কোটি লোকের কর্মসংস্থান এবং বছরের অতিরিক্ত প্রয় ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ মূল্যের পণ্য/সেবা, উৎপাদন/রফতানি করা সম্ভব হবে। সংসদ নেতা জানান, ইতোমধ্যে ৮৮ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য স্থান নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। বাংলাদেশে শিল্প খাতে বিনিয়োগকারী, বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণকারী এবং এ দেশ থেকে যে সব অনাবাসী বিদেশে বাংলাদেশী পণ্য আমদানি করেন সেসব অনাবাসীকে সিআইপি পদমর্যাদা দেয়ার ব্যবস্থা অব্যাহত রাখা হবে। রাজধানীর পাশেই চার স্যাটেলাইট সিটি ॥ সরকারদলীয় অপর সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজধানীর জনসংখ্যার চাপ কমানোর জন্য ইতোপূর্বে পার্শ্ববর্তী এলাকায় চারটি স্যাটেলাইট সিটি নির্মাণের লক্ষ্যে পিপিপি পদ্ধতিতে প্রকল্প গ্রহণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিল। তিনি জানান, ওই চারটি স্যাটেলাইট সিটি হচ্ছেÑ বংশী-ধামরাই স্যাটেলাইট টাউন উন্নয়ন, ধলেশ্বরী-সিংগাইর স্যাটেলাইট টাউন উন্নয়ন, ইছামতি-সিরাজদিখান স্যাটেলাইট টাউন উন্নয়ন ও সাভার স্যাটেলাইট টাউনে হাইরাইজ এপার্টমেন্ট প্রকল্প। প্রকল্পগুলো পিপিপি পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কার্যক্রম চলছে। এছাড়াও গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় রাজধানীর পার্শ¦বর্তী এলাকায় চারটি স্যাটেলাইট সিটি, বিশেষ করে ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণে রাজউকের দুটি এবং গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের ঢাকার পশ্চিমে ও দক্ষিণে দুটি প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
×