ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঝুঁকিপূর্ণ পোশাক কারখানা ১৬৩

প্রকাশিত: ০৯:৪০, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

ঝুঁকিপূর্ণ পোশাক কারখানা ১৬৩

সংসদ রিপোর্টার ॥ সরকারীভাবে চিহ্নিত ঝুঁকিপূর্ণ পোশাক কারখানার সংখ্যা ১৬৩টি। এর মধ্যে ৩৯টি কারখানা বন্ধ ও ৮৬টি কারখানা আংশিক বন্ধ করা হয়েছে। অবশিষ্ট কারখানার সংস্কার কাজ চলছে। বুধবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ তথ্য জানান বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি। সরকারী দলের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরও জানান, রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর ইউরোপীয় ক্রেতা সংগঠন একর্ড, উত্তর আমেরিকার ক্রেতা সংগঠন এ্যালায়েন্স ও জাতীয় উদ্যোগের আওতায় ৩৭৮০টি কারখানার প্রিলিমিনারি এ্যাসেসমেন্ট সম্পন্ন করা হয়েছে। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের মহাপরিদর্শক, রাজউক/সিডিএ/কেডিএ এর সদস্য ও বুয়েট এর সদস্যদের সমন্বয়ে রিভিউ প্যানেল এসব কারখানা চিহ্নিত করে। বর্তমানে একর্ড এর সংস্কার কার্যক্রমের অগ্রগতির হার ৮৪ ভাগ এবং এ্যালায়েন্সের হার ৯০ ভাগ। জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেনের প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে প্রধানত চাল, গম, ডাল, দুধ ও চিনি জাতীয় খাদ্য আমদানি করা হয়ে থাকে। এছাড়া গুঁড়া মসলা, হিমায়িত ও জীবন্ত মাছ, চিংড়ি মাছ, ফলমূল, কৃষি পণ্য, শাক-সবজি প্রভৃতি খাদ্য সামগ্রী রফতানি করে থাকে। বিদেশ থেকে চিনি আমদানি নিয়ে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীমের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, বর্তমানে ব্রাজিল, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য ও মালোয়েশিয়া থেকে চিনি আমদানি করা হয়ে থাকে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে চিনির বার্ষিক চাহিদা প্রায় ১৬ লাখ মেট্রিক টন। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সরকারী চিনিকলে উৎপাদন ছিল ৬৮ হাজার ৫৬২ মেট্রিক টন। দেশের চাহিদা অনুযায়ী চিনির উৎপাদন কম থাকায় চিনি আমদানি বন্ধ করার কোন পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই।
×