ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সাক্ষাতকারে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ ফার্মাসিস্ট আনোয়ার

ব্রিটেনে ফিরতে চান আইএস জঙ্গীদের ‘চিকিৎসক’

প্রকাশিত: ০৯:৩২, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

ব্রিটেনে ফিরতে চান আইএস জঙ্গীদের ‘চিকিৎসক’

ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জঙ্গীদের চার বছর চিকিৎসা দিয়ে এখন সিরিয়ায় বন্দী জীবনে থাকা বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ ফার্মাসিস্ট মোহাম্মদ আনোয়ার মিয়া (৪০) এখন যে কোন শর্তে ব্রিটেন ফিরতে চান। ডেইলি মেইলকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা বলেন। নিউজ সামড আপ। আনোয়ার বলেছেন, সিরীয় স্ত্রী আর দুই সন্তানকেও ব্রিটেনে নিয়ে যেতে চান তিনি। সিরিয়ায় শরণার্থী শিবিরে থাকা শামীমা বেগম নামের আরেক বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ কিশোরী সম্প্রতি তার সন্তানকে নিয়ে লন্ডনে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। যিনি ২০১৫ সালে সিরিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন আইএসে যোগ দেয়ার জন্য। তবে ব্রিটেন সরকার তার আবেদনে সাড়া না দিয়ে উল্টো তার নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়ার নোটিস পাঠিয়েছে। আনোয়ার ২০১৪ সালে সিরিয়ার উদ্দেশে ব্রিটেন ছাড়ার আগে থাকতেন বার্মিংহামে। ভুয়া কর্মীর নাম সৃষ্টি করে বেশি কর্মঘণ্টা কাজ করে বাড়তি টাকা আয়ের অভিযোগে ২০১৩ সালে তার ফার্মাসিস্ট লাইসেন্স বাতিল করা হয়। সিরিয়া গিয়ে আইএসের তথাকথিত খিলাফতে আনোয়ারের নতুন নাম হয় আবু ওবাইদা আল-ব্রিটানিয়া। তিনি বলেন, আইএসের অধীনে মায়াদিন শহরে তিনি চার বছর অর্থোপেডিক সার্জন হিসেবে কাজ করেছেন। এ বিষয়ে ডিগ্রী না থাকলেও বই পড়ে তিনি ডাক্তারী শিখেছেন। আনোয়ার দাবি করেছেন, তিনি কখনই আইএস এর অনুগত ছিলেন না। তিনি অবৈধভাবে সিরিয়া গিয়েছিলেন ‘মানবিক কারণে’। ডেইলি মেইল লিখেছে, গত আগস্টে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আর নয় মাসের মেয়েকে নিয়ে একটি মোটরবাইকে করে মায়াদিন থেকে পালানোর সময় ইরাক সীমান্তের কাছে কুর্দী বাহিনীর হাতে আটক হন আনোয়ার। পরে সিরীয় বাহিনী তার স্ত্রী ও মেয়েকে সরিয়ে নিলে পরিবারের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান আনোয়ার। ফলে দ্বিতীয় সন্তানকে কখনও তিনি দেখেননি। আনোয়ার জানেন না তার স্ত্রী সন্তানরা এখন কোথায় আছে। তার দাবি, তার সন্তানরা বাবার সূত্রে ব্রিটিশ নাগরিক। তাদের নিয়ে তিনি ব্রিটেনে ফিরে যেতে চান। তিনি বলেন, আমি বাড়ি ফিরতে চাই। আমি একজন গর্বিত ব্রিটিশ নাগরিক। ব্রিটেন মানবাধিকারের প্রতি সম্মান দেয়। এটা খুবই ভাল। ডেইলি মেইলকে আনোয়ার বলেছেন, তিনি তার স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে ব্রিটেনে ফিরে যেতে চান। স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে চান। যদি তারা আমার স্ত্রীকে স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা দিতে রাজি নাও হয়, কেবল থাকার অনুমতি দিলেই আমি খুশি। আমি আমার জীবনে কখনও কোন সুবিধা চাইনি। আমি কাজ করে খেয়েছি, নিয়মিত কর দিয়েছি।
×