ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পাকিস্তানের মর্টার হামলায় দুই ভারতীয় নিহত

প্রকাশিত: ২৩:০০, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

পাকিস্তানের মর্টার হামলায় দুই ভারতীয় নিহত

অনলাইন ডেস্ক ॥ ভারতীয় সীমান্ত এলাকার শূন্যরেখায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ভারী মর্টারশেল হামলায় দুই ভারতীয় নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, এ হামলায় অনেকে আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সন্ধায় সাড়ে ৬টার দিকে ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র জানান, পুঞ্চ এলাকায় নিয়ন্ত্রণ লাইনের কাছে পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ভারী মর্টারশেল ও অস্ত্র দিয়ে এ হামলা চালায়। এতে অনেকে আহত হয়েছেন। ওই এলাকার পুলিশ দাবি করছে, পাক সেনারা গ্রামবাসীর ওপর মর্টার বোমা হামলা চালিয়েছে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ভয়াবহ আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় ভারতের কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীর (সিআরপিএফ) কমপক্ষে ৪৬ সদস্য নিহত হয়েছেন। ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠী জয়েশ-ই-মোহাম্মদ। এরপর থেকেই ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর মাঝেই মঙ্গলবার ভোর সাড়ে তিনটার দিকে ১২টি মিরাজ-২০০০ জঙ্গিবিমান নিয়ে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে জয়েশ-ই-মোহাম্মদের আস্তানায় অভিযান চালায় ভারতীয় নৌ-বাহিনী। বিমান থেকে এক হাজার কেজি বোমা বর্ষণ করে জঙ্গিগোষ্ঠী জয়েশ-ই-মোহাম্মদের বেশ কিছু ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে নয়াদিল্লি। এ নিয়ে দুই দেশের মাঝে যুদ্ধংদেহী অবস্থা বিরাজ করছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির সঙ্গে জরি এক বৈঠকের পর সেনাবাহিনী ও দেশের সাধারণ মানুষকে যেকোনো ধরনের পরিস্থিতিতে তৈরি থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে, পাক-কাশ্মীরে অভিযানের ব্যাপারে ১২টি দেশের প্রতিনিধিকে জানিয়েছে নয়াদিল্লি। মঙ্গলবার বিকেলের দিকে ভারতের পররাষ্ট্রবিষয়ক সচিব বিজয় গোখলে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্কসহ আসিয়ানের সদস্য ছয় দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠক করেন। বৈঠকে ভারতীয় বিমান বাহিনী সীমান্ত রেখা পেরিয়ে কাশ্মীরে জঙ্গিগোষ্ঠী জয়েশ-ই-মোহাম্মদের আস্তানা গুঁড়িয়ে দিয়েছে বলে প্রতিনিধিদের অবহিত করেন তিনি। ভারত বলছে, কাশ্মীরে ভারতীয় অভিযানে জয়েশের প্রধান মাসুদ আজহারের শ্যালক ইউসুফ আজহারসহ অন্তত ৩০০ জঙ্গি মারা গেছেন। তবে হামলায় কোনো ধরনের হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে দাবি করেছে পাকিস্তান। তারা বলছে, পাকিস্তানের যথাযথ জবাবে পালিয়ে গেছে ভারতীয় বিমান।
×