ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ডাকসু নির্বাচনে ২৫ পদে প্রতিদ্বন্দ্বী ২৩৭

প্রকাশিত: ১১:১০, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

ডাকসু নির্বাচনে ২৫ পদে প্রতিদ্বন্দ্বী ২৩৭

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ২৫টি পদের বিপরীতে ২৩৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। অন্যদিকে ১৮টি হলে সকল পদের বিপরীতে ৫৯০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র জমা শেষে ডাকসুর প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। উল্লেখ্য, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হলের অফিস থেকে মনোনয়ন ফরম বিতরণ করা হয়। মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত মনোনয়ন জমা নেয়া হয়। আজ বুধবার প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ হবে। এছাড়া ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রার্থিতা বাতিল করা যাবে। আগামী ১১ মার্চ ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ডাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলীম ও আসিফ ॥ ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভিপি ও জিএস পদে এককভাবে প্রার্থী হচ্ছেন আলীম হায়দার ও এ আর এম আসিফুর রহমান। মঙ্গলবার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তারা ফরম জমা দিয়েছেন। এছাড়া ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত বিভিন্ন পত্রিকার বেশকিছু সাংবাদিক হল সংসদ নির্বাচনে এককভাবে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন। ভিপি পদপ্রার্থী আলীম হায়দার ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে অধ্যয়নরত আছেন। ২০১২ সালে ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে গড়ে উঠা প্ল্যাটফর্ম ‘শিক্ষার্থী অধিকার মঞ্চ’ এর প্রচার সেলের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। এছাড়া তিনি জাতীয় কবিতা পরিষদসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। অন্যদিকে জিএস পদপ্রার্থী এ আর এম আসিফুর রহমানও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী। তিনি ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি হিসেবে দুইবার দায়িত্ব পালন করেছেন। বিশ^বিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে তার সরব উপস্থিতি রয়েছে। আলীম হায়দার বলেন, ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত আছি। বিভিন্ন সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে কাজ করেছি। দীর্ঘ ২৮ বছর পর ডাকসু নির্বাচনের সুযোগ এসেছে। নির্বাচিত হওয়ার মাধ্যমে তাদের জন্য কাজ করতে চাই। আজ বুধবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন জানান এ আর এম আসিফুর রহমান। তিনি বলেন, স্বতন্ত্রভাবেই এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে তাদের জন্য কাজ করতে চাই। এজন্য সবার কাছে ভোট ও দোয়া কামনা করছি। বৃহৎ প্যানেল করার বিষয়ে তিনি বলেন, কোন ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠন বা প্রার্থীর সঙ্গে যদি আদর্শিক দ্বন্দ্ব না থাকে তাহলে আমি যে কাউকেই স্বাগত জানাব। ছাত্রলীগের বিদ্রোহী প্যানেল প্রত্যাহার ॥ ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ছাত্রলীগের একাংশের ঘোষিত প্যানেল প্রত্যাহার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে বিশ^বিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ভিপি প্রাথী সোহান খান এই প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রলীগ পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করে। যোগ্য ও অভিজ্ঞদের মনোনয়ন না দেয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে পরের দিনই বিদ্রোহী প্যানেল ঘোষণা করেন তারা। এই প্যানেলে ভিপি পদে ছাত্রলীগের সোহাগ-জাকির কমিটির সহ-সভাপতি সোহান খান, জিএস পদে সার্জেন্ট জহরুল হক হলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বুলবুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দেন। প্যানেল প্রত্যাহারের যৌক্তিকতা হিসেবে সোহান খান বলেন, প্যানেল ঘোষণার পর সোমবার আওয়ামী লীগের নেতারা আমাদের ডেকেছিলেন। তারা আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাদের কথায় আমরা সন্তুষ্ট। এজন্য প্যানেল প্রত্যাহার করছি। ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী অসাম্প্রদায়িক সাধারণ শিক্ষার্থীদের পরিষদ’ নামে ছাত্রলীগ নেতাদের এই প্যানেলের নেতাদের নিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা বৈঠকে বসেন। বৈঠকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপদফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মোল্লা মোঃ আবু কাওসার, আওয়ামী লীগের সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ বদিউজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
×