ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

পাওনা না পাওয়ায় সালাউদ্দিনসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: ১১:৪৯, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

পাওনা না পাওয়ায় সালাউদ্দিনসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ পাওনা টাকা আদায়ের জন্য দিন বিশেক আগে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে) উকিল নোটিস পাঠিয়েছিলেন জাতীয় দলের সাবেক ক্যাম্প কমান্ডার মোঃ আবদুস সাদেক। উকিল নোটিসের পরও কোন সুরাহা না হওয়ায় তিনি উচ্চ আদালতে মামলা করেছেন। মামলায় বাফুফে সভাপতি কাজী মোঃ সালাউদ্দিন ও নির্বাহী কমিটির সবাইকে আসামি করা হয়েছে। প্রায় ১৮ লাখ টাকা পাওনা বাফুফের কাছে। উকিল নোটিসের পর বাফুফের পক্ষ থেকে স্বীকার করা হয়েছে টাকা পাওনার কথা। কিন্তু পরিশোধ করা হয়নি। তাই টাকা আদায়ের জন্য মামলা করতে বাধ্য হয়েছেন আবদুস সাদেক। বাফুফের কাছে পাওনা টাকার বেশিরভাগই এক যুগেরও বেশি সময় আগের। আবদুস সাদেক জানান ২০০৫ সালে যখন ক্রুসিয়ানি কোচ ছিলেন, তখন বিকেএসপির ক্যাম্পে তিনি জাতীয় ফুটবল দলের দায়িত্বে ছিলেন। পরে ব্রাজিলের কোচ সিলভা ডিডোর সময়ও তিনি ছিলেন। তখন ক্যাম্পের খাবার, ওষুধ ও জেনারেটর ভাড়া বাবদ এই টাকা পাওনা হয়েছিল। ২০০৫ কাজী সালাউদ্দিন ছিলেন ন্যাশনাল টিম ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান। তিনিই তখন সাদেককে বলেছিলেন ফুটবলারদের খাবারে যেন কোন সমস্যা না হয়। তার কথার ভিত্তিতেই খরচ করা হয় অর্থ। মামলার বিষয়ে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ জানান, ‘মামলা হয়েছে কিনা জানি না। কারণ আমরা এখনও কোন কাগজপত্র পাইনি। আর উকিল নোটিস পাওয়ার পর তার জবাব দিয়ে আবদুস সাদেককে বলেছি ১৪ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় বিল-ভাউচার জমা দিতে।’ সাদেক বিভিন্ন সময়ে বয়সভিত্তিক ও সিনিয়র জাতীয় দলের ক্যাম্প কমান্ডার ছিলেন। ২০১৬ ও ১৭ দুই অর্থবছরে বাফুফের কাছে তার পাওনা ১৭ লাখ ৯১ হাজার ২০ টাকা পাওনা টাকা আদায়ে শেষ পর্যন্ত মামলার পথেই হেঁটেছেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক ক্যাম্প কমান্ডার আবদুস সাদেক। সুরাহা না হওয়ায় বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনসহ নির্বাহী কমিটির ২৪ সদস্যের বিরুদ্ধে করেছেন মামলা করেছেন তিনি উচ্চ আদালতে। উকিল নোটিসের জবাব দেয়ার সময় ছিল সাত দিন। কিন্তু কোন জবাব না পাওয়ায় আরও কয়েক দিন অপেক্ষা করে মামলার পথে হেঁটেছেন সাদেক, ‘তারা (বাফুফে) আমার উকিল নোটিসের কোন জবাব দেননি। জবাবের তারিখ পার হয়ে যাওয়ার পর আরও কয়েক দিন অপেক্ষা করেই সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছি।’ সাদেকের আইনজীবীর তরফ থেকে জানা যায়, মামলাটি হয়েছে সিভিল কোর্টে ঢাকা পঞ্চম জজ আদালতে, যার প্রথম শুনানি আগামী ১৮ মার্চ। তবে মামলার কোন কপি এখনও বাফুফের হাতে পৌঁছায়নি। অন্যদিকে সাদেকের নামে পাল্টা উকিল নোটিস পাঠিয়ে তার বিল ভাউচারের কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ। তিনি জানান, আমরা সাদেককে ১৪ দিনের মধ্যে তার পাওনার প্রমাণ জমা দেয়ার জন্য উকিল নোটিস পাঠিয়েছি। যার মেয়াদ শেষ হবে ১ মার্চ। এর আগে আন্তর্জাতিক মহলেও উঠেছিল বাফুফের বিরুদ্ধে আর্থিক অভিযোগ। ২০১৬ সালে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল নেপাল। কিন্তু এরপর আড়াই বছর পেরিয়ে গেলেও পরিশোধ করা হচ্ছিল না চ্যাম্পিয়ন প্রাইজমানি। এই নিয়ে বারবার বাফুফের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিল চ্যাম্পিয়ন নেপাল।
×