ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

৫ দিনের মধ্যে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

৫ দিনের মধ্যে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামী পাঁচদিনের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ ছিনতাইয়ের চেষ্টার প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। তিনি বলেন, ‘বিমানবন্দরের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা রয়েছে। সেই নিরাপত্তা বেষ্টনী পার হয়ে ওই অস্ত্রধারী কীভাবে প্রবেশ করল- তা নিয়ে আমরা রীতিমতো হতবাক। এ বিষয়ে শক্তিশালী তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী পাঁচদিনের মধ্যে এ বিষয়ে আমরা প্রকৃত ঘটনা জানতে পারব বলে আমরা আশা করছি।’ সোমবার দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রামের শাহ আমানতে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টার ঘটনায় কম্বিং অপারেশন থেকে শুরু করে যা কিছু ঘটেছে সব প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি আমার কানে আসার সঙ্গে সঙ্গে আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাই। তিনি তাৎক্ষণিক বিমান বাহিনী, সেনাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থাকে সফলভাবে অভিযান চালানোর নির্দেশনা দেন। ওনার নির্দেশনা মতে জাতি বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছে।’ এসময় বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মহিবুল হক বলেন, আমরা সাংবাদিকদের নিরাপত্তার সকল বেষ্টনী এবং ধাপগুলো ঘুরে ঘুরে দেখিয়েছি। এখানে যেকোনো বস্তু স্কান্যারে ধরা পড়ার কথা। তার সঙ্গে কিছু ছিল না- আপাতত আমরা এটা বলতে পারি। এই ধরনের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে পিস্তল নিয়ে বিমানে ওঠা সম্ভব নয়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি কোনো খেলনা পিস্তল ছিল কি না- এই মুহূর্তে এটিও বলা ঠিক হবে না। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল নাইম হাসান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এম মোসাদ্দেক আহমেদ, বেবিচক সদস্য (অপারেশন) এয়ার কমোডর মোস্তাফিজুর রহমান, বিমানের গ্রাহক সেবা বিভাগের পরিচালক মোমিনুল ইসলাম, ফ্লাইট অপারেশনের পরিচালক ফারহাত হাসান জামিল প্রমুখ। প্রসঙ্গত, রোববার বিকেলে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া দুবাইগামী বিজি-১৪৭ ফ্লাইটটি এক অস্ত্রধারী যুবক ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। পরে বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে উড়োজাহাজটি চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। বিমান ছিনতাই চেষ্টাকারী সন্দেহভাজন অস্ত্রধারীকে ধরতে কমান্ডো অভিযান পরিচালিত হয়। এরপর ছিনতাইকারীর নিহত হওয়ার মধ্য দিয়ে রুদ্ধশ্বাস এই অভিযান শেষ হয়। ফ্লাইটটিতে ১৩৪ জন যাত্রী ও ১৪ জন ক্রু ছিল।
×