ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

১০ বছরে কৃষিতেই ৬৩ হাজার ২৬৩ কোটি টাকা ভর্তুকি : কৃষিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৮:১১, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

১০ বছরে  কৃষিতেই ৬৩ হাজার ২৬৩ কোটি টাকা  ভর্তুকি  :  কৃষিমন্ত্রী

সংসদ রিপোর্টার ॥ গত ১০ বছরে বর্তমান সরকার ৬৩ হাজার ২৬৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা কৃষি ভর্তুকি প্রদান করা হয়েছে। অওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর পরই সারের মূল্য কমিয়ে ভর্তুকির পরিমাণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে রবিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে সরকারি দলের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক। মন্ত্রী জানান, ২০০৯-১০ অর্থবছর হতে ২০১৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কৃষিতে ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে শুধুমাত্র সারেই ৬১ হাজার ১২৩ কোটি ৯৩ লাখ, বিদ্যুতে ১ হাজার ১৫৯ কোটি ৭৯ লাখ, ইক্ষুতে ১৪২ কোটি ৮৮ লাখ, ডিজেলে ভর্তুকি ৭৫০ কোটি টাকা। কৃষিমন্ত্রী আরও জানান, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে খাদ্যশস্য উৎপাদন ছিল ৩ কোটি ৩৩ লাখ ৩ হাজার মেট্রিক টন, সেখানে বর্তমানে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে উৎপাদন বেড়ে ৪ কোটি ১৩ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন হয়েছে। সঠিক সময়ে সুলভ মূল্যে সার পাওয়ায় উৎপাদনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং দেশ খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। বিরোধী দল জাতীয় পার্টির দলীয় সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক জানান, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে রোপা আমন ধানের উৎপাদন খরচ ছিল প্রতি কেজি ২৪ টাকা ৬৩ পয়সা, ধানের সংগ্রহ মূল্য ছিল ২৬ টাকা এবং বোরো ধানের উৎপাদন খরচ ছিল প্রতি কেজি ২৪ টাকা, ধানের সংগ্রহ মূল্য ছিল ২৬ টাকা। এছাড়া ২০১৮-১৯ বছরে পরাপা আমন ধানের উৎপাদন খরচ প্রতি কেজি ২৫ টাকা ৩০ পয়সা, ধানের সংগ্রহ মূল্য ২৬ টাকা। ধানের সংগ্রহ মূল্য উৎপাদন খরচের তুলনায় বেশি হওয়ায় কৃষক লাভবান হবে। সংসদ সদস্য মোজাফফর হোসেনের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বিএডিসির ৪৭৩টি সার গুদাম রয়েছে। এর মধ্যে অব্যবহৃত গুদামের সংখ্যা সর্বমোট ৫৩টি। সার গুদামসমূহের বিদ্যমান ধারণক্ষমতা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল হওয়ায় অব্যবহৃত গুদামসমূহ পর্যায়ক্রমে মেরামত করে ব্যবহার উপযোগি করে সার সংরক্ষণের পরিকল্পনা রয়েছে।
×