জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টা মোড়ের অগ্নিকান্ড হাজী ওয়াহেদ ম্যানশন নামে যে ভবনটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার বেজমেন্টে বেআইনীভাবে রাখা বিপুল পরিমাণ রাসায়নিকের মজুদ পেয়েছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। ওয়াহেদ ম্যানশনের দোতলায় পারফিউম ও প্লাস্টিকের সামগ্রী থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয় বলে জানা গেছে। খবর বিডিনিউজের।
ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রতন কুমার দেবনাথ জানান, পোড়া ওই ভবনে তল্লাশির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার সকালে তিনি বেজমেন্টের দরজা খোলেন এবং সারি সারি ড্রাম ও বস্তার স্তূপ দেখেছেন। ভেতরে বিশাল পরিমাণ রাসায়নিক দ্রব্য আর প্লাস্টিক রোলের মজুদ পাওয়া যায়। সেখানে ছিল বিভিন্ন ধরনের পিগমেন্ট যা জাপান, ভারত, চীন ও অস্ট্রিয়া থেকে আমদানি করা হয়েছে। রতন জানান, কাপড়ের রং হিসেবে ব্যবহৃত এসব উপাদান খুবই দাহ্য। এখানে যদি আগুন লাগত, তাহলে আগুনের ব্যাপকতা বিশাল আকার ধারণ করত, আগুন নেভাতেও বেগ পেতে হতো। নজরুল নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, প্রায় আট কাঠা জমির ওপর ভবনটি নির্মাণ করা হয় ২৫ বছর আগে। হাজী আব্দুল ওয়াহেদ ব্যাংক ঋণ নিয়ে ভবনটি নির্মাণ করেছিলেন। শুরুতে ওই ব্যাংকের গুদাম হিসেবে ব্যবহৃত হতো ভবনের বেজমেন্ট। গাড়ি রাখার জন্য ওই বেজমেন্ট তৈরি করা হলে বরাবরই সেটি গুদাম হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: