ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শঙ্কা কাটিয়ে শেষ ষোলোতে আর্সেনাল

প্রকাশিত: ০৯:৩৮, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

 শঙ্কা কাটিয়ে শেষ ষোলোতে আর্সেনাল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শঙ্কার কালো মেঘ ভর করেছিল। তবে সব শঙ্কা কাটিয়ে উয়েফা ইউরোপা লীগ ফুটবলের প্রিকোয়ার্টার (শেষ ষোলো) ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ইংলিশ জায়ান্ট আর্সেনাল। বৃহস্পতিবার রাতে শেষ ৩২-এর দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে বেলারুশের ক্লাব বাটে বরিসভকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে গানার্সরা। এর আগে বরিসভের মাঠে ১-০ গোলে হেরে আসায় বাদ পড়ার শঙ্কায় পড়েছিল আর্সেনাল। কিন্তু ঘরের মাঠ লন্ডনের বিখ্যাত এমিরেটস স্টেডিয়ামে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে পরবর্তীপর্ব নিশ্চিত করেছে ইংলিশ পরাশক্তিরা। দুই লেগ মিলিয়ে আর্সেনালের জয় ৩-১ গোলে। ফিরতিপর্বের আরেক ম্যাচে শেষদিকে ১০ জনের দলে পরিণত হওয়া সুইডেনের ক্লাব মালমোকে ৩-০ গোলে হারিয়ে শেষ ষোলোয় উঠেছে চেলসি। স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে স্বাগতিকদের গোল তিনটি করেন অলিভিয়ের জিরুড, রস বার্কলি ও ক্যালাম হাডসন-ওডোই। দুই লেগ মিলিয়ে ব্লুজদের জয় ৫-১ ব্যবধানে। সুইস ক্লাব জুরিখকে ২-০ গোলে হারিয়ে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ ব্যবধানে জিতেছে ইতালিয়ান ক্লাব নেপোলি। এছাড়া ঘরের মাঠে স্কটল্যান্ডের ক্লাব সেল্টিককে ১-০ গোলে হারিয়ে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-০ ব্যবধানে জিতে শেষ ষোলোয় উঠেছে স্পেনের দল ভালেন্সিয়া। অতিথি বরিসভরে ভুলে ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই গোল পেয়ে যায় আর্সেনাল। ডানদিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা পিয়েরে-এমেরিক আউবামেয়াং ডি বক্সে ক্রস বাড়ান। কাছাকাছি স্বাগতিকদের কোন খেলোয়াড় না থাকায় বিপদের কোন আশঙ্কা ছিল না। কিন্তু বিপদমুক্ত করতে গিয়ে উল্টো জালে ঠেলে দেন বেলারুশের ডিফেন্ডার ভলকভ। একের পর এক আক্রমণ করতে থাকা আর্সেনাল ৩৯ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে। গ্রানিট জাকার কর্নারে হেডে বল জালে জড়ান জার্মান ডিফেন্ডার স্কোড্রান মুস্টাফি। বিরতির পর ৬০ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানো গোলটিও আসে সুইস মিডফিল্ডার জাকার আরেকটি কর্নার থেকে। এবার লাফিয়ে হেডে বল ঠিকানায় পাঠান পাঁচ মিনিট আগে বদলি নামা গ্রিক ডিফেন্ডার সক্রেটিস পাপাস্টাথোপুলস। দুই লেগ মিলিয়ে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৩-১। চ্যাম্পিয়ন্স লীগে খেলতে না পারা দলগুলোই খেলে ইউরোপের দ্বিতীয় সেরা আসর ইউরোপা লীগে। আর্সেনালও চ্যাম্পিয়ন্স লীগে সুযোগ না পেয়ে খেলছে ইউরোপা লীগ। কিন্তু বেলারুশে যেয়ে তারা যেভাবে হেরে এসেছিল প্রথম লেগ তাতে শেষ ৩২ থেকেই বিদায় নেয়ার শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল। প্রথম লেগে ভালবাসা দিবসের রাতে ইউরোপার প্রতিটি ম্যাচেই যখন ফেবারিটরা প্রত্যাশিত ফল নিয়ে ফিরেছিল তখন বরিসভের কাছে আর্সেনালের হার মেনে নিতে পারেনি ক্লাবটির সমর্থকরা। কারণ মানের দিক দিয়ে বরিসভ অনেক পিছিয়ে। শেষ পর্যন্ত ফিরতি লেগে অঘটন ঘটেনি। প্রথম লেগের ম্যাচে শেষ বাঁশি বাজার পাঁচ মিনিট আগে লালকার্ড হজম করেছিলেন আর্সেনালের স্ট্রাইকার লাকাজেটে। যে কারণে ফিরতি লেগে খেলতে পারেননি তিনি। প্রথম লেগের ম্যাচের পর লাকাজেটের সঙ্গে অদ্ভুত তুলনা এসেছিল আর্সেনালের। কেননা লাকাজেটের সঙ্গেই তো পুরো বরিসভ দলের তুলনা চলে না। লাকাজেটে প্রতিবছর যে পরিমাণ বেতন পান তার থেকেও কম মূল্য এই দলটির। বেলারুশের দলের মূল্য যেখানে মাত্র ১০ মিলিয়ন ইউরো, সেখানে লাকাজেটের বাৎসরিক বেতন বছরে ১১ মিলিয়ন ইউরো। এমনকি গত দুই মাস ধরে কোন প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলছে না। বেলারুশের লীগে রাজত্ব করা বাতে বরিসভের কাছে ইংলিশ দলের হার অবশ্য এই প্রথম নয়। এর আগে ২০০৯ সালে এভারটনকে হারিয়েছিল তারা এই ইউরোপা লীগেই।
×