ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জার্মান সাংবাদিকদের ওপর হামলার নেপথ্যে

প্রকাশিত: ০৯:০৬, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

 জার্মান সাংবাদিকদের ওপর হামলার  নেপথ্যে

এইচএম এরশাদ, কক্সবাজার ॥ উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী রোহিঙ্গাদের হামলায় ৩ জার্মান সাংবাদিক ও পুলিশসহ ৬ জন আহত হওয়ার নেপথ্যে রোহিঙ্গাদের নগদ টাকা (ত্রাণ) না দেয়াটাই কাল হয়েছে বলে জানা গেছে। স্থানীয়রা অতিদরিদ্র দেখে বিদেশী তিন সাংবাদিক তাদের জামাকাপড় কিনে দিতে তাদের গাড়িতে তুলেন। অপর রোহিঙ্গারা ধারণা করেছে, নিশ্চয় ওই রোহিঙ্গা পরিবারকে কোথাও আড়ালে নিয়ে নগদ টাকা ধরিয়ে দিতে পারে বিদেশীরা। তাই কাল বিলম্ব না করে হামলে পড়ে সাংবাদিকদের ওপর। বৃহস্পতিবার দুপুরে কুতুপালং ক্যাম্প-১ ইস্ট এর লম্বাশিয়া বাজারে সৃষ্ট ঘটনায় তিনজন জার্মান সাংবাদিক ও একজন বাংলাদেশী দোভাষী (সাংবাদিক), একজন পুলিশ ও একজন গাড়ির ড্রাইভার আহত হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সবাই খারাপ নয়। দরিদ্র ও অসহায় এমন এক নিরীহ পরিবারের অবস্থা দেখে তাদের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসেন সাংবাদিকরা। এ খবর টের পেয়ে যায় অপর রোহিঙ্গারা। তারপর তৎক্ষণাৎ তারা সিদ্ধান্ত নেয় যে সবাইকে না দিয়ে (টাকা) একটি পরিবারকে সাহায্য করার মজা বুঝিয়ে দেবে। সাংবাদিকদের বহনকারী গাড়ির গতিরোধ করে রোহিঙ্গারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। সাংবাদিকদের নামিয়ে বেদম মারধর করে সন্ত্রাসী রোহিঙ্গারা। তবে রোহিঙ্গাদের পক্ষে একজন পুরনো রোহিঙ্গা নেতার দাবি হচ্ছে-ওই পরিবারকে তারা (সাংবাদিক) অপহরণ করে নিয়ে যাচ্ছিলেন মনে করে হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে স্থানীয়রা বলেন, প্রতিদিন কত রোহিঙ্গা বিদেশীদের গাড়িতে করে কোথায় যাচ্ছে কোন খবর থাকে না, আর একটি অসহায় পরিবারকে গাড়িতে তোলায় সাংবাদিকরা কথিত অপহরণকারী হয়ে গেল এটি কোনদিন হতে পারে না। রোহিঙ্গারা নাফরমান জাতি বলে উল্লেখ করে স্থানীয়রা বলেন, তাদের (রোহিঙ্গা) যতক্ষণ খাওয়াতে পারে, ততক্ষণ ওই লোক বা সংস্থা ভাল, একটু ব্যতিক্রম হলেই লাটিসোটা ও দা খন্তি নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে রোহিঙ্গারা খাদ্য (ত্রাণ) সরবরাহকারীর ওপর। স্থানীয়রা বলেন, রোহিঙ্গারা যে অকৃতজ্ঞ জাতি তা কক্সবাজারের মানুষ ভাল করেই জানে। রোহিঙ্গারা যে থালায় খায় স্বার্থ পুরিয়ে গেলে ওই থালাটিও ছিদ্র করে দিয়ে যায়। টেকনাফের উনচিপ্রাং এলাকার আলী আহমদ নামে একজন জেলে বলেন, নাফনদীতে মাছ শিকারে যাওয়ায় পরিচয় সূত্রে ২০১৭ সালের শুরুতে একটি অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা পরিবারকে তার ভিটায় আশ্রয় দেয়া হয়েছিল।
×