ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

টঙ্গী-গাজীপুর সড়ক গলার কাঁটা

প্রকাশিত: ০৭:৪১, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

টঙ্গী-গাজীপুর সড়ক গলার কাঁটা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ টঙ্গী থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা এই ১২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে বারোমাসই দুর্ভোগ পোহাতে হয় সাধারণ মানুষকে। আর গাজীপুরবাসীর জন্য যেন গলার কাঁটা এই মহাসড়ক। একদিকে নির্মাণাধীন বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্প অন্যদিকে খানাখন্দ, সবমিলিয়ে যানজট আর ধুলায় অতিষ্ঠ জনজীবন। এ পরিস্থিতিতে খোদ মেয়রও নিজের অসহায়ত্বের কথা বললেন। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের অবহেলার কথা স্বীকার করেও প্রকল্প পরিচালক বলছেন, দুর্ভোগ এখন কমে এসেছে। টঙ্গী থেকে গাজীপুর ১২ কিলোমিটারের এই পথ পাড়ি দিতে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট সময় লাগার কথা থাকলেও এখন লাগছে কমপক্ষে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা। কখনও কখনও তিন-চার ঘণ্টাও লেগে যায়। এক সময় অবৈধ দখলে রাস্তা সরু থাকার কারণ যানজট হলেও এখনকার বিষয়টি উন্নয়নের বিড়ম্বনা। এ জন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের উদাসীনতাকেও দুষছেন এ পথে চলাচলকারীরা। এছাড়া বিড়ম্বনায় আছেন গাজীপুর নগরবাসীও। ধুলোয় বিবর্ণ এখন এই মহাসড়কের আশপাশ এলাকা। স্বাস্থ্য ঝুঁকি আছে, সেই সঙ্গে প্রকল্প এলাকায় চলাচলের বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকায় ভোগান্তি এখন তাদের নিয়তি। নগরবাসী কিংবা এই পথে চলাচলকারীদের এমন দশায় অস্বস্তিতে স্থানীয় মেয়রও। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, যে রাস্তায় চলাচলে মাত্র ১৫ থেকে ২০ মিনিট সময় লাগার কথা সে রাস্তায় প্রতিদিন ব্যয় হচ্ছে ২-৩ ঘণ্টা। যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমরা প্রায়ই যোগাযোগ করছি, কিন্তু তাতে কোন লাভ হচ্ছে না। যদিও প্রকল্প পরিচালকের দাবি দুর্ভোগ আগের চেয়ে কমে এসেছে। বিআরটি (গাজীপুর-এয়ারপোর্ট) এর প্রকল্প পরিচালক সানাউল হক বলেন, এই ভোগান্তি নিরসনের জন্য আমরা কাজ করছি। আমাদের ঠিকাদারের কিছু ঘাটতি আছে সেটা অস্বীকার করা যাবে না। ২০২০ সালের জুন নাগাদ গাজীপুর থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলেও জানান তিনি
×