ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

নতুন বছরে পাঁচ শ’ থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত বাড়ি ভাড়া বেড়েছে

প্রকাশিত: ০৭:৪১, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

 নতুন বছরে পাঁচ শ’ থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত বাড়ি ভাড়া বেড়েছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সারি সারি বাড়ি দেখে সার বাঁধা সৈন্যের মতো মনে হয়। বাড়িগুলোর বিভিন্ন আয়তনের খুপড়ি ঘরের বাসিন্দাদের সব পরিচয়ের বাইরে আছে আরও একটি পরিচয় ভাড়াটিয়া। নতুন বছর অনেকের জন্যই স্বস্তি নিয়ে আসেনি। বিশেষ করে রাজধানীতে যারা ভাড়াটিয়া তাদের জন্য তো বটেই। এলাকাভেদে পাঁচশ থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত ভাড়া বাড়িয়েছেন বাড়ি মালিকরা। এমনিতেই বেতনের সিংহভাগ চলে যায় বাড়িভাড়ার পেছনে। সেখানে এই বর্ধিত ভাড়া মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে ভাড়াটিয়াদের জন্য। ব্যাংকার রাসেল আহমেদ এমনি একজন ভাড়াটিয়া। দশ বছর ধরে আছেন তিলোত্তমা নগরীতে। আর সবার মতোই বেঁচে আছেন বাসা খোঁজা, বদল, বছর বছর ভাড়া বাড়ানোর ঝক্কি সামলে। রাসেল আহমেদ বলেন, বাড়িওয়ালারা একপাক্ষিকভাবেই তাদের ভাড়া আমাদের বলে দেয় আর সেটাই আমাদের মেনে নিতে হয়। আবার প্রতি বছর বছর তারা তাদের ইচ্ছামতোই ভাড়া বাড়িয়ে নিচ্ছে এবং সে ক্ষেত্রে আমাদের তেমন কোন বক্তব্য দেয়ার সুযোগ নেই। যার ফলে আমাদের বেতনের একটা বড় অংশই চলে যাচ্ছে বাড়িওয়ালাদের পেছনে। রাজধানীতে এলাকাভেদে বছর শেষে ৫০০ থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া বাড়ান বাড়ির মালিকরা। কোন নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে কোথাও আবার বছরের মাঝখানে ভাড়া বাড়ানোর নজিরও আছে। ভাড়াটিয়া পরিষদের সভাপতি বাহরানে সুলতান বাহার বলেন, তাদের জায়গাটা পরিষ্কার না যে বাড়িওয়ালারা যে ভাড়া বাড়ায়, কত টাকা বাড়াতে হবে, কোথায় আইন আছে, আইন-টাইন কিছুই জানে না তারা। তবে বাড়ি মালিকরা সরকারের ওপরই দায় চাপালেন। তারা বলছেন প্রতি বছর পানি, বিদ্যুত ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ফলেই বেড়ে যায় বাড়ি ভাড়া। অথচ এই পানি বিদ্যুত ও গ্যাসের বিল কিন্তু ভাড়াটিয়াকেই বহন করতে হয়। তাহলে এসব ইউটিলিটির বিল বাড়লে ভাড়া বাড়বে কেন? অথচ বাড়ির মালিকরা ইউটিলিটির বিলের দোহাই দেন।
×