ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পাঁচ মিনিটের ঝলকে জয় ম্যানসিটি, এ্যাটলেটিকোর

প্রকাশিত: ১২:২২, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

পাঁচ মিনিটের ঝলকে জয় ম্যানসিটি, এ্যাটলেটিকোর

জাহিদুল আলম জয় ॥ অবিশ্বাস্য কাকতালীয়ই বলতে হবে। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ফুটবলের শেষ ষোলোর প্রথম লেগের ম্যাচে অনেকটা একই ভঙ্গিতে জয় পেয়েছে ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার সিটি ও স্পেনের এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। বুধবার রাতে হওয়া নকআউট রাউন্ডের ম্যাচে দু’টি দলই জিতেছে পাঁচ মিনিটের জাদুতে। জার্মান সফরে গিয়ে স্বাগতিক শালকে জিরো ফোরের কাছে হারতেই বসেছিল ম্যানসিটি। একপর্যায়ে ১০ জনের দলে পরিণত হওয়া সিটিজেনরা ম্যাচ শেষের পাঁচ মিনিট আগে পর্যন্ত ১-২ গোলে পিছিয়ে ছিল। কিন্তু শেষ পাঁচ মিনিটে দুই গোল করে ৩-২ ব্যবধানের অবিশ্বাস্য জয় নিয়ে ফিরেছে পেপ গার্ডিওলার দল। প্রতিপক্ষের মাঠে এই জয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে এক পা দিয়ে ফেলেছে সিটি। মাদ্রিদের ওয়ান্ডা মট্রোপলিটানোতে আরেক ম্যাচে স্বাগতিক এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের আতিথ্য নেয় ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়ন জুভেন্টাস। গতি-প্রকৃতি দেখে মনে হচ্ছিল ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হতে চলেছে। কিন্তু শেষদিকে (৭৮ থেকে ৮৩ মিনিট) পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল করে ২-০ ব্যবধানে ম্যাচ জিতে নিয়েছে এ্যাটলেটিকো। সিটির মতো এ্যাটলেটিকোও পাঁচ মিনিটের ঝড়ে প্রতিপক্ষকে বিধ্বস্ত করেছে। দারুণ এই জয়ে শেষ আটে খেলার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে গেছে দিয়াগো সিমিওনের দল। সেই সঙ্গে বিদায়ের শঙ্কা পেয়ে বসেছে জুভেন্টাসের। এই ম্যাচে দৃষ্টি ছিল জুভেন্টাসের সুপারস্টার ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর দিকে। আগে রিয়াল মাদ্রিদে খেলা এই পর্তুগীজ তারকা মাদ্রিদে ফিরলেও বলার মতো কিছুই করতে পারেননি। উল্টো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অঙ্গভঙ্গি করে সমালোচিত হয়েছেন। ফলে মাদ্রিদে ফেরার স্মৃতিটা সুখকর হয়েনি সিআর সেভেনের। ভাগ্য সহায় থাকলে জুভেন্টাসকে আরও বড় লজ্জা দিতে পারতো এ্যাটলেটিকো। তাদের অনেকগুলো সুযোগ অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। তবে ৭৮ মিনিটে ডেডলক ভাঙ্গেন জোশে মারিয়া গিমিনেজ। মোরাতা ও কোস্টার কাছ থেকে বল পেয়ে সহজেই গোল করেন তিনি। ৮৩ মিনিটে দিয়াগো গডিনের হেডে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়। ম্যাচ শেষে এ্যাটলেটিকো কোচ দিয়াগো সিমিওনে বলেন, আমরা এখনও শেষ আট নিশ্চিত করিনি। আরও একটি ম্যাচ বাকি আছে। আমরা জানি সেই ম্যাচটা মোটেই সহজ নয়। জুভেন্টাস কোচ ম্যাসিমিলিয়ানো এ্যালেগ্রি বলেন, সৌভাগ্য যে আমরা তৃতীয় গোল হজম করিনি। কারণ ২-০ এমন একটি ফলাফল যা যে কোন সময় পাল্টে যেতে পারে। তবে এখনও সবকিছু শেষ হয়ে যায়নি। তিনি আরও বলেন, এখানে প্রতিপক্ষ আমাদের সুযোগ করে দিবে না। এটা আমাদেরই আদায় করে নিতে হবে। তবে এটা ঠিক, এ্যাটলেটিকো আমাদের খেলতেই দেয়নি। আগামী ১ জুন এই মাঠেই অনুষ্ঠিত হবে এবারের আসরের ফাইনাল। এ কারণে এ্যাটলেটিকো চাইবে যেভাবেই হোক স্বাগতিক সমর্থকদের সামনে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ফাইনালে খেলতে। রিয়ালের কাছ থেকে তিন বছরের শিরোপা ছিনিয়ে নেয়ার এর থেকে ভাল সুযোগ আর হতে পারে না। আরেক ম্যাচে ভেলটিন্স এ্যারানাতে ম্যাচের ৯০ মিনিটে রাহিম স্টার্লিং ম্যানসিটির হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন। তার পাঁচ মিনিট আগে বদলি খেলোয়াড় লেরয় সানের দুর্দান্ত ফ্রিকিকে ম্যাচে সমতা ফেরায় সিটিজেনরা। ১৮ মিনিটে সার্জিও এ্যাগুয়েরোর গোলে এগিয়ে গিয়েছিল অতিথিরা। কিন্তু ৩৮ ও ৪৫ মিনিটে দুই পেনাল্টি থেকে গোল করে ১-২ ব্যবধানে এগিয়ে যায় শালকে। দুটি গোলই করেন নাবিল বেনটালে। ম্যাচ শেষে সিটির হয়ে সমতাসূচক গোল করা লেরয় সানে বলেন, আমি সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম। আর এই জায়গা থেকেই শটটি নিতে চাচ্ছিলাম। এর আগেও আমি এই জায়গা থেকে গোল পেয়েছি, তাই মনের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ছিল। সিটি কোচ পেপ গার্ডিওলা বলেন, উন্নতি করতে না পারলে এই প্রতিযোগিতায় আমরা বেশিদূর যেতে পারব না। ম্যাচের শেষে সানে ও স্টার্লিংই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।
×