ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ফের সংশোধন হচ্ছে বুক বিল্ডিং পদ্ধতি

প্রকাশিত: ০৮:৫০, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

ফের সংশোধন হচ্ছে বুক বিল্ডিং পদ্ধতি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বুক বিল্ডিংয়ের অপব্যবহাররোধে পদ্ধতিটিতে পরিবর্তন বা সংশোধনের নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এক্ষেত্রে দর নির্ধারণে কমিশনের ডাচ নিলাম পদ্ধতিটি অধিকতর পছন্দ। এছাড়া প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) প্রক্রিয়া সহজতর এবং দ্রুত সময়ে সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। যা দ্রুত সময়ের মধ্যে নেয়া হবে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। সম্প্রতি বুক বিল্ডিংয়ে সঠিক দর নির্ধারণে করণীয় নিয়ে বিএসইসি, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) ও বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সবাই এই নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই বৈঠকে কমিশনের চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেনসহ কমিশনারগণ ও ডিএসই, সিএসই এবং বিএমবিএ’র প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে বিএমবিএ’র পক্ষ থেকে বুক বিল্ডিংয়ে দর নির্ধারণে ৫টি পদ্ধতির বিষয়ে কমিশনকে অবহিত করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে, ১. টাইমিং অব আইপিও রোড শো, ২. রিফ্রেশমেন্টস, গিফটস ইন দ্য আইপিও রোড শো এ্যান্ড লটারি, ৩. এ্যালাওয়িং রিলেটেড পারটিজ টু সাবস্ক্রাইব ইন এন আইপিও, ৪. অফার পিরিয়ড ফর আনসাকসেসফুল ইলিজিবল ইনভেস্টর ও ৫. ইন্ট্রডিউসিং হার্ড ফ্লোর মেথড। তবে কমিশন ডাচ নিলাম পদ্ধতিটির বিষয়ে তুলে ধরে। এই পদ্ধতিতে কাট-অফ প্রাইসের ওপরে দর প্রস্তাবকারীদের প্রস্তাবিত দরেই শেয়ার ক্রয় করতে হবে। আর কাট-অফ প্রাইসের নিচে দর প্রস্তাবকারীরা শেয়ার পাবেন না। বৈঠকে অংশ নেয়া এক মার্চেন্ট ব্যাংকের উর্ধতন কর্মকর্তা বলেন, সঠিক দর নির্ধারণে ডাচ নিলাম পদ্ধতিটি কার্যকর। কারণ এতে প্রস্তাবিত দরেই শেয়ার কিনতে হয়। যাতে নিলামে অংশগ্রহণকারী সবাইকে দরপ্রস্তাবের আগে ভালভাবে চিন্তা করতে হয়। যে কারণে এই পদ্ধতিটি কমিশন বেশি উপযুক্ত মনে করেছেন। এছাড়া এই পদ্ধতিটি দ্রুত চালু করার বিষয়ে কমিশন আগ্রহী। তিনি বলেন, আইপিও প্রক্রিয়া সহজতর ও দ্রুত সময়ে করার জন্য বিএসইসি, ডিএসই, সিএসই ও বিএমবিএ’র প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি যৌথ কমিটি গঠন করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। ওই কমিটি আইপিও সহজতর করার বিষয়ে করণীয় দিকগুলো তুলে ধরবে।
×