ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শামীমার বাংলাদেশে প্রবেশ রোধে সতর্ক থাকার নির্দেশ

প্রকাশিত: ১০:৪৬, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

 শামীমার বাংলাদেশে প্রবেশ রোধে সতর্ক থাকার নির্দেশ

শংকর কুমার দে ॥ বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত যুক্তরাজ্যের নাগরিক শামীমা বেগম জঙ্গীগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) থেকে ফিরে যুক্তরাজ্যে যেতে ব্যর্থ হলে যাতে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য সতর্ক দৃষ্টি রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাকে। চার বছর আগে লন্ডন থেকে সিরিয়ায় পাড়ি দেয়ার পর গত সোমবার এক সন্তানের জন্ম হলে এই নারী আইএস জঙ্গী সন্তানের ভবিষ্যত চিন্তার দাবি করে এখন যুক্তরাজ্যে ফিরে যাওয়ার জন্য আইনী লড়াইয়ের মধ্যেই তার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব কেড়ে নিয়েছে যুক্তরাজ্য। শামীমার জন্ম যুক্তরাজ্যে হলেও তার মা বাংলাদেশী। মঙ্গলবার শামীমার মায়ের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে শামীমা বেগমের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভেদ। বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত যুক্তরাজ্যের নাগরিক আইএস জঙ্গী শামীমার মতো যারাই আইএস জঙ্গীর মতাদর্শী হয়ে নিখোঁজ হয়েছেন তাদেরকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেবে না সরকার। গোয়েন্দা সংস্থার সূত্রে এ খবর জানা গেছে। গোয়েন্দা সংস্থার একজন কর্মকর্তা বলেন, জঙ্গীগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট আইএস সৃষ্টি হওয়ার পর বিশ্বের ১৮টি দেশে কার্যক্রম চালিয়ে বিদেশী জঙ্গী সংগ্রহ করেছে। সর্বশেষ ফাঁস হওয়া জঙ্গীর তথ্যসংবলিত গোপন নথিতে দেখা যায়, মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গী সংগঠন ইসলামিক স্টেট বা আইএসের বিদেশী সংখ্যা ১৭৫০। কোন কোন দেশে আইএস বিস্তার লাভ করে জঙ্গী সংগ্রহ করেছে- হোয়াইট হাউসের এ বিষয়ক এক গোপন নথির বরাতে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল এনবিসি, যা ন্যাশনাল কাউন্টার টেররিজম সেন্টারের ওই নথিতে জঙ্গীদের কার্যক্রম পরিচালনার সর্বশেষ মানচিত্রে দেখা যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রশিক্ষিত জঙ্গীদের বাংলাদেশসহ অস্ট্রিয়া, জার্মানি, লেবানন, তিউনিসিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া থেকে আইএস জঙ্গী গোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছে। যেসব দেশ থেকে আইএস জঙ্গীতে যোগ দিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে নারী ও পুুরুষ জঙ্গী। ইরাক ও সিরিয়ায় আইএস ঘাঁটি পতনের মুখে অনেকেই হতাহত হয়েছেন। যারা বেঁচে আছেন তারা রয়েছেন সেখানকার শরণার্থী শিবিরে। শরণার্থী শিবিরে থাকাদের মধ্যেই একজন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত যুক্তরাজ্যের নাগরিক শামীমা বেগম। বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত যুক্তরাজ্যের নাগরিক শামীমার পারিবারিক আইনজীবী তাসনিম আখুনজি বলেছেন, তারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে আপীল করবেন যুক্তরাজ্যের আদালতে। নাগরিকত্ব বাতিলের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ২৮ দিনের মধ্যে আপীল করতে হবে শামীমাকে। শামীমার পক্ষের আইনজীবী তাসনিম আখুনজি বলছেন, শামীমার পরিবার বাংলাদেশ থেকে এসেছে- এই যুক্তিতে তার নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক। আমাদের মতে, এটা বেআইনী। নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়া হলে সে রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়বে। আর সেটা হবে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। শামীমার মাকে পাঠানো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নোটিসে বলা হয়েছে, তার সঙ্গে যদি মেয়ের যোগাযোগ থাকে, অথবা শীঘ্রই যোগাযোগ করার সুযোগ হয়, তাহলে যেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভেদ পার্লামেন্টকে বলেছেন, এ পর্যন্ত নয় শ’র বেশি ব্রিটিশ নাগরিক যুক্তরাজ্য ছেড়ে আইএসে যোগ দিতে সিরিয়া ও ইরাকে গেছে। তাদের ব্রিটেনে ফেরা ঠেকাতে কোন সিদ্ধান্ত নিতে তিনি দ্বিধা করবেন না। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে আরও দুই ব্রিটিশ কিশোরীর সঙ্গে যখন যুক্তরাজ্য ছাড়েন শামীমা, তার বয়স তখন ১৫ বছর। সিরিয়ায় আইএস উৎখাত অভিযানে আশ্রয় হারিয়ে এখন তার ঠাঁই হয়েছে শরণার্থী শিবিরে। সেখানেই গত সপ্তাহে একটি পুত্র সন্তান প্রসব করেছেন ১৯ বছরের এই তরুণী শামীমা। ব্রিটিশ দৈনিক টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেছেন, সন্তানের জন্য তিনি লন্ডনে পরিবারের কাছে ফিরতে চান। যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভেদ স্পষ্ট করেই বলেছেন, জঙ্গীদের সমর্থন দিয়ে যারা দেশ ছেড়েছে, তাদের ফিরতে দিতে তিনি আগ্রহী নন। গত সোমবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টে তিনি বলেছেন, তার সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হলো ব্রিটেন এবং ব্রিটিশ নাগরিকদের নিরাপত্তা বিধান করা। তিনি বলেন, ব্রিটিশ সরকার মনে করছে, ১৯ বছর বয়সী শামীমার বাবা-মা যেহেতু বাংলাদেশী, সেহেতু যুক্তরাজ্য ছাড়া অন্য দেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ ওই তরুণীর আছে। ১৯৮১ সালের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী, জন নিরাপত্তা বিধান ও সুরক্ষার স্বার্থে যে কারও ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতা হোম সেক্রেটারির রয়েছে। তবে তার আগে নিশ্চিত হতে হবে যে নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়ায় ওই ব্যক্তি রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়ছেন না। তবে বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাতকারে শামীমা বলেছেন, তিনি কখনও বাংলাদেশে যাননি এবং বাংলাদেশী পাসপোর্টও তার নেই। শামীমা বেড়ে উঠেছেন লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটসের বেথনাল গ্রীন এলাকায়। তিনি যুক্তরাজ্য থেকে সিরিয়া গিয়েছিলেন ব্রিটিশ পাসপোর্ট নিয়ে। কিন্তু সীমান্ত পার হওয়ার পরপরই তার কাছ থেকে সেটা কেড়ে নেয়া হয়। বিবিসি লিখেছে, কোন ব্রিটিশ নাগরিকের নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়ার আগে যদি তার সন্তানের জন্ম হয়, তাহলে আইন অনুযায়ী শিশুটি ব্রিটিশ নাগরিক হিসেবে গণ্য হবে। চার বছর আগে সিরিয়ার উদ্দেশে তুরস্ক যায় কিশোরী আমিরা আবাসি, খাদিজা সুলতানা ও শামীমা বেগম তিন নারী জঙ্গী। শরণার্থী শিবিরে থাকা ১৯ বছরের শামীমার সর্বশেষ জন্ম দেয়া এটা তৃতীয় সন্তান। তার আগের দুটি সন্তানই অপুষ্টি এবং বিনা চিকিৎসায় মারা গেছে। সিরিয়ায় গিয়ে এই তরুণী নেদারল্যান্ডস থেকে আসা একজন আইএস যোদ্ধাকে বিয়ে করেছিলেন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে বাংলাদেশী অধ্যুষিত পূর্ব লন্ডনের বেথনাল গ্রীন এলাকা থেকে আরও দুজন বান্ধবীসহ আইএসে যোগ দিতে সিরিয়ায় পালিয়ে গিয়েছিলেন শামীমা বেগম। গত সপ্তাহে লন্ডনের দৈনিক দ্য টাইমসের একজন সাংবাদিক সিরিয়ার একটি শরণার্থী শিবিরে শামীমা বেগমের খোঁজ পান। তার বয়স এখন ১৯ এবং তিনি তখন অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ওই সাংবাদিকের মাধ্যমে তিনি ব্রিটিশ সরকারের কাছে আবেদন করেন যে তার আগত শিশু সন্তানের কথা বিবেচনা করে তাকে যেন ব্রিটেনে ফেরত আসতে দেয়া হয়। এরপর থেকে ব্রিটেনে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে যে, নিষিদ্ধ একটি জঙ্গী সংগঠনের যোগ দিতে যাওয়া এই তরুণীকে ফেরত আসতে দেয়া উচিত কি না। শামীমার পরিবারের আইনজীবী মোহাম্মদ তাসনিম আখুনজি জানান, তারা জানতে পেরেছেন শামীমা একটি শিশুর জন্ম দিয়েছেন। শিশুটি সুস্থ আছে। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এখনও শামীমার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা যায়নি। আশা করছি তাড়াতাড়ি যোগাযোগ করা সম্ভব হবে। ব্রিটিশ সরকারের একজন মন্ত্রী জেরেমি রাইট বিবিসিকে বলেন, শামীমা বেগমের সন্তানের নাগরিকত্ব সোজা-সাপটা কোন বিষয় নয়। তিনি বলেন, তাকে (শামীমাকে) তার কর্মকা-ের জবাবদিহি করতে হবে। সে যদি এ দেশে ফিরে আসতে পারেও, তাকে বুঝতে হবে সে যা করেছে তার জন্য তাকে জবাব দিতে হবে। ব্রিটেন থেকে যে কয়েক শ’ মুসলিম ছেলেমেয়ে আইএসে যোগ দিতে সিরিয়া ও ইরাকে গিয়েছিল, তাদেরকে ফিরে আসতে দেয়া উচিত কি উচিত নয় তা নিয়ে তুমুল বিতর্ক চলছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ বলেছেন, আইএসে যোগ দিতে যাওয়া তরুণ-তরুণীরা যাতে না ফিরতে পারে সেটির চেষ্টা করে যাবেন তিনি। তবে শামীমা বেগমের পরিবার আবেদন করেছে, শিশুটি তো নিরাপরাধ, শিশুটির নিরাপত্তার জন্য মানবিক কারণে তাদের মেয়েকে ব্রিটেনে ফিরতে দেয়া হোক। সরকার এখনও কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি। গত সপ্তাহে তুমুল লড়াইয়ের মধ্যে শামীমা বেগম আইএসের নিয়ন্ত্রণাধীন সর্বশেষ এলাকাটি থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিলেন। তার স্বামী আত্মসমর্পণ করেছে বলে তিনি জানান। আইএস জঙ্গীরা ফিরে আসতে চাইছে ॥ জঙ্গী সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) কবল থেকে পালিয়ে আসা আরেক বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত এক ব্রিটিশ নারীর গল্প। নাম তার সুখী বেগম। চ্যানেল ফোর নিউজে এক সাক্ষাতকারে পালিয়ে আসার অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, আইএসের কবল থেকে পালিয়ে আসা ‘আমার কাছে এক পেয়ালা চা নয়’। সুখী বেগম (৩৩) তার পাঁচ সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে স্বামী জামাল আল-হারিথকে খুঁজতে সিরিয়া যান। চ্যানেল ফোর নিউজের খবরে বলা হয়, তার স্বামী এক সময় গুয়ানতানামো বে’র কারাগারে বন্দী ছিলেন। ১৮ মাস আগে ব্রিটেন ছেড়ে তিনি আইএসে যোগ দেন। সুখী বেগম ইংল্যান্ডের উত্তরাঞ্চল থেকে আইনে স্নাতক। জোর দিয়ে তিনি বলেন, কেবল তার স্বামীকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে দেশে ফিরিয়ে আনতে সিরিয়া গিয়েছিলেন তিনি। আইএসকে কখনই সমর্থন করেন না। আইএস জঙ্গীরা ইরাক ও সিরিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে। বুধবার ব্রিটেনের চ্যানেল ফোর নিউজকে দেয়া সাক্ষাতকারে আইএসের বিকল্প নাম আইএসআইএস বলে উল্লেখ করেন সুখী বেগম। তিনি বলেন, খারাপ থেকে আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে আইএস। আমি সিদ্ধান্ত নিলাম, আমার স্বামীকে আমি বোঝানোর চেষ্টা করব। সুখী বেগমকে প্রথমে আইএস নিয়ন্ত্রিত রাকা নগরীর একটি নিরাপদ কক্ষে কয়েকজন নারী ও শিশুর সঙ্গে রাখা হয়। তার সঙ্গে রাখা অন্য নারী ও শিশুদের অনেকেই কাঁদছিল। শারীরিকভাবে তারা দুর্বল ছিল। সুখী বেগম বলেন, তবে অবিবাহিত নারীদের মধ্যে গ্যাংস্টার ভাব ছিল। তারা সহিংসতা, যুদ্ধ ও হত্যা নিয়ে কথা বলত। তিনি বলেন, তারা ল্যাপটপ খুলে আইএসআইএসের ভিডিও দেখত এবং নিজেরা সবকিছু নিয়ে আলোচনা করত। এ অভিজ্ঞতা আমার কাছে কেবল চায়ের পেয়ালা নয়। আরেক মার্কিন নারী জঙ্গী ॥ আইএসে যোগ দিয়ে বড় ভুল করেছিলাম। এখন আমি আলাবামায় আমার বাড়িতে ফিরতে চাই। এভাবেই ইসলামিক স্টেটের (আইএস) অনুতপ্ত এক মার্কিন নারী জঙ্গী কুর্দী যোদ্ধাদের কাছে আকুতি জানিয়েছেন। এক সন্তানের মা, ২৪ বছর বয়সী হুদা মুথানা আইএসের ঘাঁটি থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় কুর্দীদের হাতে আটক হয়েছেন। এখন তিনি সিরিয়ার একটি শরণার্থী শিবিরে আছেন। ওই শিবিরের ১৫০০ বিদেশী নারী-শিশুর মধ্যে তিনিই একমাত্র মার্কিন নাগরিক। আল হাওল শরণার্থী শিবিরে তার সঙ্গে কথা বলেছেন দ্য গার্ডিয়ানের দুই সাংবাদিক। তবে তাকে ফেরত নেয়া হবে কিনা, এ বিষয়ে ওয়াশিংটন থেকে তাৎক্ষণিক কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। বিদেশী আরও জঙ্গীর মানচিত্র ॥ সর্বশেষ ফাঁস হওয়া মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গী সংগঠন ইসলামিক স্টেট বা আইএসের ১৭৫০ বিদেশী জঙ্গীর তথ্যসংবলিত গোপন নথিতে দেখা যায় সাত বাংলাদেশী সরাসরি যুদ্ধে অংশ নিয়ে নিহত হয়েছে। এরাও গোপনে দেশ ছেড়ে সিরিয়ায় আইএসে যোগ দিয়েছিল। এখন পর্যন্ত অর্ধশতাধিক বাংলাদেশী ও বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত বিভিন্ন দেশের নাগরিকের সরাসরি ইরাক বা সিরিয়ায় গিয়ে আইএসের হয়ে লড়াই করার তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা। এই দলে আছেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত একাধিক নারী। ২০১৩ সালের এপ্রিলে ইরাক, সিরিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের বড় একটি এলাকা নিজেদের দখলে নিয়ে খিলাফত কায়েমের ঘোষণা দেয় আইএস। বাংলাদেশে একের পর এক ভিন্ন মতাবলম্বী ও সংখালঘু হত্যাসহ গুলশান এবং শোলাকিয়ার জঙ্গী হামলা, কল্যাণপুরে জঙ্গীবিরোধী অভিযানের সাম্প্রতিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে আইএস রয়েছেÑ পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো এমন প্রচার চালালেও সরকার আইএসের অস্তিত্ব বরাবরই অস্বীকার করে বলছে, দেশীয় জঙ্গীগোষ্ঠীরাই এসব হামলা করছে বলে সরকারের দাবি।
×