ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

জিন থেরাপির সাহায্যে প্রথম অন্ধত্ব রোধ

প্রকাশিত: ০৮:৪৪, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

জিন থেরাপির সাহায্যে প্রথম অন্ধত্ব রোধ

জিন থেরাপির সাহায্যে সর্বপ্রথম এক নারীর অন্ধত্ব ঠেকানো সম্ভব হয়েছে। ব্রিটেনের অক্সফোর্ড শহরে বসবাসরত ওই নারীর নাম জ্যানেট অসবোর্ন। এই নারীর চোখের কোষগুলো মরে যাওয়া ঠেকাতে প্রথমে কয়েকজন সার্জন তার চোখের কোণে ইনজেকশনের সাহায্যে একটি কৃত্রিম জিন প্রবেশ করান। মানুষের বয়সজনিত কারণে চোখের ম্যাকুলার কমে যাওয়া ঠেকাতে এটি বিশ্বের প্রথম চিকিৎসার উদাহরণ। এই রোগকে সংক্ষেপে ‘এএমডি’ বলা হয়। প্রায় ছয় লাখ ব্রিটিশ বর্তমানে এ রোগে আক্রান্ত। এএমডিতে আক্রান্তরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চিরতরে দৃষ্টি শক্তি হারিয়ে ফেলে। জ্যানেট অসবোর্ন বলেন, আমার বাম চোখ দিয়ে কাউকে চিনতে খুব কষ্ট হতো। কারণ আমার দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে গিয়েছিল। এই চিকিৎসা পদ্ধতি যদি আমার দৃষ্টিশক্তি পুরোপুরি ফেরাতে পারে তবে ঘটনাটি বিস্ময়কর হবে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষুবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক রবার্ট ম্যাকলারেন গত মাসে অক্সফোর্ড চক্ষু হাসপাতালে এই চিকিৎসা পরিচালনা করেন। তিনি বলেন, জ্যানেট অসবোর্নের দৃষ্টি শক্তি ধরে রাখতে এই জিন পদ্ধতিতে চিকিৎসা দেয়া হয়। এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা না দিলে জ্যানেট অসবোর্ন চিরতরে দৃষ্টিশক্তি হারাতেন। তিনি বলেন, এই চিকিৎসা পদ্ধতি চক্ষু বিজ্ঞানের ইতিহাসে বড় ধরনের সাফল্য হয়ে থাকবে। এই পদ্ধতি ভবিষ্যতে চোখের চিকিৎসায় বড় ধরনের অগ্রগতির উদাহরণ হয়ে থাকবে। ৮০ বছর বয়সী জ্যানেট অসবোর্ন ছাড়াও অপর ১০জন এএমডি আক্রান্ত রোগীকে জিন থেরাপির সাহায্যে প্রথমবারের মতো চিকিৎসা দেয়া হয়। ব্রিটেনের সিনকোনা নামের একটি প্রতিষ্ঠান এই চিকিৎসার ব্যয় বহন করে। অবশ্য জিন থেরাপির সাহায্যে এই চিকিৎসক দল ২০১৬ সালে একবার এক বিরল রোগীর চিকিৎসা দিয়ে সফল হয়েছিল। তবে এএমডি রোগীর ক্ষেত্রে জিন থেরাপির ব্যবহার এই প্রথম। বিবিসি
×