ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

কাতার ওপেনে চ্যাম্পিয়ন এলিস মার্টেন্স

প্রকাশিত: ০৯:৩৮, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

 কাতার ওপেনে চ্যাম্পিয়ন এলিস মার্টেন্স

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ পারলেন না সিমোনা হ্যালেপ। আশা জাগিয়েও কাতার ওপেনের ফাইনালে হেরে গেলেন তিনি। রোমানিয়ান তারকাকে পরাজিত করে বাজিমাত করলেন এলিস মার্টেন্স। ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় শিরোপা জয়ের স্বাদ পেলেন বেলজিয়ামের এই তরুণ প্রতিভাবান খেলোয়াড়। শনিবার কাতার ওপেনের ফাইনালে এলিস মার্টেন্স ৩-৬, ৬-৪ এবং ৬-৩ গেমে পরাজিত করেন টুর্নামেন্টের শীর্ষ বাছাই সিমোনা হ্যালেপকে। ২০১৪ সালে দোহার এই টুর্নামেন্টে সর্বশেষ শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছিলেন সিমোনা হ্যালেপ। এরপর আর এই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হতে পারেননি তিনি। তবে এবার শিরোপা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্য নিয়েই কোর্টে নেমেছিলেন বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের সাবেক নাম্বার ওয়ান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত হতে দেননি মার্টেন্স। তবে ফাইনালে হেরে গেলেও প্রতিপক্ষের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হ্যালেপ। এ প্রসঙ্গে ম্যাচের শেষে রোমানিয়ান তারকা বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, এবার সুন্দর এই ট্রফিটা জয়ের লক্ষ্য নিয়েই কোর্টে নেমেছিলাম আমি। কিন্তু এটা বলতে দ্বিধা নেই যে, এলিসই এই শিরোপা জয়ের বেশি দাবিদার।’ বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থেকে নতুন বছর শুরু করেছিলেন সিমোনা হ্যালেপ। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের পর শীর্ষস্থান হারিয়ে তিনে নেমে যান তিনি। অন্যদিকে মার্টেন্স র‌্যাঙ্কিংয়ের ২১ নম্বর খেলোয়াড়। তবে র‌্যাঙ্কিংয়ে যতদূরে থাকেন না কেন? দোহারে বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দশে থাকা চার খেলোয়াড়কে বিদায় করেন তিনি। তারা হলেন চেক প্রজাতন্ত্রের ক্যারোলিনা পিসকোভা, হল্যান্ডের কিকি বার্টেন্স, জার্মানির এ্যাঞ্জেলিক কারবার এবং রোমানিয়ার সিমোনা হ্যালেপ। তবে বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ সারির খেলোয়াড়দের হারিয়েও পা মাটিতে রাখছেন বেলজিয়ান তারকা। এ প্রসঙ্গে নিজের অভিমত প্রকাশ করতে গিয়ে এলিস মার্টেন্স বলেন, ‘এ সপ্তাহে আমি যেভাবে পারফর্ম করেছি তাতে খুব খুশি। বিশেষ করে যে প্রক্রিয়ায় এগোচ্ছি তাতে আমি বেশি খুশি। শুরুতে কম ভাল এবং ধীরে ধীরে অনেক বেশি ভাল করছি প্রতিটি ম্যাচেই। এ কারণেই হয়তো শীর্ষ দশে থাকা খেলোয়াড়দের বিপক্ষে ম্যাচ জিততে পারছি।’ এ সময় কোচকেও কৃতিত্ব দিয়েছেন এলিস মার্টেন্স। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সে আমাকে ইতিবাচক থাকার পরামর্শ দিয়েছিল এবং বলেছিল খুব ভাল টেনিস খেলছি আমি। সত্যি বলতে হেরে গেলেও আমাকে প্রশংসায় রাখে সে।’ এদিকে জাপানের কেই নিশিকোরিকে পরাজিত করে দ্বিতীয়বারের মতো রটারডাম ওপেনের ফাইনাল নিশ্চিত করেছেন তিনবারের গ্র্যান্ডস্লাম জয়ী স্ট্যানিস্লাস ওয়ারিঙ্কা। সেমিফাইনালে ২০১৫ সালের চ্যাম্পিয়ন সুইস তারকা ওয়ারিঙ্কা ৬-২, ৪-৬ এবং ৬-৪ গেমে নিশিকোরিকে পরাজিত করে ফাইনালের টিকেট পান। এই জয়ে ওয়ারিঙ্কা সময় নিয়েছেন প্রায় সোয়া দুই ঘণ্টা। নিশিকোরি এই প্রথমবারের মতো ডাচ টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছেন। ২০১৭ সালের মে মাসে জেনেভাতে সর্বশেষ শিরোপা জিতেছিলেন ওয়ারিঙ্কা। ফাইনালে ওয়ারিঙ্কার প্রতিপক্ষ গায়েল মনফিলস। সেমিফাইনালে ফ্রেঞ্চ তারকা মনফিলস পঞ্চম বাছাই রাশিয়ান ডানিল মেদভেদেভকে ৪-৬, ৬-৩, ৬-৪ গেমে পরাজিত করে ফাইনাল নিশ্চিত করেছেন। এবারের মৌসুমে ১১টি জয়ের বিপরীতে এই নিয়ে দ্বিতীয় পরাজয়ের স্বাদ পেলেন নিশিকোরি। ৩৩ বছর বয়সী ওয়ারিঙ্কা প্রথম সেটে ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়ে সেট জয়ের পর দ্বিতীয় সেটে ০-৪ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছিলেন। তবে শেষ সেটে দারুণ লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত জয় ছিনিয়ে নেন ওয়ারিঙ্কা। ২০১৭ সালের গ্রীষ্মে হাঁটুর দুটি অস্ত্রোপচারের কারণে দীর্ঘদিন কোর্টের বাইরে ছিলেন বিশ্বের ৬৮ নম্বর এই সুইস তারকা। ম্যাচ শেষে ওয়ারিঙ্কা বলেন, ‘অস্ত্রোপচারের পর প্রথমবারের মতো ফাইনাল খেলতে পারাটা দারুণ স্বস্তির ব্যাপার।
×