ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

রাওয়ালপিন্ডির সেনা হাসপাতাল থেকে হামলার নির্দেশ

প্রকাশিত: ০৮:৫৩, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

 রাওয়ালপিন্ডির সেনা হাসপাতাল  থেকে হামলার নির্দেশ

পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির সেনা ঘাঁটির হাসপাতাল থেকে পুলওয়ামায় ‘সিআরপিএফ’ গাড়িবহরে আত্মঘাতী বোমা হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন জঙ্গী গোষ্ঠী ‘জইশ-ই-মোহাম্মদ’ প্রধান মাসুদ আজহার। তিনি গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় গত চার মাস ধরে এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি পাঠানকোট হামলারও পরিকল্পনাকারী। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনের। পাকিস্তানের পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে ওঠা জিহাদী গ্রুপ ‘ইউনাইটেড জিহাদ কাউন্সিল’ (ইউজেসি) জঙ্গীদের ভারতের বিরুদ্ধে কাজে লাগানো হয়। গুরুতর অসুস্থতার কারণে এই জঙ্গী গ্রুপের গত ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মাসুদ আজহার অংশ নিতে পারেনি। পুলওয়ামায় জঙ্গী হামলার প্রস্তুতির আট দিন আগে তার জঙ্গী গ্রুপের সদস্যদের উদ্দেশে তিনি একটি অডিওবার্তা পাঠান। ক্ষীণ কণ্ঠের সেই অডিও বার্তায় আজহার জঙ্গীদের তার ভাগ্নে ওসমান হত্যার প্রতিশোধ নিতে বলেন। গতবছর অক্টোবরে ত্রালে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত হন ওসমান। অডিও বার্তায় আজহারকে বলতে শোনা যায়, ‘এই যুদ্ধে জীবন উৎসর্গের চেয়ে আনন্দের কিছু নাই।’ তিনি কিভাবে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সাহসিকতা দেখিয়েছেন সে বিষয় উল্লেখ করে জঙ্গী সদস্যদের উদ্বুদ্ধ করেন। তিনি বলেন, ‘কিছু কিছু মানুষ এটাকে সন্ত্রাসী কর্মকা-, শান্তির জন্য বিপজ্জনক বলবে। তাদের কথা বাদ দাও এবং শক্তি প্রয়োগ... পুরো সীমান্তে।’ সাম্প্রতিক এই হামলার পরিকল্পনা নিয়ে জঙ্গী গ্রুপ ইউজেসির অন্যদের পরামর্শ করেননি। বরং তিনি গোপনে তার অন্য ভাগ্নে মোহামেদ উমর ও আবদুল রশিদ গাজীকে দায়িত্ব দেন তার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে। তারা ওই অডিও বার্তার মাধ্যমে উপত্যকার অন্য যুবকদের মগজ ধোলাই করে আইইডি বিস্ফোরক দিয়ে ফিদাইন হামলা চালাতে উদ্বুদ্ধ করে। কাশ্মীরের শীর্ষ এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, ‘জইশ-ই-মোহাম্মদের কাউকে সামনে আনবে না। তারা সবাই তাদের নেতা উমর, ইসমাইল ও আবদুল রশিদ গাজীকে নিয়ে দক্ষিণ কাশ্মীরে আত্মগোপন করেছে।’ কাশ্মীরে অন্তত ৬০ জইশ জঙ্গী সক্রিয়। তাদের ৩৫ জন পাকিস্তানী, বাকিরা স্থানীয় বাসিন্দা। মাসুদ আজহারের অনুপস্থিতিতে ইউজেসি বৈঠকগুলোতে সভাপতিত্ব করেন হিজবুল মুজাহিদীন কমান্ডার সৈয়দ সালাহউদ্দিন। গোয়েন্দা সূত্র জানায়, ১৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বৈঠকে হামলা চালানোর জন্য নতুন পন্থা নিয়ে আলোচনা করা হয়। আরেকটি বৈঠক হয় পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের মুজাফফরবাদের টাউন হলে। সেখানে আইইডি দিয়ে হামলা চালানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
×