ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

টু ক রো খ ব র ॥ কারও পৌষ মাস কারও সর্বনাশ

প্রকাশিত: ১১:৪৬, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

টু ক রো খ ব র ॥ কারও পৌষ মাস কারও সর্বনাশ

এটাকেই বলে কারও পৌষ মাস কারও সর্বনাশ। ব্রেক্সিট নিয়ে যখন ব্রিটিশ সরকারের গলদঘর্ম অবস্থা তখন সেটাকে রীতিমতো সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করতে ঝঁাঁপিয়ে পড়েছে নেদারল্যান্ডস। বিশ্বের রাজধানী হিসেবে খ্যাত লন্ডন শহরে থাকা বড় বড় কোম্পানির সদর দফতরের দিকে চোখ পড়েছে নেদারল্যান্ডসের। যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রধান কার্যালয় সরিয়ে তাদের দেশে নেয়ার জন্য ২৫০ এর অধিক আন্তর্জাতিক কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা শুরু“করেছে নেদারল্যান্ডস সরকার। এরই মধ্যে ৪২টি কোম্পানি তাদের দেশে প্রধান কার্যালয় বসিয়েছে। এসব কোম্পানির ১৯২৩ জন কর্মী বর্তমানে তাদের দেশে কাজ করছে। সম্মিলিতভাবে কোম্পানিগুলো ২৯১ মিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগ নিয়ে এসেছে ডাচ্ অর্থনীতিতে। এই কাজে তত্ত্বাবধায়ন করছে নেদারল্যান্ডস ফরেন ইনভেস্টমেন্ট এজেন্সি। ৯ই ফেব্রুয়ারি এক বার্তায় তারা সম্প্রতি তাদের দেশে আসা কোম্পানিগুলোর কথা জোরেশোরেই জানান দিয়েছে। ‘এরা ব্রিটেনভিত্তিক কোম্পানি, আমেরিকান এবং এশিয়ান কোম্পানিও আছে এখানে। তারা সবাই ইউরোপীয় অর্থনৈতিক কাঠামো পরিবর্তনের কারণে নিজেদের অবস্থান পুনঃবিবেচনা করছে’, বার্তায় এভাবেই নতুন কোম্পানিগুলোকে আকর্ষণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে যে সব কোম্পানি নেদারল্যান্ডসে স্থানান্তরিত হয়েছে তাদের মধ্যে আছে- জাপানী ব্যাংক নরিনচুকিন, টিভিটি মিডিয়া, মার্কেট এক্সেস, ইউকে পিএ্যান্ডআই ক্লাব, ডিসকভারি, ব্লুুম্ববার্গ, প্যানাসনিক এবং একটি জাহাজ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি। মূলত ৫টি কারণে নেদারল্যান্ডস ব্রিটেনকে টেক্কা দিতে পারবে। প্রথমত, দেশটির রাজধানী আমস্টারডাম অত্যাধুনিক শহর। মেগাসিটির সব সুবিধাই এখানে আছে। দ্বিতীয়ত, অবকাঠামোগতভাবে আমস্টারডামের সুনাম বেশ ভাল। তৃতীয়ত, ডাচ্ জনগণ ইংরেজীতে পারদর্শী। চতুর্থত, ব্যবসার পরিবেশ এখানে খুবই ভাল। ফরবসের রিপোর্ট অনুযায়ী সারা বিশ্বে ব্যবসার পরিবেশে দেশটি ৪র্থ ভাল স্থানে অবস্থান করছে। শেষ কারণ বিশেষ এক ভিসাতে লেদারল্যান্ডসে ভ্রমণ খুবই সহজ। ডাচ্ প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন এটা স্কফে একটা ব্যবসায়িক সুযোগ নয়। আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, লুক্সেমবার্গসহ অনেক দেশই মুখিয়ে আছে। ইউরোপের বাজারে সেবা দিতে আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ইউরোপ থেকে কার্যক্রম চালাতে হয়। তাই ইউরোপভিত্তিক নয় কিন্তু ইউরোপ কাজ করে এমন সব প্রতিষ্ঠানেরই আঞ্চলিক সদর দফতর আছে ইউরোপে। একই নিয়ম মিডিয়া ব্যবসার ক্ষেত্রে। ইউরোপের বাণিজ্য সচল রাখতে বেলজিয়ামে স্থানীয় দফতর খুলছে বিবিসিও। এদিকে একই ধরনের টোপ ফেলেছে ফ্রান্সও। মেডিক্যাল পণ্য এবং অটোমোবাইল নির্মাতা ৫০টি প্রতিষ্ঠানকে তাদের দেশে আনতে তৎপর তারা। সবমিলিয়ে ইংলিশ চ্যানেলের এক পাশ যখন বিনিয়োগ হারিয়ে বেসামাল আরেক পাশ তখন বিনিয়োগ ধরার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। সারতাজ আলীম
×