ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ডাকসুর নির্বাচিত প্রতিনিধিদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে

প্রকাশিত: ১২:০০, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

 ডাকসুর নির্বাচিত প্রতিনিধিদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদে যারা প্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে ‘শিক্ষার্থী অধিকার মঞ্চ’। এছাড়াও আসন্ন ডাকসু নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত করার দাবি জানানো হয়েছে সংগঠনটির পক্ষ থেকে। শুক্রবার বেলা ১১টায় মধুর ক্যান্টিনে শিক্ষার্থী অধিকার মঞ্চ কর্তৃক আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এই দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাবেক মুখপাত্র মওদুদ মিষ্টি ও নূর বাহাদুর, সাবেক সমন্বয়ক কাজী তৌফিক ইমাম, তোয়াহা ফারুক ও সাদমান সাকিবসহ অনেকে। এসময় ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে আদালতে রিটকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদও উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান মওদুদ মিষ্টি। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ডাকসুর প্রতিনিধিরা নির্বাচিত হন শিক্ষার্থীদের সরাসরি ভোটে। তারপর তারা আর কোনভাবেই শিক্ষার্থীদের কাছে জবাবদিহিতে বাধ্য থাকেন না। ব্যালটে শিক্ষার্থীরা প্রতিনিধিদের ব্ল্যাংকচেক দিয়ে রাখতে বাধ্য হন। নির্বাচিত হওয়ার পর আর শিক্ষার্থীদের কথা বলার সুযোগ দিতে বা তাদের মত শুনতে বাধ্য নন নেতারা। তাদের জবাবদিহি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। লিখিত বক্তব্যে উপাচার্যের একচ্ছত্র ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ডাকসুর চূড়ান্ত ক্ষমতা উপাচার্যের হাতে। তিনিই সর্বেসর্বা-একনায়ক। ডাকসুর গঠনতন্ত্র উপাচার্যের বিধিনিষেধে ভরপুর। এটি মুক্তচিন্তা ও জ্ঞানচর্চার প্রতিবন্ধক। ডাকসুর সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে মঞ্চের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বছরের পর বছর ধরে নিজ হাতে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের খপ্পরে ঠেলে দিচ্ছে। ভোট নিয়েও শঙ্কার শেষ নেই। আদতে ভোট হবে তো? নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক না হলে শিক্ষার্থীদের উচ্ছলতা হতাশায় নিমজ্জিত হবে। সংবাদ সম্মেলনে রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তিনি বলেন, রায়ে পুলিশের মহাপরিচালককে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখার প্রয়োজনে যেকোন পদক্ষেপ গ্রহণে পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সহযোগিতা করবে। তাই কোন অজুহাত দেখিয়ে যেন না বলা হয় যে ডাকসু নির্বাচনের পরিবেশ নেই। প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে এই সংগঠনটি ডাকসু নির্বাচন নিয়ে আন্দোলন শুরু করে।
×