ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

এক প্রতারক শিক্ষকের স্ত্রীর টাকা হাতিয়ে নেয়ার কাহিনী

প্রকাশিত: ১১:৫৬, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

 এক প্রতারক শিক্ষকের স্ত্রীর টাকা হাতিয়ে নেয়ার কাহিনী

গাফফার খান চৌধুরী ॥ ভুয়া কাবিননামা দিয়ে পরিকল্পিত প্রতারণার উদ্দেশ্যে এক বিধবাকে বিয়ে। বিয়ের পর দুই বছর স্বামী-স্ত্রী হিসেবে সংসার করা। স্ত্রীর গর্ভে সন্তান এলে তা ওষুধ দিয়ে নষ্ট করে ফেলা। সংসার করার সময় স্ত্রীর কাছ থেকে তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া। সেই টাকা দিয়ে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকতার চাকরি নেয়া। চাকরি পাওয়ার পর পদোন্নতির জন্য আরও দুই লাখ টাকা স্ত্রীর কাছ আদায়ের চেষ্টা করা। স্ত্রী যাতে বাধ্য হয়ে চলে যায়, এজন্য তার ওপর ‘পরিকল্পিত’ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা। এমন যার চরিত্র, সেই প্রতারক শিক্ষকই এখন মাদারীপুরের ডাসেরচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খুদে শিক্ষার্থীদের নীতিবাক্য ও চরিত্র গঠনের বুলি শেখাচ্ছে। একটি যৌতুকের মামলার তদন্তকালে গিয়ে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পিবিআইর ঢাকা মেট্রোর বিশেষ পুলিশ সুপার বশির আহমেদ জনকণ্ঠকে জানান, কল্পনা (৩০) নামে এক বিধবার ’১৭ সালে রমনা মডেল থানায় দায়ের করা একটি যৌতুকের মামলা তদন্ত করতে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে প্রতারণার অভিনব এ কাহিনী। কল্পনা তার দ্বিতীয় স্বামীর কাছে যৌতুকের টাকা দাবি করলে তা দিতে অস্বীকার করে। পরে অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পিত প্রতারণার ঘটনাটি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের ঢাকা মেট্রোর পরিদর্শক জুয়েল মিঞা জানান, কল্পনার প্রথম স্বামী মোঃ কবির শেখ এগারো বছর আগে মারা যান। এরপর স্বপন মিয়া (৩৪) নামে একজনের সঙ্গে ’১৫ সালের ৬ মার্চ কল্পনার চার লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় স্বপন বেকার ছিল। কল্পনা একটি হাসপাতালে চাকরি করত। কল্পনা গর্ভবতী- বিষয়টি জানানোর পর স্বামী স্বপন কৌশলে ওষুধ খাইয়ে ভ্রুণ নষ্ট করে ফেলে। স্বপন স্ত্রীর কাছ থেকে তিন লাখ টাকা নিয়ে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকতার চাকরি নেয়। চাকরি পাওয়ার পর থেকেই শুরু হয় স্ত্রীর ওপর নির্যাতন।
×