ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

পিকনিক স্পটে ভিড় বেড়েছে

প্রকাশিত: ০৯:১৪, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

পিকনিক স্পটে ভিড় বেড়েছে

এখন শীতের মৌসুম। আর কয়েকদিন পরেই বিদায় নেবে শীত। তাই যশোরের পিকনিক স্পটগুলোতের বেড়েছে দর্শনার্থীদের। বিশেষ করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যাচ্ছেন আনন্দ উল্লাস করতে। আর কিছু দিনের মধ্যে গরমের আবহ পুরোপুরি টের পাওয়া যাবে। দেশের ভেতরে অথবা বাইরে বেড়ানোর জন্যে এ সময়টাকে সাধারণত বেছে নেন মানুষ। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি-মার্চ এ তিন মাসকে পিকনিকের ভরা মৌসুম বলা হয়। বছরের প্রথম দিকে বিভিন্ন কর্মস্থলে কাজের চাপ এবং শিক্ষার্থীদের স্কুল কলেজে লেখাপড়ার চাপ কম থাকায় বিনোদনের জন্য সবাই বিভিন্ন পার্ক বা বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ভিড় জমায়। পরিবার-পরিজন আত্মীয়স্বজনদের নিয়ে একটু আনন্দ এবং মানসিক প্রশান্তির জন্য, সারা বছরের এক ঘেয়েমি দূর করতে বছরের এ সময়টাতে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে যায়। সারা বছরের প্রশান্তিই তারা যেন এ সময়টাতে ধরে রাখতে চায়। বছরের অন্য সময়ের তুলনায় আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ সময়টাতে বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে লোকজনের পদচারণায় মুখরিত হতে শুরু করে। কর্তৃপক্ষও নতুন সাজে সাজিয়ে তুলতে ব্যস্ত এসব বিনোদন কেন্দ্র। ঝেড়ে মুছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয় এ সময়। সারাদেশের পার্কগুলোর মতো যশোরের বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রগুলোও বিনোদন প্রেমিকদের আনন্দ দিতে নতুন সাজে ইতিমধ্যেই সজ্জিত করা হয়েছে। প্রতিদিন শহরের বাইরে থেকে, শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাস ভর্তি করে এসব জায়গায় লোকজন আসছে। কেশবপুর থেকে জেস গার্ডেনে পরিবারের সঙ্গে আসে নার্গিস নাহার। তিনি জানান, প্রতি বছর এ সময়টাতে তিনি পরিবারের সঙ্গে একটা দিনের জন্য হলেও শহরের বাইরে পিকনিক করতে আসেন। যশোরের বিভিন্ন পার্কগুলোর মধ্যে রয়েছে বিনোদিয়া ফ্যামিলি পার্ক। যশোর শহর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে এ পার্ক সেনানিবাসের শানতলায় প্রতিষ্ঠিত। এখানে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মনোমুগ্ধকর উপকরণ দিয়ে সাজানো হয়েছে। দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য এখানে রয়েছে মিনি চিড়িয়াখানা, শিশুদের জন্য পার্ক, ছোট্ট পার্ক, রবীনহুডের ঘর, কৃত্রিম ঝরণা, কয়েকটি খাবার স্টলসহ আরও নানারকম উপকরণ। অন্যদিকে ১৯৯৮ সালের দিকে শহর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে বাহাদুরপুরে ৫০ বিঘা জমির ওপর জেস গার্ডেন পার্ক গড়ে ওঠে। শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে এ পার্কে মানুষের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। কর্তৃপক্ষও আপ্রাণ চেষ্টা করছেন এ কেন্দ্রটিকে বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে সাজাতে। এখানে রয়েছে জাম্পিং বাস খেলা, ঝরণা হাউস, হরিণ চরকা প্রভৃতি ছোটদের মনোরঞ্জনের জন্যে রয়েছে চিড়িয়াখানা। যেখানে রয়েছে কুমির, বানর, হরিণ, শিম্পাঞ্জি ইত্যাদি। যশোরের আর একটি বিনোদন কেন্দ্রের নাম যশোর বোর্ড ক্লাব। শহরের কোলাহল ছেড়ে প্রাকৃতিক পরিবেশে বড় এক লেকের ধারে গড়ে উঠেছে এ ক্লাব। রয়েছে ভাসমান বোর্ড, দোলনা, প্লাস্টিকের ঘোড়া বিভিন্ন পশু পাখির ভাস্কর্য প্রভৃতি। কয়েক বছর আগে যশোরের রুদ্রপুরে শ্যামল ছায়া নামে পিকনিক কর্নার গড়ে ওঠার পর থেকে লোক সমাগম লেগেই থাকে। আর এ সময়টাতে এমন নিরিবিলি পরিবেশে লোক সমাগম আরও বেড়ে যায়। সবুজ মনোরম পরিবেশের আবহ ছাড়া এখানে বিনোদনের জন্য রয়েছে নানান উপকরণ। সবকটি বিনোদন কেন্দ্রেই ভিড় জমতে শুরু করেছে। তবে ফেব্রুয়ারি মার্চের দিকে ভিড়টা আরও বাড়বে বলে জানালেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। জেস গার্ডেনের ম্যানেজার ওলিয়ার রহমান জানালেন, তাদের কর্নারেও লোকজন আসতে শুরু করেছেন। ফেব্রুয়ারি মাস পুরো সময় ভিড় থাকবে। মার্চের দিকে আরও বাড়বে বলে তিনি জানালেন। এছাড়া, মনিরামপুরের ঝাঁপা বাঁওড়ে প্লাস্টিকের ড্রামের ওপর নির্মিত ভাসমান সেতু দেখতে প্রতিদিনিই মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। শুধু তাই না, দর্শনার্থীদের কথা চিন্তা করে কর্তৃপক্ষ গড়ে তুলেছে পিকনিক স্পট। -সাজেদ রহমান, যশোর থেকে
×