ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সংসদকে পাশ কাটিয়ে সৌদির সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে প্রশ্ন

প্রকাশিত: ১২:৫৮, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

সংসদকে পাশ কাটিয়ে সৌদির সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে প্রশ্ন

সংসদ রিপোর্টার ॥ সংসদকে পাশ কাটিয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে জাতীয় সংসদে। বৃহস্পতিবার রাতে পয়েন্ট অব অর্ডারে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এবং বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সিনিয়র সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম এ প্রশ্ন তুলে এমন চুক্তি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কিনা, সে ব্যাপারে সংসদে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেছেন। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে রাতে সংসদ অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে ফ্লোর নিয়ে সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, ইতোমধ্যে বিবিসিতে সংবাদ দিয়েছে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশ একটি প্রতিরক্ষা সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করছে। এ ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্বীকার বা অস্বীকার কোনটাই করেনি। ওই সমঝোতা চুক্তির আওতায় ইয়েমেন সীমান্তে বাংলাদেশের ১৮০০ সেনা নিয়োগ দেয়ার কথা। তিনি বলেন, সৌদি আরবে ইসলামী সেনাবাহিনী কাউন্টার টেরিজম কমিশন আইএমসিটিসি বাংলাদেশ থেকে একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেলসহ ৪ কর্মকর্তাকে নিয়োগের জন্য নামও দেয়া হয়েছে বলে খবরে প্রকাশ। ২০১৫ সালে যখন সৌদি নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসবিরোধী উদ্যোগে বাংলাদেশ নাম লিখেছিল, তখনই আমরা বলেছিলাম আমাদের জন্য কতটা ইতিবাচক হবে তার চুলচেরা বিশ্লেষণ জরুরী। খটকা ছিল তখনই। সেই সময় সৌদি আরব যেটাকে ৩৪ জাতি সামরিক জোন বলেছিল, আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইনিয়ে বিনিয়ে তখন বলেছিল এটা একটি সন্ত্রাসবিরোধী সমন্বিত উদ্যোগ। সেই সময় জনগণের আশঙ্কাকে নিরসন করে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্টভাবে বলেছিলেন যে সৌদি আরবে যে দুটি পবিত্র মসজিদ রয়েছে মক্কা এবং মদিনায় হাদেম শরীফ- এই মসজিদ দুটি যদি আক্রমণের মুখে পড়ে তখনই কেবল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পাঠাবে। এর বাইরে কখনও কোন সেনাবাহিনী পাঠাবে না। তিনি বলেন, সংসদের অধিবেশন যদি না থাকত তাহলে বুঝতাম যে, সংসদকে অবজ্ঞা করা হয়নি। আমার মনে হয়, সংসদকে অবজ্ঞা ও পাশ কাটিয়ে, সংসদকে মূল্যহীন ভেবে এমন চুক্তির প্রচেষ্টা সরকারের কতটুকু যুক্তিযুক্ত হয়েছে? যেখানে রাষ্ট্রের প্রধান অঙ্গ সংসদ। আমরা টিকফা চুক্তিও দেখেছি, কোন চুক্তি স্পীকারের দফতরে জমা পড়েছে কি না আমি জানি না। তবে এ ব্যাপারে আরও পরিচ্ছন্ন হওয়া উচিত। এই সংসদের মান-মর্যাদা আমাদের গণতন্ত্রের মূল্যায়নের জন্য আস্তে আস্তে এগিয়ে যাক।
×