ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

দেশে ১৩ হাজার শিশু বছরে ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে

প্রকাশিত: ১১:০১, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

দেশে ১৩ হাজার শিশু বছরে ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে

নিখিল মানখিন ॥ ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের জন্য দেশে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও অবকাঠামো নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাপ্তবয়স্ক ক্যান্সার রোগীদের তুলনায় শিশুদের চিকিৎসা দেয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসা পদ্ধতি পাল্টাতে হয়। দেশে প্রতিবছর নতুন করে প্রায় ১৩ হাজার শিশু ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে শিশু ক্যান্সারে আক্রান্তদের ৭৫ ভাগ নিরাময় সম্ভব। দেশে যে হারে ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাড়ছে, সে তুলনায় চিকিৎসার সুযোগ পাচ্ছে কম। মাত্র ১০ শতাংশেরও কম রোগী চিকিৎসার আওতায় আসছে। বাকি ৯০ শতাংশ যথাযথ চিকিৎসার বাইরে থেকে যাচ্ছে। শিশু রোগীদের চিকিৎসায় ঢাকার চারটিসহ মোট দশ সরকারী হাসপাতালে শিশু ক্যান্সার বিভাগ চালু আছে। যদিও প্রতিবছর শিশু ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় তাদের চিকিৎসাসেবা দেয়ার মতো চিকিৎসক ও অবকাঠামো নেই। এমন অবস্থার মধ্য দিয়ে আজ শুক্রবার পালিত হচ্ছে বিশ্ব শিশু ক্যান্সার দিবস। যেভাবে শিশুদের মধ্যে ক্যান্সারের উপস্থিতি বাড়ছে তা যথেষ্ট উদ্বেগজনকÑ মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ বিষয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের শিশু ক্যান্সার বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডাঃ এ কে এম আমিরুল মোরশেদ খসরু জনকণ্ঠকে জানান, দেশে প্রতিবছর নতুন করে প্রায় ১৩ হাজার শিশু ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। অবশ্য প্রকৃত সংখ্যা অনেক। প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে শিশু ক্যান্সারের ৭৫ শতাংশ নিরাময় করা সম্ভব। শিশু ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসায় ঢাকা মেডিক্যালসহ মোট দশ সরকারী হাসপাতালে শিশু ক্যান্সার বিভাগ চালু আছে। প্রতিবছর যত শিশু ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় তাদের চিকিৎসাসেবা দেয়ার মতো চিকিৎসক ও অবকাঠামো নেই। তবে প্রতি বিভাগে একটি করে ক্যান্সার হাসপাতাল এবং প্রতি জেলায় একটি করে ক্যান্সার ইউনিট গড়ে তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হলে শিশু রোগীর চিকিৎসা প্রাপ্তির হার অনেকগুণ বেড়ে যাবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পেডিয়াট্রিক হেমাটোলজি এ্যান্ড অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান শিশু ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডাঃ আফিকুল ইসলাম বলেন, কয়েক বছর আগেও বাংলাদেশে ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশুদের ৯০ শতাংশই মারা যেত।
×