ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জুনেই ই-পাসপোর্ট দেয়ার জোর প্রস্তুতি

প্রকাশিত: ১০:৫৬, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

জুনেই ই-পাসপোর্ট দেয়ার জোর প্রস্তুতি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পাসপোর্ট অধিদফতর এ বছরের মাঝামাঝি সময় ‘ই-পাসপোর্ট’ দেয়ার জোর চেষ্টা চালাচ্ছে। এর আগে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে তিন দফা সময় পরিবর্তন করা হয়েছে। এবার অধিদফতর জুনেই ই-পাসপোর্ট দেয়ার জন্য কাজ শুরু করেছে। অধিদফতর বলছে, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) থেকে ই-পাসপোর্টে চলে গেছে। দেরিতে হলেও দেশে এ বছর থেকেই ১০ বছর মেয়াদী ই-পাসপোর্ট দেয়া হবে। কর্মকর্তারা বলছেন, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর ই-পাসপোর্ট দেয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বড় ধরনের কোন সমস্যা দেখা না দিলে জুনেই ই-পাসপোর্ট হাতে পাবেন দেশের নাগরিকরা। সূত্র জানিয়েছে, গত বছরের ডিসেম্বর ও পরে এ বছরের মার্চে ই-পাসপোর্ট তৈরি করার কথা থাকলেও আবার একদফা পেছানো হয়। এবার জুনের শুরুতে ই-পাসপোর্ট দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ই-পাসপোর্ট তৈরির জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। বড় ধরনের কোন জটিলতা না থাকলে ই-পাসপোর্ট দেয়া সম্ভব হবে। কাজ অনেকদূর এগিয়ে গেছে। কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ বলা যাচ্ছে না। তবে আমরা এ বছরের জুনকে টার্গেট করেই এগিয়ে যাচ্ছি। ২০১৮ সালের জুলাই মাসে অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাসুদ রেজওয়ান জার্মানির ভেরিডোসের সঙ্গে ই-পাসপোর্টের চুক্তি করেন। এর পর ডিসেম্বরে পাসপোর্ট দেয়ার কথা থাকলেও সেই সিদ্ধান্তে কিছুটা পরিবর্তন আনে অধিদফতর। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগ দিয়ে প্রথম ধাপে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পীকার ও কমার্শিয়াল ইমপোর্টেন্ট পার্সনকে (সিআইপি) ই-পাসপোর্ট দিয়ে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করার কথা ছিল। সর্বসাধারণকে জানুয়ারিতে পাসপোর্ট দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তবে কিছু জটিলতার কারণে প্রকল্পটির কাজ যথাসময়ে বাস্তবায়ন করা যায়নি। জানা গেছে, ই-পাসপোর্ট প্রকল্প বাস্তবায়নে জার্মানির দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, পাসপোর্টের ইলেক্ট্রনিক চিপে দশ আঙুলের ছাপ থাকার কথা। তবে চুক্তি স্বাক্ষরের পর প্রকল্প বাস্তবায়নকারী জার্মান কোম্পানি মাত্র দুটি আঙুলের ছাপ সংরক্ষণ করতে চাচ্ছে। অধিদফতর বলছে, দুই আঙ্গুলের ছাপে ভবিষ্যতে ই-পাসপোর্ট জালিয়াতি হতে পারে। তাই এ প্রস্তাবে রাজি হচ্ছে না পাসপোর্ট অধিদফতর। এ নিয়ে জার্মান প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। তবে বিষয়টি এখনও সুরাহা হয়নি। ই-পাসপোর্টের বিলম্ব হওয়ার অন্যতম কারণ এটিই বলে জানিয়েছে অধিদফতর। ই-পাসপোর্টের মেয়াদ ১০ বছর রাখার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলেও এর ফি এখনও নির্ধারিত হয়নি। অধিদফতর থেকে স্বরাষ্ট্র ও অর্থ মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য তিন ধরনের ফি’র পরিমাণ প্রস্তাব করা হয়েছে। এ মাসের গোড়ারদিকে দুই মন্ত্রণালয় থেকে ফি চূড়ান্ত করার কথা ছিল। কিন্তু তা চূড়ান্ত হয়নি।
×