ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

একাডেমিক এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম’ চালুতে আগ্রহী যুক্তরাজ্য

প্রকাশিত: ১১:১৯, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

একাডেমিক এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম’ চালুতে আগ্রহী যুক্তরাজ্য

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে পারস্পরিক ‘একাডেমিক এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম’ চালু করতে আগ্রহী যুক্তরাজ্য সরকার। মঙ্গলবার সচিবালয়ে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় ঢাকায় যুক্তরাজ্যের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার কানবার হোসেন তাদের এ আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। এ সময় ব্রিটিশ হাইকমিশনের প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) আবু জাকী এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক এজাজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নয়নসহ দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান শিক্ষা উপমন্ত্রী। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকায় ভারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার কানবার হোসেন বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করে বলেন, ভারত, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখাসহ বিভিন্ন একাডেমিক বিনিময় কর্মসূচী চালু আছে। বাংলাদেশের সঙ্গে এ ধরনের সহযোগিতা চালু হলে দেশের উচ্চশিক্ষার ইমেজ বাড়বে এবং বেশি সংখ্যক বিদেশী ছাত্র ভর্তি হতে আগ্রহী হবে। কানবার হোসেন আরও বলেন, পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ব্রিটিশ কাউন্সিলের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ উপকৃত হতে পারে। বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করে উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা প্রস্তাবের জন্য শিক্ষা উপমন্ত্রী ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে ধন্যবাদ জানান। এক্ষেত্রে দুদেশের সহযোগিতা আরও জোরদার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার নওফেল। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি উল্লেখ করে ভারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনারকে উপমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক কার্যক্রম সবার জন্য উন্মুক্ত। এখানে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনায় কারও কোন বাধা নেই। শুধু যারা হিংসাত্মক ও নৈরাজ্যমূলক কাজ করবে, তাদের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে। বছরে চার দফায় ক্লাস ক্যাপ্টেন পরিবর্তনসহ ৩ দফা নির্দেশনা মাউশির ॥ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে কলেজ পর্যন্ত বছরে চার দফায় ক্লাস ক্যাপ্টেন পরিবর্তনসহ ৩ দফা নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর। একই সঙ্গে শুধু ক্লাসের ভাল শিক্ষার্থীকে নয়, তিন বা চারজনকে একসঙ্গে ক্যাপ্টেন মনোনীত করে প্রতি তিন মাস পর দায়িত্ব দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতকরণ এবং সব জাতীয় দিবসসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান উদযাপন পরিচালনা শিক্ষার্থীদের দিয়ে করাতে বলা হয়েছে। শিক্ষা অধিদফতর থেকে নির্দেশনা সংক্রান্ত চিঠি সব উপ-পরিচালক, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনা পর্যদের সভাপতি ও প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ক্লাসে বার্ষিক পরীক্ষায় যারা প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করে কেবল তাদেরই সারা বছরের জন্য ক্লাস ক্যাপ্টেনের দায়িত্ব দেয়া হয়। ফলে অধিকাংশ শিক্ষার্থীর মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলী বিকশিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয় না। শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলী, সময় সচেতনতা, দায়িত্ববোধ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বোধ তৈরি করার জন্য ক্যাপ্টেনদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। বিদ্যালয়, বিদ্যালয়ের অঙ্গন এবং ওয়াশব্লক পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে অধিদফতরের আদেশে। প্রতি বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীরা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিকল্পনা ও পরিচালনা করবে এবং শিক্ষকরা সহযোগিতা করবে। বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস, জাতীয় শিশু দিবস, জাতীয় শোকদিবস ও অন্যান্য জাতীয় দিবসগুলোসহ পাঠ্যপুস্তক উৎসব, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, মিলাদ, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, বিদায় অনুষ্ঠান শিক্ষার্থীদের দিয়ে পরিকল্পনা ও পরিচালনা শিক্ষার্থীদের দিয়ে করাতে বলা হয়েছে। শিক্ষকদের এ কাজে সহযোগিতা করতেও নির্দেশ দিয়েছে অধিদফতর।
×