ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

মিয়ানমারের পিছুটান, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাধা

প্রকাশিত: ১০:০৯, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

 মিয়ানমারের পিছুটান, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাধা

মোয়াজ্জেমুল হক, চট্টগ্রাম অফিস ॥ মিয়ানমারে বিশেষ করে রাখাইন রাজ্যে বর্বরোচিত সেনা অভিযানে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে লাখ লাখ রোহিঙ্গার আশ্রয় গ্রহণের বিষয়টি সারা বিশ্বজুড়ে বাহবা কুড়িয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে এসব আশ্রিত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেও মিয়ানমার পিছুটান দিয়ে আছে। বেসরকারী পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ পর্যন্ত পালিয়ে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যান ১২ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। তবে জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের রাতের সেনা অভিযানের পর থেকে বাংলাদেশে পালিযে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা ৭ লক্ষাধিক। মিয়ানমার সরকার এসব রোহিঙ্গাদের মধ্যে এখনও একজনকেও ফিরিয়ে নেয়নি। বাংলাদেশ সরকার মানবিক কারণে এদের আশ্রয় যেমন দিয়েছে, তেমনি যোগান দিয়েছে খাদ্য ও বিভিন্ন ত্রাণ সামগ্রী। এতে সহযোগিতা দিয়েছে দেশের বিভিন্ন বেসরকারী পর্যায়, দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক এনজিও সংস্থা। পাশাপাশি জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। বাংলাদেশের দক্ষিণে কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ সীমান্তে ৩০ আশ্রয় শিবিরে এরা স্থান পেয়েছে। এসব আশ্রয় শিবির ছাড়াও রোহিঙ্গারা যেমন ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে, তেমনি প্রতিনিয়ত সেখান থেকে পালিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে চলেও যাচ্ছে। বর্তমানে আরও উদ্বেগের ঘটনা হচ্ছে রোহিঙ্গাদের পর মিয়ানমার সরকার এখন আরাকান আর্মি সদস্য ও এদের সহযোগীদের দমনের প্রক্রিয়ায় সে দেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সংখ্যালঘু বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর সদস্যরাও বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে শুরু করেছে। কক্সবাজারের আরআরসি কমিশনার আবুল কালাম জনকণ্ঠকে জানিয়েছেন, তাদের হিসাব অনুযায়ী ইতোমধ্যে মিয়ানমারের বৌদ্ধ, ম্র্রো, বম, রাখাইন ও খুমি সম্প্রদায়ের দুই শতাধিক লোকজন বান্দরবানের দুর্গম রুমা সীমান্তের চৈক্ষ্যং পাড়া দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। বিভিন্ন সূত্র মতে, এখন রুমা, রেমাক্রীসহ ওইসব দুর্গম এলাকার সীমান্তের ওপারে নৌম্যানল্যান্ডে আরও শত শত বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজন আশ্রয় নিয়েছে। বিস্ময়ের ঘটনা হচ্ছে, মিয়ানমারের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য রাখাইন ও এর উত্তরের সিন রাজ্যে আরাকান আর্মির সঙ্গে সে দেশের সেনাবাহিনীর সহিংসতায় টিকতে না পেরে যারা পালিয়ে আসার অপেক্ষায় রয়েছে তাদের জন্য বাংলাদেশের সীমান্ত খুলে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশন (ইউএনএইচসিআর)। এমনিতেই লাখ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সদস্যদের আশ্রয়ের জন্য সীমান্ত খুলে দিয়ে তাদের আশ্রয়ের ব্যবস্থার পরে ঘটনা বাংলাদেশের জন্য বড় ধরনের গলার ফাঁস হয়ে আছে, সেখানে নতুন করে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজনকে এদেশে আসার জন্য সীমান্ত দেয়ার আহ্বানের নেপথ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কুচক্রীমহলের কোন চক্রান্ত রয়েছে কিনা তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে উদ্বেগ উৎকণ্ঠার জন্ম দিয়েছে। সীমান্তের বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক কুচক্রীমহল এদেশের স্বাভাবিক পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাইছে। যেখানে ইতোপূর্বে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সসম্মানে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য বিশ্বের বহু দেশ প্রকাশ্যে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক বিভিন্ন সংগঠনসহ বিভিন্ন সংস্থা সোচ্চার ভূমিকা পালন করেছে তা সবই ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। মিয়ানমার এখন সম্পূর্ণভাবে রোহিঙ্গা ইস্যুতে পিছু টান যে দিয়ে আছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। রোহিঙ্গা ইস্যুতে খোদ জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজ, বিশ্বব্যাংক প্রধান, বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান, পশ্চিমা বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তা, জাতিসংঘের বিভিন্ন পর্যায়ের দূত, বিশ্বজুড়ে সমাদৃত তারকারা রোহিঙ্গা শিবির সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন, পরিস্থিতি অনুধাবন করে রোহিঙ্গাদের ওপর ঘটে যাওয়া বর্বরোচিত ঘটনার নিন্দা করেছেন এবং তাদের যথাশীঘ্রই তাদের সকল অধিকার দিয়ে ফিরিয়ে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন- সেখানে এখন পদে পদে প্রতিবন্ধকতাই দৃশ্যমান। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ রোহিঙ্গা ইস্যুতে কম সভা করেনি। বক্তব্যও কম দেয়নি। কিন্তু নিরাপত্তা পরিষদে চীনসহ কয়েকটি দেশের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ এ পরিষদে এ নিয়ে ইতিবাচক কোন সিদ্ধান্ত আসেনি, যা বাংলাদেশের জন্য ক্ষতির দিকটিকে দফায় দফায় বাড়িয়ে দিয়েছে। এরপরও বাংলাদেশএ ইস্যুতে থেমে থাকেনি। রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের পক্ষে বারে বারে আকুতি জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, ওরা আমাদের নয়, ওরা মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত নাগরিক। তাদের নাগরিককে তাদেরই ফিরিয়ে নিতে বিশ্বকে সোচ্চার ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে বিশ্বও এগিয়ে এসেছে। কিন্তু প্রত্যাবাসনে বড় ধরনের হোঁচট খেয়ে আছে। সীমান্তের বিভিন্ন সূত্র আরও জানিয়েছে, রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কোথায় যেন গোলমাল বেঁধে আছে। বাংলাদেশ যখন উন্নয়নের রোল মডেলে উন্নীত হয়েছে, তখন রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে এদেশকে অস্থিতিশীল করতে কোথায় যেন ষড়যন্ত্রের ছক হয়েছে। মিয়ানমার তার ভূ-রাজনীতির সুবিধার কারণে রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠীর সদস্যদের অমানবিক কায়দায় এবার একের পর এক যেমন হত্যা করেছে, তেমনি করেছে বাস্তুচ্যুত। রোহিঙ্গাদের বাপ-দাদার ভিটে জ্বালিয়ে দিয়েছে একের পর এক। নির্বিচারে গণহত্যার মুখে টিকতে না পেরে এরা দেশান্তরী হয়েছে। যাদের অধিকাংশই এসেছে বাংলাদেশে। কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ অঞ্চল ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর থেকে ব্যাপকভাবে জর্জরিত। এ দুই উপজেলার জনসংখ্যার তিনগুণ বেশি হয়েছে রোহিঙ্গা সদস্যদের নিয়ে। স্বভাবতভাবেই রোহিঙ্গারা স্বাভাবিক আইন কানুন মানে না। এদের মধ্যে আবার উগ্রবাদী ও জঙ্গীবাদে বিশ্বাসীও রয়েছে। আবার রোহিঙ্গাদের একটি অংশ রাখাইন রাজ্যকে স্বাধীন করতেও উন্মুখ। বিষয়টি মিয়ানমার সরকার আঁচ করতে পেরে এদের ওপর হামলে পড়েছে। একের পর এক রোহিঙ্গাবিরোধী অভিযানে অসংখ্য প্রাণ হারিয়েছে, যা বিশ্বজুড়ে গণহত্যা হিসাবে স্বীকৃতিও লাভ করেছে। গণহত্যার দায়ে মিয়ানমার সরকারের বর্তমান এনএলডি নেত্রী ও শীর্ষ কয়েক সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের দাবিও কম হয়নি। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে প্রতীয়মান, সবই অসাড় হয়ে আছে। বর্তমানে এসব রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সদস্যদের একটি অংশ আশ্রয় শিবির ছেড়ে এ দেশের আনাচে কানাচে প্রতিনিয়ত ছড়িয়ে যাচ্ছে, যা এ দেশের জন্য চরম ক্ষতিকর ও উদ্বেগজনক। এছাড়াও এদেশে মরণনেশার মাদক ইয়াবা যে দেশজুড়ে ছেয়ে গেছে তার নেপথ্যেও রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠীর সদস্যদের সম্পৃক্ততা সবচেয়ে বেশি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার কাছে ইতোমধ্যে বহু রোহিঙ্গা আটকও হয়েছে। এরপরেও এখনও মিয়ানামর থেকে ইয়াবার চালান আসছে। কিছু ধরাও পড়ছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এখন নতুন সঙ্কট দেখা দিয়েছে বান্দরবানের উমা উপজেলার দুর্গম সীমান্ত পথে মিয়ানমারের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্ব জাতিগোষ্ঠীর কিছু সদস্যের এদেশে পালিয়ে আসার কিছু প্রবণতা। ইতোমধ্যে দুই শতাধিক চলেও এসেছে। সে দেশের জিরো লাইনে এখন শত শত এ জাতিগোষ্ঠীর সদস্য অপেক্ষমান বলে সীমান্তের বিভিন্ন সূত্রে জানানো হয়েছে। এ ঘটনার পর বাংলাদেশের পক্ষে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত কঠোর নজরদারিতে আনা হয়েছে। আগে থেকে সিল হয়ে থাকা দু’দেশের সীমান্তকে আরও কঠোর পর্যবেক্ষণে আনা হয়েছে। বর্তমান নতুন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমিন ইতোমধ্যে রোহিঙ্গা ইস্যুর সমাধান নিয়ে শঙ্কা ব্যক্ত করেছেন। অনুরূপভাবে রবিবারও তিনি এ ধরনের মনোভাব প্রকাশ করেছেন। সরকারের চূড়ান্ত নির্দেশে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষীবাহিনী বিজিবিকে কঠোর অবস্থান নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এবং তা ইতোমধ্যে বাস্তবায়ন হয়েছে। কিন্তু রোহিঙ্গা ইস্যুর সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণে প্রতীয়মান হচ্ছে বাংলাদেশ এই ইস্যুতে মানবিকতার পরিচয় দিয়ে বাহবা কুড়িয়েছে সত্য, কিন্তু এদের প্রত্যাবাসনে এখন প্রতি পদে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির বিষয়টি অনুভব করছে। শুধু তাই নয়, এ ইস্যুতে সচেতন বিভিন্ন সংস্থা বিষয়টি অন্যভাবে পর্যবেক্ষণ করে চলেছে। আর সেটি হচ্ছে এ দেশকে অস্থিতিশীল করে রাখার ষড়যন্ত্র ও পাঁয়তারা। বিভিন্ন সূত্র মতে, ওরা মিয়ানমার থেকে এসেছে, মিয়ানারই তাদের ফিরিয়ে নিতে বাধ্য। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সকল নিয়ম কানুনকে তোয়াক্কা না করে মিয়ানমার এ ইস্যুর সমাধানে অনমনীয় মনোভাবে রয়েছে। ফলে বাংলাদেশের ভোগান্তি ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে। সবচেয়ে শঙ্কার বিষয়টি নিয়ে বলা হচ্ছে, আগামীতে এদের পরিবারে ক্রমান্বয়ে শঙ্কা যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে, তেমনি উখিয়া টেকনাফ অঞ্চলে উগ্র ও জঙ্গীবাদের উত্থান হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। কেননা, আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মধ্যে উগ্রবাদী সংগঠনের সন্ত্রাসী সদস্যদের সংখ্যাও কম নয়। সাধারণ রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরে যেতে উন্মুখ হলেই এদের ওপর উগ্রবাদীরা প্রতিনিয়ত তেড়ে আসছে। এ নিয়ে খুন খারাবির ঘটনাও বিচ্ছিন্নভাবে ঘটেছে। এসব বিষয় বাদ দিলেও এত বিপুলসংখ্যক ভিনদেশীকে বাংলাদেশে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস এমনকি বছরের পর বছর আশ্রয় দিয়ে রাখা কখনও সম্ভব নয়। বিভিন্ন সূত্রে বলা হচ্ছে, শরণার্থী ইস্যু নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো যেখানে হিমশিম খাচ্ছে, এমনকি বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রগুলোও শরণার্থী ইস্যুতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে, সেখানে বাংলাদেশ ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে নজিরবিহীন উদারতার পরিচয় দিয়েছে। এখন বিশ্ব সংস্থাগুলোকে এদের প্রত্যাবাসনে এগিয়ে আসা ছাড়া বাংলাদেশের জন্য বিকল্প কোন পথ খোলা নেই। অথচ, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জেনেভায় জাতিসংঘ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ইউএনএইচসিআরের পক্ষ থেকে দুর্ভাগ্যজনকভাবে বাংলাদেশের প্রতি আহবান জানানো হল যে, মিয়ানমারের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ও উত্তরাঞ্চলীয় সিন রাজ্যে সহিংসতার জের হিসাবে সেখান থেকে যারা বাংলাদেশ সীমান্ত গলিয়ে পালিয়ে আসতে চাইছে তাদের জন্য ঢাকাকে সীমান্ত খুলে দিতে হবে। এ ঘটনার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ সীমান্তে বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। নতুন করে যারা আসতে চাইছে তাদের আসা বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। অপরদিকে, ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র আন্দ্রেজ মাহেশিক তার আহ্বানে বলেছেন, মিয়ানমারে চলতে থাকা সহিংসতার জেরে সে দেশের আরও মানুষ গৃহহীন হতে পারে। এবং শরণার্থীদের ঢল নামার শঙ্কাও জেগেছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারকে সহযোগিতা দিতে ওই সংস্থা প্রস্তুত বলেও জানিয়েছে। বিষয়টি বিশ্লেষণ করে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, এ ধরনের আহ্বানের নেপথ্যে বড় ধরনের ষড়যন্ত্র রয়েছে। মিয়ানমার তাদের বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠীর সদস্যদের ওপর দমন নিপীড়ন চালাবে, আর নিপীড়িতদের বাংলাদেশ আশ্রয় দেবে- এমন ঘটনা সম্পূর্ণ অনাকাক্সিক্ষত। এমনিতেই লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশের পরিস্থিতিকে উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় রেখেছে। সেখানে নতুন করে শরণার্থীদের জন্য সীমান্ত খুলে দেয়া কোন অবস্থাতেই সমীচীন যেমন হবে না, তেমনি বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমার সংলগ্ন পুরো সীমান্ত এলাকাকে বাস্তবিক অর্থেই সিল করে রাখাই হবে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।
×