ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

রাজকুমারীর প্রার্থিতা প্রত্যাহার থাই রক্ষা পার্টির

প্রকাশিত: ০৮:৫৭, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

 রাজকুমারীর প্রার্থিতা প্রত্যাহার থাই রক্ষা পার্টির

থাই রাজনীতিতে ২৪ ঘণ্টার উচ্চ পর্যায়ের নাটকীয়তার অবসান হলো শনিবার। এদিন থাই রাজা ঘোষণা করেন রাজকুমারির প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থিতার পদক্ষেপটি অসাংবিধানিক। গার্ডিয়ান। থাইল্যান্ডের থাই রক্ষা চার্ট (সেভ দ্য নেশন্স) তাদের দলের পক্ষ থেকে রাজকুমারি উবলরত্মা মাহিদলকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী করে মনোনয়নপত্র জমা দেয়। যাতে তিনি আসন্ন নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে লড়াই করতে পারেন। তবে থাই রাজা মাহা ভাজিরালংকর্ণ তার বড় বোনের প্রার্থিতার বিরোধিতা করেন। পরে তিনি পদক্ষেপটির কঠোর সমালোচনা করেন এবং তা অসাংবিধানিক বলে অভিহিত করেন। এক বিবৃতিতে থাই রক্ষা চার্ট রাজার হস্তক্ষেপের পর তার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেয়। বিবৃতিতে দলের প্রতি রাজকুমারী উবলরত্মার সহানুভূতির জন্য তার প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। উবলরত্মার সংক্ষিপ্ত রাজনৈতিক কর্মকান্ড থাইল্যান্ডবাসীর মধ্যে আলোড়ন তুলেছিল। তিনি নির্বাসিত ধনকুবের ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার দলীয় জোটের প্রতিনিধিত্ব করতেন। সিনাওয়াত্রার বিপুল জনপ্রিয়তা ও উবলরত্মার রাজকীয় সম্মান তাকে সামনের দিকে অগ্রসর হতে সহায়তা করছিল। ধারণা করা হচ্ছিল তিনি থাইল্যান্ডের এক দশকেরও বেশি সময়ের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সৃষ্ট বিভেদমূলক প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলতে পারবেন। বিশেষ করে থাকসিনের সমর্থক পপুলিস্ট রেড শার্ট এবং রক্ষণশীল ও রাজ পরিবারের প্রতি অনুগত ইয়েলো শার্টের মধ্যে জন্ম নেয়া বিভেদ অবসান হবে। ইয়েলো শার্টের কর্মীরা সামরিক বাহিনীর সমর্থক। ঐতিহ্যগতভাবে থাইল্যান্ডের রাজতন্ত্র সবচেয়ে সম্মানিত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি। সঙ্কটের মুহূর্ত ছাড়া এটি কোন প্রকার রাজনৈতিক মঞ্চে আবির্ভূত হয় না। তাই যখন উবলরত্মার প্রার্থিতা ঘোষণা করা হয় তখন বিশ্লেষকরা মনে করেছিলেন, এতে তার ভাইয়ের মৌন সম্মতি ছিল। দুই ভাইবোনকে একেবারে খুব ঘনিষ্ঠ বলে মনে করা হয়। ১৯৭০এর দশকে যখন রাজকুমারি একজন আমেরিকানকে বিয়ে করেন তখন তাকে জোর করে রাজ পদবি প্রত্যাহার করতে বাধ্য করার হয়।
×