ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সিরিয়ায় আটক বিদেশী জঙ্গীদের ইরাকের কাছে হস্তান্তর

প্রকাশিত: ০৮:৫৪, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

  সিরিয়ায় আটক বিদেশী জঙ্গীদের ইরাকের  কাছে হস্তান্তর

সিরিয়ায় আটক বিদেশী জিহাদীদের সংশ্লিষ্ট নিজ দেশ তাদের গ্রহণ করতে ইচ্ছুক নয় এবং সিরিয়ায় তাদের বিচারের সম্মুখীন করা কোন বিকল্প নয়। এখন এ জিহাদীদের সীমান্তের ওপারে ইরাকে কঠোর বিচারের সম্মুখীন করা হতে পারে। খবর এএফপির। দুটি দেশই বেশ কয়েক বছর ধরে ইসলামিক স্টেট (আইএস) গ্রুপের হাতে দুর্ভোগ ভোগ করেছে এবং ইরাকী আদালতগুলো দেশে আটক শত শত বিদেশী জঙ্গীকে কঠোর শাস্তি দিয়েছে। কখনও কখনও তাদের দ্রুত বিচার করা হয়েছে। আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আন্তর্জাতিক জোটের নেতৃত্বদানকারী মার্কিন সামকি বাহিনী অতীতে সিরিয়ায় আটক ওই জিহাদীদের ইরাকের কাছে হস্তান্তরের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। আগস্টে বাগদাদের এক আদালতে ৫৮ বছর বয়সের এক ফরাসী নাগরিক লেহসিন গুয়েবুজের বিচারে উপস্থিত ছিলেন এএফপির এক সাংবাদিক। তিনি বলেছেন, গুয়েবুজ আদালতে বলেছে, মার্কিন সৈন্যরা তাকে সিরিয়া থেকে ইরাকে সরিয়ে এনেছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বেলকিস উইলি বলেছেন, তিনি অন্তত পাঁচটি উদাহরণ জানেন যেখানে মার্কিন সৈন্যরা আটক বিদেশী জঙ্গীদের ইরাকের কাউন্টার টেররিজম সার্ভিসের কাছে হস্তান্তর করেছে। এদের মধ্যে অস্ট্রেলীয় ও লেবাননী নাগরিকরাও রয়েছে যাদের কুর্দী-নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোর বাইরে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে অন্তত ১ জনকে ইরাকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছে। ইরাকী বিচার কঠোর করা হয়। এ দেশের আদালতগুলো আইএসের সদস্য হওয়ার অভিযোগে শত শত বিদেশীকে মৃত্যুদন্ড বা যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে এবং এ অভিযুক্তদের মধ্যে প্রায় ১শ’ নারী রয়েছে। সিরিয়া থেকে অন্য যাদের ইরাকে আনা হয়েছে তাদের প্রতি একই আচরণ করা হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয়েছে। উইলি সতর্কতা উচ্চারণ করে বলেন, তারা ইরাকে নির্যাতন ও অন্যায় বিচারের ঝুঁকির সম্মুখীন হবে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ডিসেম্বরে এ যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়ার পর থেকে সিরিয়ায় বিদেশী যোদ্ধাদের ভাগ্য আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
×