ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

লীগ সেরা সাকিব না রুশো?

প্রকাশিত: ১১:৪৫, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

 লীগ সেরা সাকিব না রুশো?

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল টি২০) ষষ্ঠ আসরের শেষের দিন আজ। এদিন ঘোষণা হবে লীগসেরা হচ্ছেন কোন্ ক্রিকেটার। দুইজনই এখন লীগসেরার তালিকায় আছেন। একজন বাংলাদেশ সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। আরেকজন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যান রাইলি রুশো। দুইজনই লীগসেরা হওয়ার দাবিদার। তবে রুশো শুধু ব্যাটিংয়ে নিজের ঝলক দেখিয়েছেন। আর সাকিব বল-ব্যাট হাতে নিজেকে মেলে ধরেছেন। তাই শেষ পর্যন্ত সাকিবের হাতেই লীগসেরার পুরস্কারটি ধরা দিতে পারে। রংপুর রাইডার্সের দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান বিপিএলে এবার দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন। দক্ষিণ আফ্রিকান হয়েও বাংলাদেশের স্লো উইকেটে এতটাই ভাল খেলেন, প্রশংসাও পান। প্রতিটি ম্যাচেই রুশোর কাছ থেকে বড় ইনিংসের দেখা মিলে। রংপুরের হয়ে এবার প্রতিটি ম্যাচ খেলেন রুশো। ১৪ ম্যাচ খেলেন। একটি সেঞ্চুরি করেন। অপরাজিত ১০০ রানের ইনিংস খেলেন। সেই সঙ্গে পাঁচটি হাফ সেঞ্চুরি করেন। ১৪ ম্যাচের মধ্যে আবার একটি ম্যাচে ব্যাটিং করার সুযোগও পাননি। শেষ ৯ ম্যাচের মধ্যেই আবার একটি সেঞ্চুরিসহ মোট পাঁচটি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন রুশো। শেষ পর্যন্ত ৬৯.৭৫ গড়ে ৫৫৮ রান করেন তিনি। আবার ৫টি ম্যাচে অপরাজিতও থাকেন। একের পর এক ঝড়ো ইনিংসের উপহার দেন তিনি। ব্যাটসম্যানদের মধ্যে রান সংগ্রাহক তালিকায় রুশোর ধারে কাছে কোন ব্যাটসম্যান নেই। প্রথম স্থানেই আছেন রুশো। দ্বিতীয় স্থানে থাকা চিটাগং ভাইকিংসের অধিনায়ক মুশফিকুর রহীমও (৪২৬ রান) রুশোর চেয়ে ১৩২ রানে পিছিয়ে। আর এখানেই রুশোর ব্যাটসম্যানদের মধ্যে শীর্ষে থাকা নিশ্চিত হয়ে গেছে। লীগসেরা হওয়ার তালিকায় রুশোর পাল্লাই ভারি। তবে রুশোকে টেক্কা দিতে পারেন একজনই। তিনি ঢাকা ডায়নামাইটস অধিনায়ক সাকিব। বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার বল ও ব্যাট হাতে নৈপুণ্য দেখিয়েই চলেছেন। লীগের শুরুতে একটু ঝিমিয়ে ছিলেন। কিন্তু মাঝপথ থেকে যে সাকিবের ঝলকানি শুরু হয় তা আর থামেই না। চলছে তো চলছেই। বল হাতে এরই মধ্যে ২২ উইকেট শিকার করেছেন। ১৪ ম্যাচে ২২ উইকেট নিয়েছেন। বল হাতে বোলারদের মধ্যে শীর্ষস্থানেই আছেন। আর ১ উইকেট হলেই বিপিএলে এক আসরে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারি বোলার হবেন সাকিব। আজ ফাইনালে এক উইকেট নিলেই হয়ে গেল। বল হাতে এমন ঘূর্ণি জাদু দেখানোর সঙ্গে ব্যাট হাতেও সাকিব নৈপুণ্য দেখিয়েছেন। ঢাকা ডায়নামাইটসের অধিনায়ক ব্যাট হাতে ২টি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। তবে প্রতিটি ম্যাচেই নিজের ছাপ রেখেছেন। আর তাইতো ১৪ ম্যাচের মধ্যে ১৩ ম্যাচে ব্যাটিং করে ২২.৯২ গড়ে ২৯৮ রান করেছেন সাকিব। রুশোর সঙ্গে সাকিবের রানের পার্থক্য ২৬০। তবে রানের সঙ্গে যে উইকেটও মজবুত আছে সাকিবের। আর তাতেই সাকিবের হাতেই লীগসেরার পুরস্কার শোভা পেতে পারে। এবার যদি সাকিব লীগসেরা হন তাহলে তৃতীয়বারের মতো তার হাতে এ পুরস্কার দেখার মিলবে। এর আগে বিপিএলের পাঁচ আসরে সাকিব দুইবার, আসহার জাইদি, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও ক্রিস গেইল একবার করে লীগসেরা হন। খুলনা রয়্যাল বেঙ্গলস ও ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের হয়ে সাকিব লীগসেরা হন। প্রথম দুই আসরেই সাকিবের হাতে এ পুরস্কার যায়। এরপর তৃতীয় আসরে গিয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের পাকিস্তানী ক্রিকেটার আসহার জাইদি লীগসেরার পুরস্কারটি নিজের করে নেন। চতুর্থ আসরে খুলনা টাইটান্সের মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ লীগসেরা হন। পঞ্চম আসরে গিয়ে রংপুর রাইডার্সকে চ্যাম্পিয়ন করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল লীগসেরা হন। এবার কী তাহলে আবার দেশী ক্রিকেটার এবং সাকিবের লীগসেরা হওয়ার পালা? ফাইনালের আগেই এ হিসেব করে নেয়া হয়। আর যেহেতু রুশো ফাইনালে নেই। তাই সাকিবই লীগসেরা হওয়ার দৌড়ে সবার আগে আছেন। দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত সাকিব না আবার চমক জাগিয়ে রুশো লীগসেরা হয়ে যান।
×