জনকণ্ঠ ডেস্ক॥ রাজনৈতিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করার জন্য তিন দিনের সফরে ভারত গেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন। বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন।
৭ জানুয়ারি শপথ নেয়ার পর এটি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম বিদেশ সফর। তিনি দিল্লীতে পঞ্চম যৌথ কনসালটেটিভ কমিশনের বৈঠকে অংশগ্রহণের পাশাপশি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাত করবেন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে তার।
শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠেয় যৌথ কনসালটেটিভ কমিশনের বৈঠকে ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুসমা স্বরাজ। আশা করা হচ্ছে, ওই বৈঠকে তিন থেকে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হতে পারে। এরপর শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) তিনি ঢাকায় ফিরে আসবেন।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে প্রায় সব বিষয়ে আমাদের সহযোগিতা আছে এবং এখন এটি বেশি প্রয়োজন। এগুলোর দ্রæত ও কার্যকর বাস্তবায়ন দরকার।’
এটি দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক পররাষ্ট্রনীতির অন্যতম অগ্রাধিকার বলে তিনি জানান। এছাড়া ভারতে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের পরে প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে সফরের বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে আলোচনা হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না বলে তিনি জানান।
সফরে রোহিঙ্গা ইস্যুটি কেমন গুরুত্ব পাবে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘এটি অত্যন্ত গুরুত্ব পাবে।’
আলোচনার বিষয়বস্তু ॥ দুই মন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সব বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে, তবে প্রাধান্য পাবে রাজনৈতিক সম্পর্কোন্নয়ন, বাণিজ্য, বিদ্যুত ও জ্বালানি, নিরাপত্তা সহযোগিতা, কানেক্টিভিটি, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, সামরিক সহযোগিতা, নৌ-পরিবহন ও মানুষে মানুষে যোগাযোগ ইত্যাদি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন,‘বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে প্রয়োজনীয় সব মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা রয়েছেন মন্ত্রীকে আলোচনায় সহযোগিতার জন্য।’
সমঝোতা স্মারক ॥ দুই দেশের সরকার তিনটি ভিন্ন বিষয়ে সমঝোতা স্মারক চূড়ান্ত করেছে এবং আশা করা হচ্ছে এগুলো এই সফরের সময়ে স্বাক্ষর হবে।
দুর্নীতি দমন কমিশন ও ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও প্রসার ভারতী এবং দুই দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারকগুলো স্বাক্ষর হবে।
একজন কর্মকর্তা বলেন, এছাড়া আরও দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হতে পারে।
প্রসঙ্গত দুই দেশের মধ্যে চতুর্থ যৌথ কনসালটেটিভ কমিশনের বৈঠক ২০১৭ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল।