স্টাফ রিপোর্টার ॥ একুশে পদকের জন্য মনোনীতদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের নাম ঘোষণা করা হয়। স্ব স্ব ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ২১ বিশিষ্ট ব্যক্তি এ পুরস্কার পাচ্ছেন।
ভাষা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য মোট তিনজনকে পুরস্কৃত করা হচ্ছে। মরণোত্তর পদক পাচ্ছেন অধ্যাপক হালিমা খাতুন। একই ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য পদক পাচ্ছেন অধ্যাপক মনোয়ারা ইসলাম। এ বিভাগের অন্যজন গোলাম আরিফ টিপু, যিনি যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলিও। মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতি পাচ্ছেন ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র বৈশ্য। ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন ৬ জন। তাদের মধ্যে রয়েছেনÑ রিজিয়া রহমান, ইমদাদুল হক মিলন, অসীম সাহা, আনোয়ারা সৈয়দ হক, মইনুল আহসান সাবের ও হরিশংকর জলদাস।
গবেষণায় পদক পাচ্ছেন ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ ও মাহবুবুল হক। ড. প্রণব কুমার বড়ুয়া পাচ্ছেন শিক্ষায়।
দীর্ঘদিন ধরে মঞ্চ ও টেলিভিশনে অভিনয়ের স্বীকৃতি পাচ্ছেন লাকী ইনাম। অত্যন্ত জনপ্রিয় ও সুঅভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফাও একুশে পদক পাচ্ছেন এবার। বাংলা একাডেমির দায়িত্বে থাকা লিয়াকত আলী লাকীও মনোনীত হয়েছেন পদকের জন্য।
সঙ্গীতে একুশে পদক পাচ্ছেন তিন শিল্পী। মরণোত্তর পদক পাচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধা পপশিল্পী আজম খান। অন্য দু’জন হলেন জনপ্রিয় আধুনিক গানের শিল্পী সুবীর নন্দী ও নজরুল সঙ্গীত শিল্পী খায়রুল আনাম শাকিল।
আলোকচিত্র বিভাগে পদক পাচ্ছেন দেশের প্রথম নারী আলোকচিত্রী সাইদা খানম। চারুকলায় একুশে পদক পাচ্ছেন জামাল উদ্দিন আহমেদ।
আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মনোনীতদের হাতে পদক তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রত্যেককে ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, এককালীন দুই লাখ টাকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেয়া হবে।
ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে সরকার ১৯৭৬ সাল থেকে প্রতিবছর এ পদক দিয়ে আসছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে পদক প্রদান করা হয়।
