ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কর্মশালায় সিইসি

উপজেলা নির্বাচনে অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা

প্রকাশিত: ১০:৫১, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

উপজেলা নির্বাচনে অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে সব ধরনের অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা। অনিয়মের সঙ্গে কোন ধরনের আপোস না করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, উপজেলায় কোন রকম অনিয়ম হলে নির্বাচন বন্ধ করে দেয়া হবে। একই সঙ্গে তিনি উপজেলায় নির্বাচন ঘিরে কোন ধরনের সহিংসতা যাতে না ঘটে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। বুধবার নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে উপজেলায় নির্বাচনের রিটার্নিং এবং সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। বলেন, যদি কোন রিটার্নিং কর্মকর্তা মনে করেন, তার সম্পূর্ণ উপজেলায় নির্বাচন করার পরিবেশ নেই। তবে সেটা বন্ধ করে দেয়ার সুপারিশ করবেন। কমিশন সেটা বন্ধ করে দিতে পারবে। আমরা সে অবস্থানে থাকতে চাই। যদি কখনও কোন জায়গায় কোন প্রার্থী, দল বা কেউ অতিরিক্ত নিষ্প্রয়োজনীয় আইন ব্যত্যয়কারী ঘটনা সৃষ্টি করে বা নির্বাচন রিটার্নিং অফিসারের নিয়ন্ত্রণের বহির্ভূত হয়ে যাবে এমন কিছু হলে পুরো উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বন্ধ হবে। কিন্তু নির্বাচনে কোন রকম অনিয়মের সঙ্গে আপোস করা যাবে না উল্লেখ করেন। আগামী ১০ মার্চ উপজেলায় প্রথম ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম দফায় ৮৭ উপজেলায় ভোটগ্রহণ করা হবে। প্রার্থীরা আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারবেন। এ নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা রিটার্নিং এবং সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন। তাদের উদ্দেশে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ভোটাররা তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন। ভোটার যাকে যোগ্য মনে করবেন তিনিই হবেন তাদের নির্বাচিত প্রার্থী। নির্বাচনে ভোটার এবং যারা এজেন্ট থাকবেন তাদেরও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ভোটারদের কোথাও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ পেলে সেটা খতিয়ে দেখতে হবে। অভিযোগ আসে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো হয়। ভোট দিতে আসতে দেয়া হয় না। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বুঝিয়ে বলতে হবে। যেসব জায়গায় ভয়ভীতি দেখানো হয় বা হতে পারে, সেগুলোকে ভালভাবে নজরদারিতে রাখতে হবে। মানুষ ভোট দেবে। ভোটারের পছন্দের প্রার্থী বিজয়ী হবে। প্রার্থী কোন দলের, কোন ধর্মের, কোন বর্ণের, সেটা দেখার দায়িত্ব আমাদের নয়। অনেকে বলেন, নির্বাচনের প্রার্থী মেট্রিকের নিচে, দেখতে ভাল না। এটা তো কোন কথা না। ভোটার যাকে যোগ্য মনে না করবে, তিনিই হবেন তাদের নির্বাচিত প্রার্থী। তিনি বলেন, এজেন্টদের নিয়ে সবসময় আপনাদের বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। নির্বাচনে প্রার্থীরা যাতে ভোট কেন্দ্রে এজেন্ট দেন সেজন্য তাদেরকে উৎসাহিত করবেন। কারণ একটি নির্বাচনে এজেন্টরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজেন্টরা যাতে নিরাপদে নির্ভয়ে থাকতে পারে এটা দেখবেন উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, পোলিং এজেন্টদের বিষয়ে অনেক অভিযোগ আসে তাদেরকে কেন্দ্রে যেতে দেয়া হয় না। প্রার্থীরা যদি এজেন্ট না দেয় তাহলে কেন্দ্রে এজেন্ট কিভাবে যাবে। অতীতে এ ধরনের অনেক অভিযোগ পাওয়া গেছে। যার অনেকগুলো সঠিক নয়। কিন্তু আপনাদের নিশ্চয়তা দিতে হবে নির্ভয়ে যেন তারা কেন্দ্রে যেতে পারেন। এটা আপনাদের জন্য সুবিধা। নির্বাচন পরিচালনায় এজেন্ট অত্যন্ত জরুরী। কারণ কোন অনিয়ম হলে তাহলে তিনি দেখতে পারবেন। কর্মকর্তাদের উদ্দেশে আর বলেন, নির্বাচনের আগে-পরে ও ভোটের দিন যাতে কোন সহিংসতার ঘটনা না ঘটে সেদিকেও সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। অনুষ্ঠানের বক্তৃতায় ইসি মাহবুব তালুকদার বলেন, জাতীয় নির্বাচনের পর উপজেলায় নির্বাচন সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। কমিশন কোন প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন করতে চায় না। উপজেলা নির্বাচন যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয় কর্মকর্তাদের সে দিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মোঃ রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও শাহাদাত হোসেন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
×