ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ভেকিচকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন বার্টেন্স

প্রকাশিত: ১১:৪৩, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

ভেকিচকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন বার্টেন্স

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ পারলেন না ডোনা ভেকিচ। তরুণ প্রতিভাবান এই খেলোয়াড়কে পরাজিত করে সেন্ট পিটার্সবার্গ ওপেনের চ্যাম্পিয়ন হলেন কিকি বার্টেন্স। রবিবার শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে হল্যান্ডের এই তারকা খেলোয়াড় ৭-৬ (২) এবং ৬-৪ গেমে ডোনা ভেকিচকে হারিয়ে ক্যারিয়ারের অষ্টম টুর্নামেন্টের ফাইনাল জিতলেন। সেইসঙ্গে ২০১৯ সালের প্রথম শিরোপা উঁচিয়ে ধরলেন ডাচ তারকা। ২৭ বছর বয়সী কিকি বার্টেন্স গত মৌসুমে টেনিস কোর্টে আলো ছড়িয়েছেন। বড় কোন শিরোপা নিজের নামের পাশে যোগ করতে না পারলেও বিশ্ব টেনিসে নিজের শক্ত একটা অবস্থান তৈরি করেছেন তিনি। নতুন মৌসুমের শুরুতেই সেন্ট পিটার্সবার্গ ওপেনের শিরোপা জেতাটা ঠিক সেটারই বহিঃপ্রকাশ। কেননা, এই টুর্নামেন্টে বিশ্ব টেনিসের বড় বড় তারকারাও খেলেছেন। মারিয়া শারাপোভা-পেত্রা কেভিতোভারাও অংশ নিয়েছেন সেন্ট পিটার্সবার্গে। কিন্তু সবার শেষে শিরোপার হাসিটা কিকি বার্টেন্সই হাসলেন। নতুন মৌসুমের প্রথম শিরোপা জয়ের উচ্ছ্বাসটাও তাই বেড়ে গেছে তার বহুগুণে। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরই নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে কিকি বার্টেন্স বলেন, ‘শিরোপা উঁচিয়ে ধরতে পারার আনন্দটা অসাধারণ। আমার জন্য এই সপ্তাহটা সত্যিই অনেক কঠিন ছিল। যদিওবা একজন খেলোয়াড়ের জন্য প্রতিটি সপ্তাহই কঠিন। কিন্তু আমি মনে করি এই সপ্তাহের পুরোটা সময়ই কোর্টে অসাধারণ পারফর্ম করেছি। ফাইনালের শুরুটা হয়তো ভাল করতে পারিনি। তবে ম্যাচে ফিরতে পেরেছি ঠিকই। এজন্য আমি গর্বিত।’ প্রতিপক্ষকে হারাতে তার এদিন সময় লাগে ১ ঘণ্টা ৪৩ মিনিট। তবে ম্যাচের শেষে ডাচ তারকা তার কোচ রাইমন সুইটারের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার কোচ আমাকে সঠিকভাবেই খেলছি বলে অনুপ্রাণিত করেন। তিনি আমাকে পারফর্মেন্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখারও পরামর্শ দেন। আমি ঠিক সেই কাজটাই করেছি।’ এই মুহূর্তে ক্যারিয়ার সেরা র‌্যাঙ্কিংয়ের আট নম্বরে অবস্থান করা বার্টেন্স আরও বলেন, ‘কোর্টে এক পর্যায়ে আমি খুব চাপের মধ্যে পড়ে গিয়েছিলাম। টেনিস খেলাটাকে মোটেও উপভোগ করতে পারছিলাম না। এমনকি এক সময় টেনিসকে বিদায় বলে দিতেও চেয়েছিলাম। কিন্তু সেখান থেকেই ফিরে আসি আমি। ২০১৮ সালে নতুন লক্ষ্য ঠিক করি। এবং সে বছরটাই আমার জীবনের সেরা বছরে পরিণত হয়। এই মুহূর্তে টেনিসের পাশাপাশি আমার জীবনটাকেও দারুণ উপভোগ করছি। এই মুহূর্তে আমি সত্যিই সুখী মানুষ।’ এদিকে ফাইনালে হেরে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই হতাশ ডোনা ভেকিচ। তবে এখানে করা ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়েই সামনের দিকে এগিয়ে চলতে চান প্রতিভাবান এই খেলোয়াড়।
×