ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

প্রতিশোধের জয় রিয়ালের, হার এ্যাটলেটিকোর

প্রকাশিত: ১১:৩৭, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

প্রতিশোধের জয় রিয়ালের, হার এ্যাটলেটিকোর

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাজে সময় পার করে হ্যাটট্রিক ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ ঘুরে দাঁড়িয়েছে স্প্যানিশ লা লিগায়। রবিবার রাতে ঘরের মাঠ সান্টিয়াগো বার্নাব্যুতে অতিথি আলাভেসকে ৩-০ গোলে হারিয়ে আরেকটি দারুণ জয় পেছে কোচ সান্টিয়াগো সোলারির দল। এটি লা লিগায় টানা চতুর্থ জয় রিয়ালের। এই জয়ে টেবিলের শীর্ষে থাকা দুই দল বার্সিলোনা ও এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের থেকে পয়েন্টের ব্যবধানও কমিয়ে এনেছে গ্যালাক্টিকোরা। ২২টি করে ম্যাচ শেষে এই প্রথম কোন সপ্তাহে তিন শীর্ষ ক্লাবের মধ্যে শুধুমাত্র মাদ্রিদই জয়ের ধারা ধরে রেখেছে। এরপরও ৫০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে বার্সিলোনা। অন্যদিকে ৪৪ ও ৪২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছে যথাক্রমে দুই নগর প্রতিদ্বন্দ্বী এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ও রিয়াল মাদ্রিদ। এর আগে এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ১-০ গোলে রিয়াল বেটিসের কাছে হেরে যায়। এর ফলে সুবিধা হয় বার্সিলোনা ও রিয়ালের। রবিবার বার্সিলোনা ভ্যালেন্সিয়ার সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করার পর এ্যাটলেটিকোও হেরে যাওয়ায় ব্যবধান কমানোর সুযোগ আসে বেনজেমা, বেলদের সামনে। সুযোগটি ভালমতোই কাজে লাগিয়েছেন তিন গোল করা করিম বেনজেমা, ভিনসিয়াস জুনিয়র ও বদলি খেলোয়াড় মারিয়ানো ডিয়াজ। গত অক্টোবরে মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোতে বার্সার কাছে ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার পর তখনকার কোচ জুলেন লোপেটেগুইয়ের বিদায় নিশ্চিত হয়েছিল। কিন্তু আলাভেসের কাছে ওই মাসেই ১-০ গোলের পরাজয় রিয়ালের ব্যর্থতার ষোলকলা পূর্ণ করেছিল। ৮৭ বছরে রিয়ালের বিপক্ষে আলাভেসের যা ছিল প্রথম জয়। সেই হারের মধুর প্রতিশোধ নিলো রিয়াল। পুরো ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করে খেলা রিয়াল এগিয়ে যায় ৩০ মিনিটে। বামপ্রান্ত থেকে সার্জিও রেগুলিয়নের ক্রসে গোল করেন বেনজেমা। গত চার ম্যাচে এ নিয়ে ছয় গোল করেছেন ফরাসী ফরোয়ার্ড। সব মিলিয়ে এবারের মৌসুমে বেনজেমার গোলসংখ্যা এখন পর্যন্ত ১৭। ২০১৬ সালের পর এটি তার সেরা পারফর্মেন্স। লা লিগা খেলোয়াড় হিসেবে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় তার থেকে শুধুমাত্র বেশি গোল করেছেন বার্ষিলোনা অধিনায়ক লিওনেল মেসি। এক গোলে পিছিয়ে থেকে আলাভেসে বেশ কয়েকটি আক্রমণ চালালেও রিয়াল তাদের কোন সুযোগ দেয়নি। টমাস পিনার শট পোস্টের ধারে কাছেও ছিল না। জনি রড্রিগুয়েজের প্রচেষ্টা দারুণভাবে রুখে দেন রিয়াল গোলরক্ষক থিবাট কোর্তোয়া। ৮০ মিনিটে মার্কো আসেনসিও’র পাস থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ভিনসিয়াস। ইনজুরি টাইমে (৯১ মিনিট) ইস্কোর ক্রস থেকে ডিয়াজের ডাইভিং হেডে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নেয় রিয়াল। গ্যারেথ বেল ও ভিনসিয়াসকে সঙ্গে নিয়ে সম্প্রতি রিয়ালের আক্রমণভাগের নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন বেনজেমা। তবে বেলকে ছাপিয়ে তরুণ ভিনসিয়াসকেই ফরাসী তারকার বিপজ্জনক পার্টনার হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। বেনজেমা ও বেলকে যখন বদলি বেঞ্চে পাঠানো হয় তখন সমর্থকদের মধ্যে যে ধরনের উত্তেজনা লক্ষ্য করা গেছে তার বিপরীত চিত্র ছিল ৬৩ মিনিটে বেলের পরিবর্তে মার্কো এ্যাসেনসিও যখন মাঠে নামেন। এ প্রসঙ্গে রিয়াল কোচ সান্টিয়াগো সোলারি বলেন, এটা সত্যিই কঠিন। আলাভেস দারুণভাবে আমাদের ডিফেন্স করেছে। গোল করার জন্য খুব বেশি জায়গা তারা আমাদের দেয়নি। তিনি আরও বলেন, শেষ পর্যন্ত আমরা সবকিছুর জন্য লড়াই চালিয়ে যাব। পয়েন্টের ব্যবধান কমানোর সত্যিকারের ক্ষুধা আমাদের মধ্যে ছিল। তাতে আমরা সফলও হয়েছি। আগামী সপ্তাহে সিটি ডার্বিতে জিততে পারলে রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়িয়ে যাবে এ্যাটলেটিকোকে। এর আগে বুধবার কোপা ডেল রে ক্লাসিকোতে মুখোমুখি হচ্ছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সা-রিয়াল।
×