ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভিক্ষু থেকে মডেল

প্রকাশিত: ১১:০০, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

ভিক্ষু থেকে মডেল

তেনজিন মারিকো ও তার পাঁচ ভাইকে নিয়ে নব্বইয়ের দশকে তিব্বত ছেড়ে ভারতে চলে আসেন তেনজিনের বাবা-মা। ভারতে এসে হিমাচল প্রদেশের বীর এলাকায় পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেন তারা। ছেলে হয়ে জন্মালেও ছোটবেলা থেকেই তেনজিনের আচার আচরণে মেয়েলি ভাব ছিল। মেয়েদের জিনিসেই বেশি আকৃষ্ট হতো সে। স্বভাবের পরিবর্তনের জন্য মাত্র নয় বছর বয়সে তাকে ভিক্ষু হওয়ার জন্য পাঠিয়ে দেয়া হয় বৌদ্ধ মঠে। ভিক্ষু জীবনে ইতি টেনে বর্তমানে তিনি একজন মডেল হিসাবে প্রতিষ্ঠিত। তিনিই প্রথম তিব্বতি রূপান্তরকামী যিনি মডেল হিসাবে নিজেকে তুলে ধরলেন। তবে তিব্বতের মতো ছোট সম্প্রদায় থেকে এই কাজ করা মোটেই সহজ ছিল না তেনজিনের পক্ষে। এক সংবাদমাধ্যমকে তেনজিন জানান, একদিন সকালে উঠে আমি ভাবলাম রূপান্তরকামী হব, আর হয়ে গেলাম ব্যাপারটা মোটেই সে রকম ছিল না। আর্থিক ও সামাজিক বিভিন্ন বাধা পার করে আমি আজ এখানে। ২০১৪ সালে নিজেকে রূপান্তর করার প্রক্রিয়া শুরু করেন তিনি। সে সময় মেয়েদের পোশাক পরে তার নাচের ভিডি সম্পন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। তারপরই মঠের ভিক্ষু জীবন ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ২০১৫ সালে রূপান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে শল্য চিকিৎসার সাহায্য নেন তিনি। পরিপূর্ণ মডেল হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচুর মানুষ ফলো করছেন তাকে। ভারত ও তিব্বতের মানুষের কাছে তো বটেই, প্রচুর রূপান্তরকামীর কাছে তেনজিন মারিকো হয়ে উঠেছেন নতুন উদাহরণ।-জিনিউজ অনলাইন
×