ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

যৌন হয়রানি

ইটিভির চীফ রিপোর্টার দুই দিনের রিমান্ডে

প্রকাশিত: ১০:৫৮, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

ইটিভির চীফ রিপোর্টার দুই দিনের রিমান্ডে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নারী সহকর্মীকে যৌন হয়রানির অভিযোগের মামলায় গ্রেফতারকৃত বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেল একুশে টিভির (ইটিভি) চীফ রিপোর্টার এম এম সেকান্দারকে (৩৪) দু’দিনের রিমান্ড নিয়েছে পুলিশ। এর আগে রবিবার রাত আড়াইটার দিকে র‌্যাব-২-এর একটি দল বনশ্রীর বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। অভিযোগকারী নারী সহকর্মী তার চীফ রিপোর্টার সেকেন্দারের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ১০ ধারায় মামলা করেন। কোর্ট রিপোর্টার জানান, সোমবার সকালে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হাতিরঝিল থানার এসআই মবিন আহমেদ ভূঁইয়া আসামি সেকান্দারকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। পরে আসামি পক্ষের আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার, তুহিন হাওলাদারসহ কয়েকজন আইনজীবী জামিন চেয়ে শুনানি করেন। শুনানিতে তারা বলেন, শুধু হয়রানি করতে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। আসামি অভিযোগকারীর শ্লীলতাহানি করেছে এ ধরনের কোন বক্তব্য মামলার এজাহারে উল্লেখ নেই। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার দু’দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। এজাহারে ওই নারী সাংবাদিক বলেন, আসামি সেকান্দার দীর্ঘদিন ধরে তাকে কুরুচিপূর্ণ ইঙ্গিত করে আসছিলেন। গত ২৭ জানুয়ারি একটি ফাস্টফুডের দোকানে ডেকে তাকে জাপটে ধরে শরীরে হাত দিয়ে যৌন হয়রানি ও শ্লীলতাহানি করেন। এ বিষয়ে কাউকে কিছু বললে মেরে বস্তায় ভরে লাশ হাতিরঝিলে ফেলে দেবে বলেও হুমকি দেন। পরদিন একুশে টিভির এমডিকে বিষয়টি বাদিনী লিখিতভাবে জানানোর পরও আসামি প্রতিক্রিয়া দেখান। সেকান্দার বাদিনীকে রুমে ডেকে কুরুচিপূর্ণ ও বাজে মন্তব্য করেন। এদিকে এ বিষয়ে ইটিভি’র চীফ রিপোর্টার এম এম সেকান্দারের স্ত্রী নিলুফার ইয়াসমীন সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেছেন তার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, রবিবার রাত আড়াইটার দিকে র‌্যাব-২-এর একটি দল এম এম সেকান্দারকে বনশ্রীর বাসা থেকে গ্রেফতার করে। এরপর সোমবার সকালে তাকে হাতিরঝিল থানায় সোপর্দ করা হয়। হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু মোহাম্মদ ফজলুল করীম বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারায় ভুক্তভোগী নারী মামলাটি করেছেন। মামলায় এম এম সেকান্দারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও উত্ত্যক্তের অভিযোগ এনেছেন ওই তরুণী। মামলা করার আগে এই নারী সাংবাদিক ইটিভি কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। ২৮ জানুয়ারি চ্যানেলটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর এম এম সেকান্দারের বিরুদ্ধে তিন পৃষ্ঠার লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন তিনি। তাতে হয়রানির পুরো ঘটনা ব্যাখ্যা করা হয়েছে। ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ, একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে রিপোর্টিং কোর্স করার সময় সেকান্দারের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। সেখানে প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করতেন তিনি। তার মাধ্যমেই তিনি ইটিভিতে চাকরি পান। চাকরি পাওয়ার পর থেকেই সেকান্দার তাকে বিভিন্ন সময় যৌন হয়রানি করেছেন। কোন কারণ ছাড়াই তাকে অনেক রাত পর্যন্ত অফিসে বসিয়ে রাখতেন।
×