ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মারুফ রায়হান

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৯:২৮, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

ঢাকার দিনরাত

ঢাকা বৈশাখী-দশা থেকে মুক্ত হয়ে চব্বিশ থেকে আটচল্লিশ ঘণ্টার জন্য হাল্কা শীত ঋতুতে প্রবেশ করেছিল, আর তাতেই নতুন করে বহু ঢাকাবাসী সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হন। তবে শুধু শীতকে দোষ দিলে ঠিক হবে না, ঢাকায় ধুলা বেড়ে গেছে ভীষণভাবে। শুধু কি ধুলা? ধুলার ভেতরে রয়েছে আরও বহু ক্ষতিকর বস্তুকণা। মানুষ কষ্ট পাচ্ছে তাতে। প্রথম দিন থেকেই বইমেলা জমজমাট বাতাসে ধুলা ও স্টল নির্মাণ সামগ্রীর বিচিত্র সূক্ষ্মকণা এবং নিচে খানাখন্দে ভরা অসমান চলার পথের বিড়ম্বনা আর ঝুঁকি নিয়ে আমরা যারা প্রথম দিনই বইমেলায় যাই, তারা আসলে কী চাই? প্রথমত আমরা সদ্য জন্মগ্রহণকারী বইকেই ভালবাসা জানাতে চাই, চাই বইয়ের মুখদর্শন, স্পর্শসুখ ও আশ্চর্য সুঘ্রাণ। সেই সঙ্গে যাঁরা বইয়ের জনক, লেখক-সাহিত্যিক তাঁদের এক ঝলক চোখের দেখা পাওয়ার বাসনাও থাকে নেপথ্যে। মাসব্যাপী এমন অনন্য মেলায় বইয়ের টানে আসেন সব ক’টি জেলা শহরের মানুষ, এমনকি প্রবাসে বসবাসকারী বাঙালীজনও। অথচ ঢাকায় থেকেও লাখ লাখ সক্ষম (শারীরিক-অর্থনৈতিক বিচারে) ‘শিক্ষিত’ মানুষ বইমেলায় আসেন না, তাঁরা কি বই পড়েন না? তাঁরা কি সব সুখী জড়প্রাণ! অবশ্য অনলাইনে বই সংগ্রহের সুবিধা আছে বর্তমানে। যাঁরা অনলাইনে বই কেনেন, বইমেলা থেকে কেনন নাÑ তাদের কথা বলছি না। বাকিদের আমি নতুন নাম দিতে চাইÑ জ্ঞানপ্রতিবন্ধী। জ্ঞানের তৃষ্ণা তাঁদের নেই, জ্ঞান তাঁরা এড়িয়ে চলেন বা বলতে পারি, জ্ঞানের সান্নিধ্যে তাঁরা অস্বস্তি বোধ করেন। যাক সে কথা। এবার মেলা খানিকটা ইতিবাচক বাঁক নিয়েছে। মেলায় জায়গা বেড়েছে এবং বিজ্ঞানসম্মতভাবে স্টল বিন্যাসের ফলে মেলা সারি সারি বইয়ের দোকান হয়ে ওঠেনি। তাই আশা করছি বইয়ের পাঠক-ক্রেতা কিছুটা স্বস্তিভরে মেলার বইগুলোর সংস্পর্শে আসতে পারবেন; বই বেছে নেয়ার অবকাশ পাবেন। বইমেলার সময়ে গণমাধ্যম উদার ভূমিকা পালন করে থাকে, বাছবিচারহীন বইয়ের প্রচার দেয়। কিন্তু মানসম্পন্ন ও প্রয়োজনীয় বই কোন্গুলো, সে ব্যাপারে পাঠক থাকেন অন্ধকারে। আমরা একুশের সঙ্কলনের পক্ষ থেকে প্রতিবছর বইমেলায় প্রকাশিত হাজার হাজার বই থেকে ৫০টি বই নির্বাচন করে তার পরিচিতিমূলক রঙিন পুস্তিকা ছাপিয়ে মেলায় বিনামূল্যে বিতরণ করি (বাংলামাটি ওয়েবসাইটেও দেয়া হয়।) পাঠক অংশত হলেও বইয়ের ক্রয়নির্দেশিকা হিসেবে এটিকে ইতোমধ্যে গ্রহণ করেছেন। মেলার উত্তরদিকে স্বাধীনতাস্তম্ভ ও একটি জলাশয় রয়েছে। এবারই প্রথম বইমেলার সঙ্গে এগুলোর সংযোগ তৈরির প্রয়াস লক্ষ্য করলাম। মেলায় দর্শনার্থীরা সেই জলাশয়ের পাশে বসতেও পারছেন। সুপরিসর উদ্যানে শত শত স্টলে ঘুরতে ঘুরতে পদযুগল নিশ্চয়ই বিশ্রামের অবকাশ খোঁজে। একুশের বইমেলা নিয়ে শিক্ষিত-শিক্ষাবঞ্চিত সবার ভেতরেই বিশেষ আবেগ কাজ করে। বই হলো জ্ঞান ও আনন্দের ভা-ার, তাই বইমেলার আয়োজন সর্বাঙ্গীণ সুন্দর হোক, তার প্রচেষ্টা থাকে সব পক্ষেরই। এ কথা আমাদের বার বার বলতে হবে যে, বই হলো অনন্য পণ্য, যা নিবেদিত হয় মহাকালের উদ্দেশে। তাই কালের মহার্ঘ্য হতে হলে তাকে হতে হয় যোগ্য, সম্পূর্ণ বা পূর্ণাঙ্গ এবং সূচাররূপে প্রকাশিত। সে কারণেই পা-ুলিপি উত্তমরূপে সম্পাদনা ও গ্রন্থ মুদ্রণপ্রমাদমুক্ত হওয়া বাঞ্ছনীয়। কিন্তু কয়জন গ্রন্থ উৎপাদক বা প্রকাশক এই শর্তগুলো পূরণ করেন? লেখকও কি সব সময় তাঁর পা-ুলিপির ওপর সুবিচার করেন? লেখক-স্থপতি এনামুল করিম নির্ঝরকে আমন্ত্রণ জানানো হয় বইমেলার বিন্যাসের পরিকল্পনা করার জন্য। তিনি যে চেষ্টা করেছেন, তাতে সন্দেহ নেই। বললেন, ‘স্থানীয় উপকরণ- বিশেষ করে বাঁশ ব্যবহার করার চেষ্টা করেছি। গেটগুলো নান্দনিকভাবে তৈরি করার চেষ্টা করেছি। লোগো করে দিয়েছি। এটি সবসময় গোল-প্যাঁচানো হাতের লেখায় হতো। আমরা এবার একটু অন্য রকমভাবে করার চেষ্টা করেছি। ১৯৫২ সালে ছাপার কাজে যে হরফ ব্যবহার করা হতো তা ব্যবহার করেছি।’ তার পরও অনেকটাই করা সম্ভব হয়নি তার পক্ষে। ফেসবুক পোস্টে তারই প্রতিক্রিয়া দেখলাম। লিখেছেন : ‘আজ সকালে গিয়ে বুঝলাম আসলে কিছুই হয়নি। বিষয়টা সোজা বা কঠিন, সেই মন্তব্য করব না। সমস্যা মানসিকতার বা মানসিক যোগাযোগের। পরিকল্পনায় আকাশ ছুঁতে পারি, কিন্তু বাস্তবায়ন? অনেক যুক্তি, আবেগ দিয়ে আজও বোঝানোর চেষ্টা চলল। সরল ও বক্ররেখার প্রভাব কি? কারা আসে বইমেলায়, তাদের জন্য বিবেচনাবোধ কতটা জরুরি। মেলা শুরু কেবল। নিয়মিত নজরদারি কারা, কেন করবে। মাটিতে ইট বিছানো, দিকনির্দেশিকা, ডাস্টবিন, বসার ব্যবস্থা... শেষ করার সময়ও বেঁধে দেয়া হলো। দেখা যাক কি হয়। কিন্তু পাবলিক। স্বাধীনতা স্তম্ভের কোলজুড়ে যে জলাধার। আজ দেখি সেখানে ধোয়া-মোছার কাজ চলছে। বাহ্। কাল আবার গোসলে না নেমে যায়!’ কবিতা উৎসব ভাষার মাস ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন অমর একুশে গ্রন্থমেলা শুরু হয়, সেটি অনেকেই জানি। তবে ওই দিনই যে দু’দিনব্যাপী কবিতা উৎসব শুরু হয়, সেটি অনেকেই ভুলে যান। আমি ভুলি না। যত কষ্টই হোক, কিংবা থাকুক ভিন্নতর ব্যস্ততা, ওই দুটি ইভেন্ট মিস করি না। ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন সন্ধ্যায় প্রথমে গিয়েছিলাম ঢাবি চত্বরে জাতীয় কবিতা উৎসবে। ফাঁকা একটি জায়গায় চুপচাপ বসে কবিতা শুনেছি। বিষয়টি নজর এড়ায়নি জাতীয় কবিতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কবি তারিক সুজাতের। এগিয়ে এসে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন, মঞ্চে গিয়ে আসন গ্রহণ করার আহ্বান জানালেন। বড় ভাল লাগল এই প্রীতিময় আন্তরিকতা। ভেবেছিলাম অনেক কবিরই দেখা পাব, এ রকম বর্ণাঢ্য আয়োজনে দেখা সাক্ষাত হবে। ব্যস্ততা রয়েছে সবারই। একটু দমে গেলাম বেশি কবির সঙ্গে দেখা না হওয়ায়। এমনকি মঞ্চে আমন্ত্রণ জানানো হলো যেসব পূর্বনির্ধারিত কবিদের, তাদেরও অর্ধেক অংশ অনুপস্থিত থাকলেন। এমনকি দু’দুজন নির্ধারিত সভাপতিও অনুপস্থিত রইলেন। এরা দুজনেই বয়োজ্যেষ্ঠ কবি। নিশ্চয়ই তাদের সম্মতিতেই সভাপতিত্বের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল তাঁদের। যা হোক, তেত্রিশ বছর আগে ফিরে গিয়েছিলাম চট করে। তখন অবশ্য টিএসসির সড়কদ্বীপে হতো কবিতা উৎসব। সব বিশিষ্ট কবিরাই আসতেন, শুধু আসতেন না স্বৈরাচারী সরকার প্রধান এরশাদের সঙ্গে এশীয় কবিতা উৎসবে যোগদানকারী কবিবৃন্দ। তাঁরা নিষিদ্ধ ছিলেন। মঞ্চ আলোকিত করে আসন গ্রহণ করতেন সুফিয়া কামাল, শামসুর রাহমান, সৈয়দ শামসুল হক, জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী, সাইয়িদ আতীকুল্লাহ, মোহাম্মদ রফিক, বেলাল চৌধুরী, রুবী রহমান, রফিক আজাদ, আসাদ চৌধুরী, মহাদেব সাহা, নির্মলেন্দু গুণদের মতো সিনিয়র কবিরা। পাশাপাশি থাকতেন অনেক তরুণ নবীন কবি। সে সময়ে আমাদের এই সংগঠনের ভেতর সবচেয়ে কনিষ্ঠ কবি ছিলেন বোধকরি তারিক সুজাত, যিনি এখন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক। উপচে পড়ত দর্শক। আহা কী আবেগ আর আনন্দ। যাঁদের নাম বললাম, তাঁদের ভেতর কয়েকজন মাত্র এখন জীবিত। তাঁদের কেউ কেউ আসেন, যেমন এবার এসেছিলেন কবি আসাদ চৌধুরী ও রুবী রহমান। সেদিন কবিতা উৎসব ম-পে বসে থাকতে থাকতে ভাবলাম, কী এমন ক্ষতি হয় যদি এশীয় কবিতা উৎসবে যোগদানকারী কবিদের এখন আমন্ত্রণ জানানো হয় কবিতা পড়ার জন্য। (এবার অবশ্য হাসান ইমাম ফজল শাহাবুদ্দীনের কবিতা আবৃত্তি করলেন।) আল মাহমুদ যদি কবিতা পরিষদের মঞ্চে কবিতা পড়েন তা হলে ভালই তো হবে। ওই কবিবৃন্দ তো আর একাত্তরের রাজাকার নন। আর বঙ্গবন্ধু নিজেই তো সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছিলেন। শুধু হত্যাকারী, ধর্ষণে, অগ্নিসংযোগে সহায়তাকারী ও লুণ্ঠক বাঙালী সন্তানদের ক্ষমা করেননি। এশীয় কবিতা উৎসবের কবিবৃন্দ তো আর সে ধরনের কোন অপরাধ করেননি! একাত্তরে তাঁরা রাজাকারগিরিও করেননি। তা হলে এখনও, নব্বইয়ে এরশাদের পতনের এতগুলো বছর পেরিয়েও কবিদের মধ্যে কেন থাকবে বিভাজন। জাতীয় কবিতা পরিষদ যদি কবি আল মাহমুদের মতো একজন গুরুত্বপূর্ণ কবিকে সম্মানিত করেন, তা হলে কিছু উগ্র ব্যক্তি হয়ত বিরোধিতা করবেন, কিন্তু সত্যিকারের কবিরা স্বস্তি ও সন্তুষ্ট বোধ করবেন বলেই আমার বিশ্বাস। কবিদের ভেতর দলাদলি থাকা কি ঠিক? সকল প্রকৃত কবিই আমাদের মাতৃভাষার বাহক ও পরিচর্যাকারী; তাঁরা এ মাটির সন্তান। তাঁদের ভেতর সুসম্পর্ক সৌহার্দ্য বিরাজ করা সমাজের জন্যই স্বস্তিকর ও সুখকর। আরেকটি কথা। এ দেশে জন্মগ্রহণকারী ভারতীয় খ্যাতিমান কবি শঙ্খ ঘোষ ঢাকায় এসেছিলেন বইমেলার উদ্বোধনী আসরে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে। খুব আশা করেছিলাম কবিতা উৎসব মঞ্চ থেকে তাঁর কবিতাপাঠ আমরা শুনতে পাবো। সে আশা পূরণ হয়নি। কবির কণ্ঠস্বরের সমস্যা ছিল। উৎসব শেষে ঢাকা ক্লাবে কবিদের সম্মানে যে নৈশভোজের আয়োজন করা হয়, সেখানেও কবিকে মিস করলাম, কেননা ততক্ষণে তিনি কলকাতার উদ্দেশে উড়াল দিয়েছেন। তবে পরিচিত হয়ে দারুণ আড্ডা দেয়া গেল নেপালের কবি পুষ্প খানাসা ও তুরস্কের কবি তারিক গুনেসেকেরার সঙ্গে। জাতীয় পিঠা উৎসব জাতীয় পিঠা উৎসব হয়ে গেল শিল্পকলা একাডেমির মাঠে। আমার যাওয়া হয়নি। বন্ধু কবি সৈয়দ তারিক গিয়েছিলেন শেষ দিন। তিনি ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। অংশবিশেষ তুলে দিচ্ছি। ‘উৎসব খুব জমজমাট দেখতে পেলাম। নানি-দাদি-মা-খালাদের বানানো সেই পিঠা আর এই পিঠার মধ্যে ফারাক থাকলেও, নানা রকম পিঠা যে একদম বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে না বা একই প্রাঙ্গণে হরেক রকম পিঠা দেখতে ও খেতে পাওয়া যাচ্ছে, সেই জন্য এসব উৎসবকে ধন্যবাদ জানাতে হয়। পাহাড়ী জনগণের বিশিষ্ট ধরনের পিঠাও পাওয়া গেছে। আমার হাতের থালায় পাটিসাপটা পিঠা দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন ধানের চালের। রংটা যেমন আকর্ষণীয় তেমনি এর স্বাদটাও বেশ মজার। ভেতরে গুড়-নারিকেলের পুর দেয়া। কলাপাতায় মোড়া একটি হলো কলাপিঠা। কলার চমৎকার ঘ্রাণযুক্ত পিঠা খেতে খেতে একটু নস্টালজিক হয়ে পড়ছিলাম। এখনকার চাষকৃত কলায় কলার সেই ঘ্রাণটাই যেন আর নেই। আর একটা পিঠা- নাকি মিষ্টান্ন বলব একে- ভাত-নারিকেল-গুড়ে তৈরি একটি খাবার। ভাতটা একটু আঠালো ও সরস।’ অনু হোসেন, অকালে প্রস্থান মধ্য পঞ্চাশে অবস্থান করছিলেন, কিছুটা নিভৃতচারী ছিলেন। কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে অল্পকালের ভেতর মারা গেলেন অনু হোসেন। মৃত্যুর কয়েকদিন আগে প্রকাশিতব্য সঙ্কলনগ্রন্থের ( সাহিত্য পত্রিকা সমকালে রবীন্দ্রচর্চা সম্পর্কিত) দুটি প্রচ্ছদ ফেসবুকের টাইমলাইনে দিয়ে বন্ধুদের মত চেয়েছিলেন। সজ্জন, বন্ধুবৎসল ও মেধাবী এ লেখক-গবেষকের এ রকম বিদায় মেনে নিতে পারেননি বহুজন! অনু হোসেনের দীর্ঘকালের বন্ধু ও সহকর্মী কবি সরকার আমিন কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছেন অনুর একমাত্র সন্তানের জন্য। লিখেছেন, ‘অনু মরে গেছে। মানা সম্ভব নয়। আসলে দেহান্তরিত হয়েছে। ওর আত্মা, স্পিরিট আমাদের অন্তরে সতত খেলা করে। অনুর সন্তান ‘পূর্ণ’ আছে। ওর সঙ্গে আমরা সবাই থাকব। এটাই দেহান্তরিত অনুর প্রতি আমাদের অঙ্গীকার। তাদের জন্য এই কমিটমেন্ট যারা অনুর বন্ধু। আমাদের অভিভাবক প্রফেসর সৈয়দ আকরম হোসেন ‘অনু সংহতি’ নামক একটা অকমিটি সংগঠনের প্রস্তাব করেছেন যেখানে সমবেত থাকবেন অনুর সব বন্ধু। লক্ষ্য : অনুকে স্মরণে রাখা ও অনুপুত্রের দায়িত্ব গ্রহণ করা সাধ্যমতো। আশা করি অনুকে যারা ভালবাসেন সকলে অনু সংহতিতে সংহত হবেন। আমরা পেজবুকে অনু সংহতি নামে একটা পেজ খুলব। সবাই এতে যুক্ত হবেন আশা করি। যারা কমেন্টে সম্মতি জানাবেন কেবল তাদের পেজের আমন্ত্রণ জানানো হবে।’ ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ [email protected]
×