ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

এবারের আন্দোলন নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের ॥ খাদ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৯:৩১, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

 এবারের আন্দোলন নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের ॥ খাদ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। পথ খাবার উন্নয়ন ও নিরাপদ করতে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ও স্বাস্থ্যসম্মত নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচীতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে ভেজাল ও দূষণ সম্পর্কে অভিযোগ জানানোর জন্য একটি আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর কল সেন্টার করারও চিন্তা আছে। খাদ্যমন্ত্রী মনে করেন নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তার জন্য স্ব স্ব জায়গা থেকে সচেতনতাই সবচেয় বড় মাধ্যম। এজন্য সরকার ৫ বছর মেয়াদী কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। শনিবার ছিল জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস। ‘সুস্থ সবল জাতি চাই, পুষ্টিসম্মত নিরাপদ খাদ্যের বিকল্প নাই’ প্রতিপাদ্যে এবার দ্বিতীয় বারের মতো সারাদেশে দিবসটি উদযাপন করা হয়। আর কেন্দ্রীয়ভাবে দিবসটি আজ রবিবার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও র‌্যালি অনুষ্ঠিত হবে। দিবসটিসহ দুইদিনব্যাপী নিরাপদ খাদ্য মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংবাদ সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। এখন আমাদের আন্দোলন নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা। তিনি বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে না পারলে সুস্থ জাতি গঠন সম্ভব নয়। তাই নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে সচেতনতা সৃষ্টির কোন বিকল্প নেই। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকারের নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার বিষয়টি আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইস্তেহারে উল্লেখ আছে। এখন এই বিষয়টি বাস্তবায়ন করা সরকারের ম্যান্ডেট। খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে সরকার ব্যাপক কাজ শুরু করেছে। দেশে ৪৬৫টি কমিটি এই কার্যক্রম তদারক করছে। জেলা পর্যায়ে এমন কি উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠনের মাধ্যমে এই কার্যক্রমের তদারকি অব্যহত রয়েছে। দেশের প্রচুর সংখ্যক মানুষ হোটেল রেস্টুরেন্টে তাদের প্রাত্যহিক খাবার খেয়ে থাকেন। এ কারণে হোটেল রেস্টুরেন্টসমূহে নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সারাদেশে হোটেল রেস্টুরেন্টগুলোতে গ্রেডিং করা হচ্ছে। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষে অনুমোদিত ৩৬৫ জন জনবল নিয়োগের কার্যক্রম চলছে। এতে কাজে আরও গতি আসবে। সারাদেশে ৭১টি বিশুদ্ধ আদালত গঠন করা হয়েছে। দেশের ৫০টি ল্যাবরেটরির তথ্য সমন্বয়ে ডাইরেক্টরি তৈরি করা হয়েছে। খাদ্যে ভেজাল ও দূষণ দূর করতে নিয়মিত বিভিন্ন অভিযান মামলা হচ্ছে। নানা ধরনের প্রচার চলছে জনসচেতনতা তৈরিতে জানান মন্ত্রী।
×