ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নেতিবাচক রাজনীতিতে বিএনপি খাদের কিনারায় ॥ কাদের

প্রকাশিত: ০৯:৫৬, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

 নেতিবাচক রাজনীতিতে বিএনপি খাদের কিনারায় ॥ কাদের

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নেতিবাচক রাজনৈতিক ধারা আঁকড়ে ধরে আছে। এ কারণে তারা প্রধানমন্ত্রীর চা-চক্র আহ্বান বর্জন করেছে। শুক্রবার ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে চা-চক্রের আয়োজন করেছেন, সেখানে যোগ দিয়ে বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট খোলামেলা আলাপ করতে পারে। আসলে নেতিবাচক ধারা অব্যাহত রাখায় রাজনীতিতে বিএনপি খাদের কিনারায় পড়েছে। বিএনপি যদি তাদের চিরাচরিত নেতিবাচক রাজনীতির ধারা আঁকড়ে ধরে থাকে, তাহলে তারা অন্ধকারের আরও খাদে পড়ে যাবে। ওবায়দুল কাদের বলেন, ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত অংশগ্রহণমূলক একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেশে বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। রাজনীতিতে জয় পরাজয় ও জোয়ার-ভাটা আছে। ঐক্যফ্রন্ট-বিএনপি সংসদ বর্জনের মতো অগণতান্ত্রিক মানসিকতার প্রকাশ ঘটালে সেটা গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়। তাদের নিজের অস্তিত্বের জন্য ক্ষতিকর। জনরায়ে ভরাডুবির কারণে নেতিবাচক ও অতীতের মতো ধ্বংসাত্মক রাজনীতির ধারা অব্যাহত রাখলে বিএনপি বিদেশে আরও বন্ধুহীন হয়ে পড়বে। সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপির আন্দোলনে দেশের জনগণ আগ্রহী নয়। গত দশ বছরে তারা কোন আন্দোলন করতে পারেনি। নির্বাচনের পর আন্দোলনের কোন বস্তুগত পরিস্থিতি বিরাজ করছে না, যার মাধ্যমে তাদের সাফল্য আসে। তারা আন্দোলনের ডাক দিতে পারে, জনগণ যদি সাড়া না দেয়, সাফল্য আসবে না। বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গত সংসদে না থেকেও নির্বাচনে তারা যতটুকু বিজয়ের অংশীদার হয়েছে, এটা নিয়েই তাদের সংসদে যাওয়া উচিত। সংসদের ভেতরে-বাইরে দুই ক্ষেত্রেই আন্দোলন করা যায়। তারা সংসদে গেলে বিরোধী কণ্ঠ উচ্চারিত হবে। তাছাড়া সংসদ বর্জন করা দলের জন্য ক্ষতিকর। বিএনপি যদি সংসদ বর্জনের মানসিকতা ঘটায় তাহলে সেটা তাদের অস্তিত্বের জন্য ক্ষতিকর। বিএনপি সংসদে সংখ্যায় কম হলেও তারা জোরালো ভূমিকা রাখতে পারেন। ডাকসু নির্বাচন সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, অতীতেও বিভিন্ন হলে ডাকসু নির্বাচনের ভোট কেন্দ্র ছিল। এ নিয়ে বিতর্কের কিছু নেই। ডাকসু নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। শিক্ষার্থীরা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। গত ২৮ বছর ধরে ডাকসু নির্বাচন সামনে রেখে জাতীয় রাজনীতিতে কোন প্রভাব পড়বে না। বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি আন্দোলনে দেশের জনগণ আগ্রহী নয়। গত ১০ বছরে বারবার চেষ্টা করেও বিএনপি সাড়া সাজানোর মতো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি। নির্বাচনের পর আন্দোলনের কোন বস্তুগত পরিস্থিতি বিরাজ করছে না, যার মাধ্যমে তাদের সাফল্যে আসবে। তারা আন্দোলনের ডাক দিতে পারে, জনগণ যদি সাড়া না দেয়, সাফল্যে আসবে না। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
×