কুয়োর জলে নেমে
গ্রানাদার প্রাচীরে উঠে, দেখতে চাই
যে হৃদয় হয়েছে বিদীর্ণ
জলের অন্ধকার-তৃষ্ণায়।
তুষারের মুকুটের নিচে
আহত বালকের বিলাপ।
পুষ্করিণী, ফোয়ারা, জলাধার,
বাতাসে দেখাচ্ছে তরবারি।
ভালবাসার কী প্রতাপ,
কতটা তীক্ষè ফলা,
কী আশ্চর্য নৈশ আলোড়ন,
কী আশ্চর্য শ্বেত মৃত্যু!
তেমনই এক আলোর মরুভূমি
দিচ্ছে উড়িয়ে ভোরের বালুকণা!
নিঃসঙ্গ এক বালক,
তার কণ্ঠে ঘুমন্ত এই শহর।
ক্ষুধার্ত শৈবালের প্রহরায় তার
স্বপ্ন থেকে উৎসারিত হচ্ছে জলধারা
নিজের বেদনার মুখোমুখি বালক
দুটো বৃষ্টি ধারা করছে জড়াজড়ি।
টানটান শুয়ে আছে জমিতে,
আবৃত তাঁর অন্তরজ্বালায়।
কুয়োর জলে ডুব দিয়ে
দেখতে চাই জলাহত বালক
করতে চাই বরণ নিজের মৃত্যু
হৃদয় করতে চাই শৈবাল-পূর্ণ।