ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

৮ ফেব্রুয়ারি সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশ করতে চায় বিএনপি

প্রকাশিত: ১১:১২, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

৮ ফেব্রুয়ারি সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশ করতে চায় বিএনপি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে চায় বিএনপি। রিজভী বলেন, বিএনপির সমাবেশের কথা জানিয়েছে উদ্যান কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ প্রশাসনকে চিঠি দেয়া হয়েছে। এছাড়াও দলের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনও সমাবেশের ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই সমাবেশের কথা জানান। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াসহ দেশের বিভিন্ন কারাগারে বন্দী নেতাকর্মীর মুক্তি দাবিতে ওইদিন বেলা ২টায় সমাবেশ হবে বলে জানান রিজভী। তিনি বলেন, ২৯ ডিসেম্বর রাতের নির্বাচনে গঠিত ভুয়া ভোটের সরকার আরও জোরালোভাবে রাষ্ট্রের আইন, বিচার ও নির্বাহী বিভাগকে একই কেন্দ্রের অধীন করল। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ভারসাম্য ক্ষয় হতে হতে এখন ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে। বিরোধী দল, মত ও বিশ্বাসের ওপর চলছে দমন-পীড়ন। রাজনৈতিক অংশগ্রহণ সংকুচিত হতে হতে এখন নিঃশেষিত। এক ব্যক্তি, এক দল নীতি জনগণকে আতঙ্কিত করে রেখেছে। জনগণকে পরাধীন করে এখন আওয়ামী লীগ উপনিবেশ কায়েম করেছে। তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের মতোই আগামী উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভোটারদের ভোটাধিকার কেড়ে নিতে সাহায্য করে তিনি বড় ধরনের অপরাধ করার পরেও তার ওই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে ভোটারদের সঙ্গে সেরা রসিকতা। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের ‘দুর্নীতির ধারণাসূচকে’ বাংলাদেশের ছয় ধাপ অবনমন নিয়ে তথ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাবে বলেন, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের রিপোর্ট বিএনপির আমলে সঠিক ছিল, এখন মনগড়া। বাহ! বাহ! তাহলে বিএনপি আমলের জলবায়ুরও কী পরিবর্তন হয়েছে গেছে? বর্ষাকালে বর্ষা হয় না, শীতকালে শীত পড়ে না, বসন্তকালে কোকিল ডাকে না। বিএনপির আমলে ডাকত এখন ডাকে না? তার কথাতে আমার এটাই মনে হচ্ছে। একই প্রতিষ্ঠান বিএনপির আমলে যেটা বলেছে সেটা সঠিক, এখন সেটা বেঠিক হয়ে গেল। তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে দুর্নীতির মাত্রা ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রিত বলে সব তথ্য প্রকাশিত হচ্ছে না। কেবল টিআই-ই নয়, ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি গত সোমবার বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার বিষয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা গেছে, শুধু ২০১৮ সালে বাংলাদেশ থেকে পঞ্চাশ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে। আর গত ১০ বছরে পাচার হয়েছে পাঁচ লাখ ত্রিশ হাজার কোটি টাকা। এই দুর্নীতির টাকা আওয়ামী ও সরকারের উচ্চ পর্যায়ের লোকেরাই পাচার করেছে। সুতরাং তথ্যমন্ত্রী গণমাধ্যমকে ডেকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সত্যকে আড়াল করতে পারবেন না। নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবুল খায়ের ভুঁইয়া, সাহিদা রফিক, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স উপস্থিত ছিলেন।
×