ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকা উত্তরের যিনি মেয়র হবেন তার মেয়াদ এক বছর ॥ সিইসি

প্রকাশিত: ১১:১১, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

ঢাকা উত্তরের যিনি মেয়র হবেন তার মেয়াদ এক বছর ॥ সিইসি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র পদে উপনির্বাচনে যিনি নির্বাচিত হবেন তার মেয়াদ হবে এক বছর। এছাড়া দুই সিটির সম্প্রসারিত ওয়ার্ড কাউন্সিলররা এক বছর মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হবেন। আগামী বছরের এপ্রিল মে’তে আবারও দুই সিটির মেয়র, কাউন্সিলর পদে নির্বাচন হবে। তবে এক বছরের জন্য নির্বাচন হলেও এই নির্বাচনের গুরুত্ব কোন অংশে কম নয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা। বৃহস্পতিবার আগারগাঁও নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ঢাকা সিটি নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের এক দিক নির্দেশনামূলক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন। অতীতের মতো সব নির্বাচনের মতোই গুরুত্ব দিয়েই এ নির্বাচন করার নির্দেশনা দেন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের। বলেন, মেয়াদ যত স্বল্পই থাক না কেন, রাজধানী শহর ঢাকা সিটিতে এর গুরুত্ব অপরিসীম। এক বছরের মাথায় পরিবর্তন হলেও তা খাটো করে দেখার প্রয়োজন নেই। সিইসি বলেন, কয়েকদিন আগেই আপনারা একটা সুন্দর, স্বার্থক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করেছেন। একটি সরকার প্রতিষ্ঠার কাজ করেছেন। সেজন্য আপনাদের প্রথমেই অভিবাদন ও ধন্যবাদ জানাই। পরিশ্রম করে, নানা রকমের প্রতিবন্ধকতার মধ্যে নির্বাচনের উত্তরণ ঘটিয়েছেন। ফলে দেশ পরিচালনার জন্য একটা স্বাভাবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রয়েছে। যারা এখন মেয়র বা কাউন্সিলর হবেন তারা এক বছর হাতে পাবেন। তারপর আবার ২০২০ সালের এপ্রিল, মে মাসের দিকে পুরো নির্বাচন হবে। সে দিনটা যাই থাক না কেন সেটা ভিন্ন জিনিস। কিন্তু নির্বাচনের গুরুত্ব অপরিসীম। শুধু এই জাতীয় সংসদ নির্বাচন নয়, বিভিন্ন পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদে, জেলা পরিষদে, উপজেলা পরিষদে যেভাবে নিষ্ঠার সঙ্গে নির্বাচনগুলো করেছেন সেভাবেই গুরুত্ব দিয়ে নির্বাচন করতে হবে। কারণ হলো- ঢাকা সিটিতে নির্বাচনের গুরুত্ব অপরিসীম। অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে ইসি মাহবুব তালুকদার বলেন, নির্বাচনে গ্রহণযোগ্যতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা অবশ্যই দৃশ্যমান হতে হবে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি করলেই যে তা সুষ্ঠু হয়ে যাবে এমন কোন কথা নেই। জনতার চোখ বলে একটা কথা আছে। তিনি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমাদের ও আপনাদের সবার কর্মকা- জনতার চোখে পরীক্ষিত হবে। একটি গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করার জন্য সবাইকে অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন খুবই সন্তোষজনক হয়েছে?’ এ ক্ষেত্রে পাবলিক পারসেপশন (জনসাধারণের ধারণা) কী তা নিজেদের কাছেই জিজ্ঞেস করতে হবে। আসন্ন সিটি নির্বাচন নিয়ে মাহবুব তালুকদার বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, তাকে আমি নাতিশীতোষ্ণ নির্বাচন বলব। কারণ, এই নির্বাচনের মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার কথা ছিল। যে উত্তাপ ও উষ্ণতা থাকার কথা ছিল, এখন পর্যন্ত অবস্থা দৃষ্টে মনে হয় তা হবে না। কেবল কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কিছুটা উষ্ণতা আশা করা যায়। আসন্ন নির্বাচনের শৈত্যপ্রবাহ তাতে কেটে যাবে বলে আমরা মনে করতে পারি।’ ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর ঢাকার এই নির্বাচনের দিকে দেশবাসী, এমনকি উন্নয়ন সহযোগীরা তাকিয়ে আছেন আমরা কী ধরনের নির্বাচন উপহার দিই তা দেখার জন্য। নির্বাচনকালে আমরা কোন চাপ, কোন ভয়ভীতি বা প্রলোভনের কাছে নতি স্বীকার করব না উল্লেখ করেন। নির্বাচন কমিশনার মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেছেন, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হোক তা কোনভাবেই আমরা চাই না। নির্বাচন কমিশনের প্রত্যাশা একটা আইনানুগ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। নির্বাচন প্রক্রিয়া তখনই প্রশ্নবিদ্ধ হয়, যখন আইনের সুষ্ঠু এবং যথাযথ প্রয়োগ ব্যর্থ হন। নির্বাচনের সার্বিক দায়িত্ব আপনাদের কাছে ন্যস্ত। আপনারা যদি আইনগুলোকে প্রয়োগ না করতে পারেন তাহলে আমরা প্রশ্নবিদ্ধ হই, নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হয়। এটা আমাদের কাম্য নয়। ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বের দায়িত্ব পালন করেন।
×