ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সহযোগীসহ মালিক আটক

গুলশানে সিসা বারে অভিযান, ৪০ কেজি উদ্ধার

প্রকাশিত: ১১:১৪, ৩১ জানুয়ারি ২০১৯

গুলশানে সিসা বারে অভিযান, ৪০ কেজি উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর গুলশান-১ ডিসিসি মার্কেটের পারফিউম আর ইলেক্ট্রিক সিগারেট বিক্রির আড়ালে বিক্রি হচ্ছে মাদক হিসেবে ব্যবহৃত অবৈধ সিসা। মনোরম পরিবেশে ‘সিসার বার’ এর রমরমা ব্যবসার খবর পেয়ে সেখানে সিসা বিক্রি ও সেবনে হানা দেয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। এ অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে গুলশান জোনের পরিদর্শক শামসুল কবির ও রমনা জোনের পরিদর্শক কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি দল অভিযান পরিচালনা করে ৪০ কেজি সিসা, সিসা টানার ৫০টা হুক্কা ও ৩০ কেজি কয়লাসহ দুজনকে আটক করে। এ সময় ওই দোকানের মালিক হারুন ও তার সহযোগী রাসেলকে আটক করা হয়। গুলশান ডিসিসি মার্কেটের ৩০০/১৮ দোকান থেকে তাদের আটক করা হয়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের নতুন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে সিসাকে মাদক হিসেবে বিক্রি, সেবন ও মজুদ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ‘খ’ শ্রেণীর মাদক সিসার ব্যবসায় জড়িত থাকার প্রমাণ মিললে সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। ঢাকা মেট্রো উত্তর অঞ্চলের রমনা জোনের ইন্সপেক্টর এ কে এম কামরুল ইসলাম জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ডিসিসি মার্কেটের ওই দোকানে গিয়ে দেখা যায় পারফিউম, ইলেক্ট্রিক সিগারেট, আর দেশী-বিদেশী সিগারেট বিক্রি করা হচ্ছে। তবে ভাল করে খেয়াল করে দেখা যায়, স্পেশাল কিছু, অনেকে ভেতরে আসছেন এবং যাচ্ছেন! অভিযানের বিষয়টি টের পাবার পর কাস্টমাররা সটকে পড়েন। পরে দ্রুত দোকানটিতে তল্লাশি চালিয়ে আনুমানিক ৪০ কেজি সিসা জব্দ করা হয়। মালিক হারুনের বাড়ি বাড্ডার আদর্শনগরে। এখন তার বাসায় যাওয়া হচ্ছে। সেখানেও সিসা মজুদ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। আটক দুজনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। গুলশান মার্কেটের একাধিক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, শুধু এই একটি সিসাবারের অভিযানে হঠাৎ এভাবে অভিযান চালানোর ঘটনায় তারা বিস্মিত। গুলশান বনানী ও বারিধারায় এ ধরনের আরও অনেক বারেই প্রকাশ্যেই সিসা বাণিজ্য চলছে। যেখানে স্কুল কলেজের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বেপরোয়া সিসা পান করছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক জামাল উদ্দিন আহমেদ গতরাতে দৈনিক জনকণ্ঠকে বলেন, সিসাবার কিছুতেই এলাউ করা হবে না, এটাই আমাদের সিদ্বান্ত। সম্প্রতি আইন পাস করেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে সিসাবার। গুলশান বনানী ও বারিধারাতেই এ ধরনের অনেক বার থাকার পরও শুধু গুলশানে কেন এই অভিযান চালানো হয়েছে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমরা যেখানে তথ্য পাই সেখানেই হানা দিচ্ছি। আমরা বসে নেই, খোঁজ খবর নিচ্ছি নিয়মিত। কাজেই এটা নিয়ে প্রশ্ন করার কোন সুযোগ নেই। এ বিষয়ে শামসুল কবির জনকণ্ঠকে বলেছেন, দীর্ঘদিন নজরদারির পর হারুনের দোকানে হানা দেয়া হয়। আসলে এটা শুধু একটা বার নয়, বলা চলে একটা গোডাউন। এখান থেকে রাজধানীর অন্য সব সিসার বারে সিসা সরবরাহ করা হতো। তার এক শ্যালক দুবাই থেকে নিয়মিত এই সিসা পাঠাতো। এখানে বসে সে পাইকারিহারের রাজধানীসহ দেশব্যাপী তা বিক্রি করতো।
×